৩২ জ্ঞান। পারে। তবে অনেক সময়ে দেখা যাইবে, যে একটি অনুমানের মূল, বহুতর বহুজাতীর পূৰ্ব্বপ্রত্যক্ষ। এক একটি বৈজ্ঞানিক নিয়ম সহস্ৰ সহস্ৰ জাতীয় প্রত্যক্ষের ফল । অতএব প্রত্যক্ষই জ্ঞানের একমাত্র মূল—সকল প্রমাণের মূল। অনেকে দেখিয়া বিস্মিত হইবেন, যে দর্শনশাস্ত্র, দুই তিন সহস্ৰ বৎসরের পর, ঘুরিয়া ঘুরিয়৷ আবার সেই চাৰ্ব্বাকের মতে আসিয়া পড়িতেছে। ধন্য আর্য্যবুদ্ধি । যাহা এতকালে হুম, মিল, বেন প্রভৃতির দ্বারা সংস্থাপিত হইরাছে- দুই সহস্রাধিক বৎসর পূৰ্ব্বে বৃহস্পতি তাহ প্রতিপন্ন করিয়া গিয়াছেন। কেহ না ভাবেন যে আমরা এমন বলিতেছি যে প্রত্যক্ষভিন্ন প্রমাণ নাই—আমরা বলিতেছি যে, সকল প্রমাণের মূল প্রত্যক্ষ । বৃহস্পতি ঠিক তাহাই বলিয়াছিলেন কি না, তাহার গ্রন্থ সকল লুপ্ত হওয়ায় নিশ্চয় করা কঠিন। প্রত্যক্ষই জ্ঞানের একমাত্র মূল, কিন্তু এই তত্ত্বের মধ্যে ইউরোপীয় দার্শনিক দিগের মধ্যে একটী ঘোরতর বিবাদ আছে। কেছ কেল্ল বলেন, যে আমাদিগের এমন অনেক জ্ঞান আছে, যে তাহার মূল প্রত্যক্ষে পাওয়া বায় না। বথ, কাল, আকাশ, ইত্যাদি । কথাটি বুঝা কঠিন। আকাশ সম্বন্ধে একটি সহজ কথা গ্রহণ করা যাউক,—যথা, দুইটি সমানান্তরাল রেখা বতদূর টানা যাউক, কখন মিলিত হইবে না, ইহা আমরা নিশ্চিত জানি । কিন্তুoএ'জ্ঞান আমরা কোথা পাইলাম ? প্রত্যক্ষবাদী বলবেন “প্রত্যক্ষের দ্বারা। আমরা যত সমানান্তরাল রেখা দেখিয়াছি, তাহা কখন মিলিত হয় নাই ।” তাহাতে বিপক্ষেরা প্রত্যুত্তর করেন, যে “জগতে যত সমানান্তরাল রেখা হইয়াছে, সকল छूजि८षर्ष नारे-छूमि यांश cमषिब्रांइ, उश भिन्न नारे बने,६
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪১
অবয়ব