'சமூ হিন্দুধর্মের নৈসর্গিক মূল। ছইলে একটি বাৰ্ত্তাকু বৃক্ষে কত অসংখ্য বীজ জন্মে তাহ স্থির করিবেন। সকল বীজ রক্ষণ হইলে, যেখানে বার্ষিক দুইটী বীজ হইতে বিংশতি বৎসরে দশ লক্ষ বৃক্ষ হয়, সেখানে বৎসর বৎসর প্রতি বৃক্ষের সহস্ৰ সহস্ৰ বাৰ্ত্তাকু বীজে বিংশতি বৎসরে কত কোটি কোটি কোটি বাৰ্ত্তাকুবৃক্ষ হইবে,তাহা কে মনে ধারণ করিতে পারে ? সকল বীজ রক্ষা পাইলে, কয় বৎসর পৃথিবীতে বাত্তাকুর স্থান হয় ? চেতন সম্বন্ধেও ঐরূপ। যে পরিমাণে স্বষ্টি, তাছার সহস্ৰাংশ রক্ষিত হয় না। যদি স্রষ্ট এবং পালনকৰ্ত্ত এক, তবে তিনি যাহার পালনে অশক্ত তাহা এত প্রচুর পরিমাণে স্বষ্টি করেন কেন ? জীবের রক্ষা যাহায় অভিপ্রায়ু, তিনি অরক্ষণীয়ের সৃষ্টি করেন কেন ? ইহাতে কি অতিপ্রায়ের অসঙ্গভি দেখা যায় না ? ইহাতে কি এমত বোধ হয় না, যে স্রষ্টা ও পাতা এক, এ কথা না বলিয়, স্ৰষ্ট পৃথক্ পাতা পৃথক্ এ কথা বলাই সঙ্গত ? ইহায় একটি উত্তর আছে—জীবধ্বংসের জন্য একজন সংহারকর্ড কল্পনা করিয়াছ। স্ব৪ জীবের ধ্বংস তাছায় কার্য্য —যত সৃষ্টি হয় তত যে রক্ষা হয় না, ইহা তঁহারই কার্য । পাতা এবং স্বষ্টিকৰ্ত্ত। এক, কিন্তু তিনি যভ স্থাষ্ট্র কয়েন, তত যে রক্ষা করিতে পারেন না, তাহার কারণ এই সংহারকর্তার শক্তি। নচেৎ সকলের রক্ষাই যে র্তাহার অভিপ্রায় নহে,এমত কল্পনীয় নহে। যেখানে তিনি সৰ্ব্বশক্তিমান নহেন, কল্পনা করিয়াছ, সেখানে তিনি যে সকলকে রক্ষা করিতে পারেন না, ইহাই বলা উচিভ ; সকলের রক্ষা যে র্তাহার অভিপ্রেত নহে ইহা বলিতে পার না। উত্ত্বর এই ৷ ইহারও প্রত্যুত্তর আছে । জগতের অবস্থা, জগতে যে সকল নিয়ম চলিতেছে, সে সকলের অথবা সেই সংহারিকা
পাতা:প্রবন্ধ পুস্তক-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৫
অবয়ব