পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান ৷ ভারতবর্ষে দর্শন কাঙ্কাকে বলে ? ইহার উত্তর দিতে গেলে ಡ বুঝিভে হইবে, যে ইউরোপে যে অর্থে “ফিলোসফি” শব্দ ব্যবহৃত হয়, দর্শন সে অর্থে ব্যবহৃত হয় না। বাস্তবিক ফিলসফি শব্দের অর্থের স্থিরতা নাই,—কখন ইহার অর্থ অধ্যাত্মতত্ত্ব, কখন ইহার অর্থ প্রাকৃতিকবিজ্ঞান, কখন ইহার অর্থ ধৰ্ম্মনীতি, কখন ইহার অর্থ বিচারবিদ্যা। ইহার একটিও দর্শনের ব্যাখ্যার অনুরূপ নহে। ফিলসফির উদ্দেশ্য, জ্ঞান বিশেষ ; তদন্তিরিক্ত অন্য উদ্দেশ্য নাই । দর্শনেরও উদেশ্য জ্ঞান বটে, কিন্তু সে জ্ঞানেরও উদৃেশ্য আছে। সেই উদ্দেশ্য, নিঃশ্রেয়স, মুক্তি, নিৰ্ব্বাণ বা তদ্বং নামান্তর বিশিষ্ট পারলৌকিক অবস্থা। ইউরোপীয় ফিলসফিতে জ্ঞানই সাধনীয় ; দর্শনে জ্ঞান সাধন মাত্র। ইহাতিন্ন আর একটি গুরুতর প্রভেদ আছে। ফিলসফির উদ্দেশ্য, জ্ঞানবিশেষ,-কখন আধ্যাত্মিক, "কখন -ভৌতিক, কখন নৈতিক বা সামাজিক জ্ঞান। কিন্তু সৰ্ব্বত্র পদার্থ মাত্রেরই জ্ঞান দর্শনের উদ্দেশ্য। ফলতঃ সকল প্রকার জ্ঞানই দশনের অন্তর্গত। জ্ঞানে নিঃশ্ৰেয়স লাভ, ইহা ইউরোপীয় দিগের পক্ষে নূতন কথা বটে, এবং এদেশে প্রচলিত ‘ভক্তিতে মিলরে কৃষ্ণ, ರ್ಡ বহুদূর" ইত্যাদি প্রবাদের বিপরীত। জ্ঞানবাদীদিগের বিরোধী ভক্তিবাদীও যে এদেশে ছিলেন না, এমত নহে। প্রধান ভক্তি • স্বত্রকার শাণ্ডিল্য এবং বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠাতা চৈতন্য দেৰ। সংসার দুঃখময় । প্রাকৃতিক বল,সৰ্ব্বদা মনুষ্য মুখের প্রতিদ্বন্টু। তুমি যাহা কিছু মুখভোগ কর, সে বাস্থ্য গ্রকৃতির সঙ্গে ’ 하 "