বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6.8 সাংখ্যদর্শন। नाहे । ঋগ্বেদে অথৰ্ব্ববেদে, শতপথব্রাহ্মণে স্বষ্টি কখন আছে, কিন্তু তাহাতে মূহদাদির কোন উল্লেখ নাই। ময়ুতেও সৃষ্টি কথন আছে, তাছাতেও নাই, রামায়ণেও ঐ রূপ। কেবল পুরাণে আছে । অতএব বেদ, মন্ত্র, রামায়ণের পরে ও অন্ততঃ বিষ্ণু ভাগবত এক লিঙ্গ পুরাণের পুৰ্ব্বে সাংখ্যদর্শনের স্বষ্টি । মহাভারতেও সাংখ্যের উল্লেখ আছে, কিন্তু মহাতারতের কোন ংশ নূতন, কোন অংশ পুরাতন, তাহ নিশ্চিৎ করা ভার। কুমারসস্তুবের দ্বিতীয় সর্গে যে ব্ৰহ্মস্তোত্র আছে তাহা সাংখ্যাচুকারী। ২য়। সাংখ্য প্রবচনে বিষ্ণু, হরি রুদ্রাদির উল্লেখ নাই । স্পষ্টই দেখা যাইতেছে, পৌরাণিকেরা নিরীশ্বর সাংখ্যকে আপন মনোমত করিয়া গড়িয়া লইয়াছেন । চতুর্থ পরিচ্ছেদ। নিরীশ্বরত! । সাংখ্যদর্শন নিরীশ্বর বলিয়া খ্যাত, কিন্তু কেহ কেহ বলেন যে সাংখ্য নিরীশ্বর নহে। ডাক্তার হল একজন এই মতাবলম্বী। মক্ষমূলয়, এই মতাবলম্বী ছিলেন, কিন্তু এক্ষণে র্তাহার মত পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা গিয়াছে। কুসুমাঞ্জলিকর্তা উদরনাচাৰ্য্য বলেন যে সাংখ্য মতাবলম্বীরা আদি বিদ্বীনেয় উপাসক । অতএব তাছার মতেও সাংখ্য নিরীশ্বর নহে । সাংখ্যপ্রবচনের ভাষ্যকার বিজ্ঞানভিক্ষুও বলেন যে ঈশ্বর নাই, এ কী ৰল! কপিল স্বত্রের উদ্বেশু নহে। অতএব সাংখ্যদর্শনকে কেন নিীশ্বর বলা যায়, তাহার কিছু বিস্তারিত লেখা যাউক ।