b"8 হিন্দুধৰ্ম্মের নৈসর্গিক মূল। বিজ্ঞানের দ্বারা সিদ্ধ হইতেছে। নহিলে ডার্বিনের “প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন” প্ররিত্যাগ করিতে হয়। যে মতকে প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন বলে, তাহার মূলে এই কথা আছে, যে, যে পরিমাণে জীব কৃষ্ট হইয় থাকে, সেই পরিমাণে কখন রক্ষিত 'ব পালিত হইতে পারে না। জীবকুল অত্যন্ত বৃদ্ধিশীল—কিন্তু পৃথিবী সঙ্কীর্ণ। সকলে রক্ষিত হইলে, পৃথিবীতে স্থান কুলাইত না, পৃথিবীতে উৎপন্ন আহারে তাহদের পরিপোষণ হইত না । অতএব অনেকেই জন্মিয়াই বিনষ্ট হয়-অধিকাংশ অগুমধ্যে বা বীজে ধ্বংস প্রাপ্ত হয় । যাহাদিগের বাহ্যিক বা আতাস্তরিক প্রকৃতিতে এমন কিছু বৈলক্ষণ আছে, যে তস্থার তাহার সমান বস্থাপন্ন জীবগণ হইতে আহার সংগ্রহে, কিম্বা অন্য প্রকারে জীবনরক্ষায় পটু, তাহারাই রক্ষাপ্রাপ্ত হইবে, অন্য সকলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হইবে । মনে কর যদি কোন দেশে বহু জাতীয় এরূপ চতুষ্পদ থাকে যে তাহারা বৃক্ষের শাখা ভোজন করিয়া জীবনধারণ করে, তাহ হইলে যাহাদিগের গলদেশ ক্ষুদ্র, তাহারা কেবল সৰ্ব্বনিম্নস্থ শাখাই ভোজন করিতে পাইবে, স্বাহীদের গলদেশ দীর্ঘ তাহারা নিম্নস্থ শাখাও খাইবে তদপেক্ষা উৰ্দ্ধস্থ শাখাও থাইতে পারিবে । সুতরাং যখন খাদ্যের টানাটানি হইবে—সৰ্ব্বনিম্নস্থ শাখা সকল ফুরাইয়৷ ঘাটবে, তখন কেবল দীর্ঘস্কন্ধরাই আহার পাইবে—হশ্বস্কন্ধর অনাহারে মরিয়া যাইবে বা লুপ্তবংশ হইবে। ইহাকেই বলে প্রাকৃতিক নিৰ্বাচন । দীর্ঘক্ষ্মদ্ধের প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনে মুক্ষিত হইল। হ্রস্বস্কন্ধের বংশলোপ হইল । প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের মূল ভিত্তি এই যে যত জীব কৃষ্ট হর, তত জীব কদাচ রক্ষণ হইতে পারে না । পারিলে প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের প্রয়োজমই হইত না । দেখ একটি সামান্য বৃক্ষে
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৩
অবয়ব