১১৮ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা এবং পরাধীনতা । জাতিপ্রাধান্যের স্থামে প্রাচীম ভারতে বর্ণপ্রাধান্য স্থিল । অধিকাংশ লোকের পক্ষে উভয়ই সমান। ভবে ইহা অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে, যে পরাধীন ভারতবর্ষে উচ্চ শ্রেণীস্থ লোকে স্বীয়ৰুদ্ধি, শিক্ষা, বংশ, এবং স্বৰ্য্যাদামুসারে প্রাধান্য লাভ কষ্ঠিতে পারেন মা । যাহার বিদ্যা এবং বুদ্ধি আছে, ভাহাকে যদি বুদ্ধিসঞ্চালমের এবং বিদ্যার ফলোৎপত্তির স্থল না দেওয়া যায়, তৰে তাছার প্রতি গুরুতর অত্যাচার করা হয়। আধুনিক ভারতবর্ষে এরূপ ঘটিতেছে। প্রাচীন ভারতবর্ষে, ৰণ বৈষম্য গুণে তাছাও ছিল, কিন্তু এ পরিমাণে ছিল মা। আর এক্ষণে রাজকাৰ্য্যাদি সকল ইংরেজের হস্তে —আমরা পরহস্তরক্ষিভ বলিরা মিজে কোম কাৰ্য্য করিতে পারিতেছি না । তাহাভে আমাদিগের রাজ্যরক্ষা ও রাজ্যপালম বিদ্যা শিক্ষা হইতেছে না-জাতীয় গুণের স্মৃপ্তি হইতেছে না। অত: এব স্বীকার করিতে হুইবে, পরাধীমতা এদিকে উন্নতিরোধক। তেমন, আমরা ইউরোপীয় সাহিত্য ও বিজ্ঞামে শিক্ষালাত করিতেছি। ইউরোপীয় জাতির অধীন না হইলে আমাদিগের কপালে এ মুখ ঘটিত না । অতএব আমাদিগের পরাধীনতায় যেমন একদিকে ক্ষতি, তেমম আর একদিকে উন্নতি হইতেছে। অতএব ইছাই বুঝা যার যে আধুনিকাপেক্ষ প্রাচীন ভারতবর্ষে উচ্চ শ্রেণীর লোকের স্বাধীনতাজনিত কিছু সুখ ছিল । কিন্তু অধিকাংশ লোকের পক্ষে প্রায় দুই তুলা, বরং আধুনিক छाब्र७दर्ष छन । তুলনায় আমরা যাহা পাইলাম তাহ সংক্ষেপে পুনরুক্ত করিতেছি, অনেকের বুঝিবার সুবিধা হইবে। ১। ভিন্ন জাতীয় রাজা হইলেই রাজ্য পরতন্ত্র বা পরাধীম इदेश नीं ।
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৭
অবয়ব