खळींना ! NII কিন্তু তুমি কি প্রকারে জানিলে যে কোন কালে কোথায় এমন দুইটি সমানান্তরাল রেখা হয় নাই, বা হইবে না, যে তাহ। টানিতে টানিতে একস্থানে মিলিবে না ? याई মসুয্যের প্রত্যক্ষ হইয়াছে, তাহা হইতে তুমি কি প্রকারে অপ্রত্যক্ষীভূতের নিশ্চয় করিলে ? অথচ আমরা জানিতেছি যে তুমি যাহা বলিতেছ তাহা সত্য ;--কম্মিন কালে কোথাও এমত দুইটি সমানান্তরাল রেখা হইতে পারে না যে তাহা মিলিবে । তবে প্রত্যক্ষ ব্যতীত তোমার আর কোন জ্ঞানমূল আছে—নহিলে তুমি এই প্রত্যক্ষের অতিরিক্ত জ্ঞানটুকু কোথায় পাইলে ?” এই কথা বলিয়া, বিখ্যাত জৰ্ম্মান দার্শনিক কান্ত, লক ও ভূমের প্রত্যক্ষবাদের প্রতিবাদ করেন। এই অতিরিক্ত জ্ঞানের মূল তিনি এই নির্দেশ করেন, যে যেখানে বহিৰ্ব্বিষয়ের জ্ঞান আমাদিগের ইঞ্জিয়ের দ্বারা হইয়া থাকে, সেখানে বহিৰ্ব্বিষয়ের প্রকৃতি সম্বন্ধে কোন তত্ত্বের নিত্যত্ব আমাদের জ্ঞানের অতীত হইলেও, আমাদিগের ইন্দ্রিয় সকলের প্রকৃতির নিত্যত্ব আমাদিগের জ্ঞানের আয়ন্ত বটে। আমাদিগের ইন্দ্রয় সকলের "প্রকৃতি অনুসারে আমরা বহিৰ্ব্বিষয় কতকগুলি নির্দিষ্ট অবস্থাপন্ন বলিয়া পরিজ্ঞাত হই । ইন্দ্রিয়ের প্রকৃতি সৰ্ব্বত্র একরূপ, এজন্য বহিৰ্ব্বিষরের তত্ত্বৎ অবস্থাও আমাদিগের নিকট সৰ্ব্বত্র একরূপ। এইজন্য আমাদিগের কাল, আকাশাদির সমবায়ের নিত্যত্ব জানিতে পারি। এই জ্ঞান আমাদিগেতেই আছুে— এজন্য কান্ত ইহাকে স্বতোলব্ধ বা আভ্যন্তরিক জ্ঞান বলেন? আমাদিগের ব্রাঙ্গের ইহাকে সহজজ্ঞান বলেন। পাঠক আবার দেখিবেন যে আধুনিক ইউরোপীয় দর্শন, ফিরিয়া ফিরিয়৷ সেই প্রাচীন ভারতীয় দ্বশনে মিলিতেছে। যেমড়া চৰ্ব্বকের প্রত্যক্ষবাদে, মিল ও বেনের প্রত্যক্ষবাদেয়
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪২
অবয়ব