পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্যদর্শন। ७१ য়িকের বেদ মানেন না, এমত নহে। কিন্তু যে সকল কারণে মীমাংসকের বেদ মানেন, নৈয়ারিকের তাঁহা অগ্রাহ্য করেন । মীমাংসকের বলেন, বেদ নিত্য এবং অপৌরুষেয় নৈয়ারি .কেরা বলেন বেদ আগুবাক্য মাত্র । নৈয়ায়িকেরা, মীমাংসকের মত খণ্ডন জন্য যে সকল আপত্তি উথাপন করিয়াছেন, মাধবাচার্য্য প্রণীত সৰ্ব্বদর্শনসংগ্ৰহ হইতে তাহার সারমর্শ্ব নিম্নে সংক্ষেপে লেখা গেল । মীমাংসকের বলেন, যে সম্প্রদায়াবিচ্ছেদে বেদকর্তা অস্মর্থ্যমান । সকল কথা লোক পরম্পরা স্মৃত হইয়া আদিতেছে,কিন্তু কাহারও স্মরণ নাই যে কেহ বেদ করিয়াছেন । ইহাতে নৈয়ায়িকের আপত্তি করেন যে, প্রলয়কালে সম্প্রদায় বিচ্ছিন্ন হইয়াছিল । এক্ষণে যে বেদ প্রণয়ন স্মরণে নাই ইহাতে এমন্ত প্রমাণ হইতেছে না যে প্রলয়পূৰ্ব্বে বেদ প্রণীত হয় নাই । আর ইহাও তোমরা প্রমাণ করিতে পারবে না, যে বেদঙ্কর্তা কাহা কর্তৃক কথন স্মৃত ছিলেন না। নৈয়ায়িকেরা আরও বলেন যে বেদবাক্য সকল, যেমন কালিদাসাদি বাক্য তেমনি বাকা, অতএব বেদবাক্যও পৌরুষেয় বাক্য । বাক্যত্ব হেতু, মন্ত্রাদির বাক্যের নয়, বেদবাক্যকে ও পৌরুষেয় বলিতে হইবে । আর মীমাংসকের বলিয়া থাকেন, যে যেই বেদাধ্যয়ুন করে, তাহার পূৰ্ব্বে তাহার গুরু অধ্যয়ন করিয়াছিলেন, তাহার পূৰ্ব্বে তাহার গুরু অধ্যয়ন করিয়াছিলেন, তাহার পূৰ্ব্বে তাহার গুরু ; এইরূপ যেখানে অনন্ত পারম্পর্ঘ্য আছে, সেখানে বেদ অনাদি । নৈয়ায়িক বলেন, যে মহাভারতাদি সম্বন্ধেও ঐ রূপ বলা যাইতে পারে। যদি বল, যে মহাভারতের কর্তা যে ব্যাস ইহা স্মর্যামান, তবে বেদ সম্বন্ধেও বলা যাইতে পারে, ফে"খচঃ সামানি যজ্ঞিরে। ছাংসি যঞ্জিয়ে তস্থাৎ যজুস্তক্ষা