পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOSR প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ সাহিত্যের মলে এমন-একটি অজ্ঞাত অবাধ্য এবং অদম্য শক্তি নিহিত রয়েছে, যার eBBDDBu BBB BD DDDDB BDD DB S DDDBBDBDDDBD DS BBDBBDB উভয় স্থলেই নবসাহিত্য যে সমভাবে ও সমতেজে অঙ্কুরিত ও বধিত হচেছ, এর থেকে বোঝা উচিত যে, আমাদের জাতীয় মন কোনো নৈসগিক কারণে সহসা অসম্পভব রকম উর্বর হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে আশার বীজ বপন করাই সংগীত, নিরাশার নয়ন-আসার নয়। এ স্থলে নিজের কৈফিয়তস্বরপে একটা কথা বলে রাখা আবশ্যক। কেউ মনে করবেন না যে, আমি লেখিকাদের উপর কোনোরাপ কটাক্ষ করে। এ-সব কথা বলছি। কেননা তাঁদের রচিত সাহিত্যে এক স্বাক্ষর ব্যতীত সন্ত্রীহস্তের অপর কোনো চিহ্ন নেই। ও-সব লেখা শ্রী-স্বাক্ষরিত হলে তার থেকে ‘মতী’-ভ্ৰংশতার পরিচয় কেউ পেতেন না। এ দেশে সত্ৰী-পরিষের যে কোনো প্ৰভেদ আছে তা বঙ্গ সাহিত্য থেকে ধরবার জো নেই।

  • এত বেশি লোক যে এত বেশি লেখা লিখছে, তাতে আনন্দিত হবার অপর কারণও আছে। এই অজস্র রচনা এই সত্যের পরিচয় দেয় যে, বাঙালি জাতি এ যাগে আত্মপ্রকাশের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। যদি কেউ এ স্থলে এ কথা বলেন যে, বাঙালির রচনা যো-পরিমাণে প্রকাশিত হচ্ছে সে-পরিমাণে কিছই প্রকাশ করছে না, তার উত্তরে আমি বলব যে, বাঙালির জাতীয় আত্মা আজও গড়ে ওঠেনি এবং সে আত্মা গড়ে তোেলবার পক্ষে সাহিত্য একমাত্র না হলেও একটি প্রধান উপায়। মানষের দেহ যেমন দৈহিক ক্লিয়াগলির চচার সাহায্যে গড়ে ওঠে, মানষের মনও তেমনি মানসিক ব্রুিয়ার সাহায্যে গড়ে ওঠে। জাতীয় আত্মা আবিস্কার করবার বস্তু নয়, নিমাণ করবার বস্তু। আত্মাকে প্রকাশ করবার উদ্যম এবং প্ৰযত্ন থেকেই আত্মার আবিভােব হয়, কেননা সন্টি বহিম খী। অবশ্য আমি তাই বলে এ দাবি করি। নে যে, আজকাল যত কথা ছাপায় উঠছে তার সকল কথাই জাতীয় মনের উপর ছাপ রেখে যাবে। সে কহে বিস্তর মিছা যে কহে বিস্তর’- ভারতচন্দ্রের এ উক্তি ব্যক্তির পক্ষে যেমন সত্য, জাতির পক্ষে তেমনি সত্য। সতরাং বাঙালি জাতি যে অনেক বাক্য ব্যথা ব্যয় করছেন, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যে কথা বলবার কোনো আবশ্যকতা ছিল না। সে কথা বলা হয়েছে বলেই যে তা টিকে যাবে, এমন ভয় পাবার কোনো কারণ নেই। সাহিত্যজগৎও যোগ্যতরের উদবতানের নিয়মের অধীন। কালের নিমািম কবলে পড়ে যা ক্ষীণজীবী তা অচিরে বিনাশপ্রাপ্ত হবেই হবে। তবে বহ লোকে বহ কথা বললে অনেক সত্য কথা উন্ত হবার সম্পভাবনা বেড়ে যায়। নানা মানির নানা মত থাকাটা দঃখের বিষয় নয়। নানা মানির মতের ঐক্যটাই সাহিত্যসমাজে আসল দঃখের বিষয়। কেননা সে মত যদি ভুল DBD BD DB DDBBBD BBSDDDBD BDDD DBDB DDDSD S BB DDDBB BB DBBLB হয়। এ কথা সংস্কৃতেও লেখা আছে। এ যাগের বওগসরস্বতী। বহভাষী হলেও যে বহরমপী নন এ তো প্রত্যক্ষ সত্য। তবে আমাদের সাহিত্যের সরে যে একঘেয়ে তার কারণ আমাদের জীবন বৈচিত্র্যহীন, এবং এই বৈচিত্র্যহীনতার চর্চা আমরা একটা জাতীয় আর্ট করে তুলেছি। উদাহরণস্বরপে দেখানো যেতে পারে যে আমাদের