পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N8 প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ আমিও তেমনি ‘অবগধা’ শব্দের প্রথম দটি বর্ণ বাদ দিয়ে পাই “গধা’। এইরূপ বৰ্ণবিচেছদের ফলে উক্ত বচনের অর্থ এই দাঁড়ায় যে, আযা ঋষিদের মতে বাঙালি আদিতে পক্ষী, অন্তে সাপ, এবং ইতিমধ্যে গদভ। ‘অবগধা’কে ‘গধা’য় রপান্তরিত করা সম্পবন্ধে কেউ কেউ এই আপত্তি উত্থাপন করতে পারেন যে, সেকালে যে গাধা ছিল তার কোনো প্রমাণ নেই। শাস্ত্ৰীমহাশয় বাঙালির প্রথম গৌরবের কারণ দেখিয়েছেন যে, পরাকালে বাংলায় হাতি ছিল, কিন্তু বাঙালির দ্বিতীয় গৌরবের এ কারণ দেখান নি যে, সেকালে এ দেশে গাধাও ছিল। কিন্তু গাধা যে ছিল, এ অনামান করা অসংগত হবে না। কেননা যদি সেকালে গাধা না থাকত তো একালে এ দেশে এত গাধা এল কোথা থেকে ? ঘোড়া যে বিদেশ থেকে এসেছে তার পরিচয় ঘোড়ার নামেই পাওয়া যায়, যথা, পগেয়া ভুটিয়া তাজি আরবি ইত্যাদি। কিন্তু গদ্যভদের এরােপ কোনো নােমরাপের প্রভেদ দেখা যায না। এবং ও-জীত যে যে-কোনো অবাচীন যাগে বঙ্গদেশে এসে উপনিবেশ স্থাপন করেছে, তারও কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। অতএব ধরে নেওয়া যেতে পারে, রাসভকুল অপর সকল দেশের নায় এ দেশে এখনো আছে, পাবেও ছিল। তবে একমাত্র নামের সাব্দশ্য থেকে এরূপ আনমান করা অসংগত হবে যে আয ঋষিবা পর্যাকালের বাঙালিদের এরপ তিবস্কারে পরিস্কৃত করেছেন। সংস্কৃত ভাষায় ‘ব্যঙ্গ” শব্দের অর্থ ব্যক্ষ । সতরাং ধরে নেওযা যেতে পারে যে, আরণ্যকশাস্ত্ৰে বােক্ষ পক্ষী সাপ প্রভাতি আরণ্য জীবজন্তুরই উল্লেখ করা হয়েছে, বাঙালির নামও করা হয় নি। অতএব আমাদের অতীত অতি-গৌরবেরও বস্তু নয়, অতিআগৌরবেরও বস্তু নয়। আর-একটি কথা। হীরেন্দ্রবাব, দর্শন শব্দের এবং যোগেশবাব বিজ্ঞান শব্দের নিরপ্তের আলোচনা করেছেন, কিন্তু যদবােব ইতিহাসের নিরন্তু সম্পৰ্ব্বন্ধে নীরব। ইতিহাস শব্দ সম্পভবত হস্য ধাতু হতে উৎপন্ন, অন্তত শাস্ত্ৰীমহাশযোেব ইতিহাস যে হাস্যরসের উদ্রেক করে, সে বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই। এম. :-) ক, আমার সময়ে সময়ে মনে হয় যে শাস্ত্ৰীমহাশয় পরাতত্ত্বের ছলে আত্মশালাঘাপরায়ণ বাঙালি জাতির সঙ্গে একটি মস্ত রসিকতা করেছেন। ऐङाष्र्छ S७२२