পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বই পড়া S8 BBDDBDBD BD DDBD DBDBB DDS DBB DBDB 0uBD GBB DDD DDBLB DDS BDBDBDB DBDBD BDBDB BS DBB gDSD D BB DDD যে সমাজে কাব্যচর্চা হচ্ছে বিলাসের একটি অঙ্গ, সে সমাজ যে সভ্য এই হচ্ছে আমার প্রথম বক্তব্য। যা মনের বস্তু তা উপভোগ করবার ক্ষমতা বাবার জাতির মধ্যে নেই, ভোগ অর্থে তারা বোঝে কেবলমাত্র দৈহিক প্রবত্তির চরিতার্থতা। ক্ষৎপিপাসার নিবত্তি পশরাও করে, এবং তা ছাড়া আর-কিছদ করে না। অপর পক্ষে যে সমাজের আয়োেসর দলও কাব্যকলার আদর করে, সে সমাজ সভ্যতার অনেক সিড়ি ভেঙেছে। সভ্যতা জিনিসটে কি, এ প্রশন কেউ জিজ্ঞাসা করলে দা কথায় তার উত্তর দেওয়া শক্ত। কেননা যােগভেদে ও দেশভেদে পথিবীতে সভ্যতা নানা মাতি ধারণ করে দেখা দিয়েছে, এবং কোনো সভ্যতাই একেবারে নিরাবিল নয়; সকল সভ্যতার ভিতরই যথেস্ট পাপ ও যথেস্ট পকি আছে। নীতির দিক দিয়ে বিচার করতে গেলে সভ্যতা ও অসভ্যতার প্রভেদ যে আকাশপাতাল, এ কথা নিভয়ে বলা যায় না। তবে মানষের কৃতিত্বের মাপে যাচাই করতে গেলে দেখতে পাওয়া যায় যে, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে কাব্য-কলায় শিলেপ-বাণিজ্যে সভ্যজাতি ও অসভ্যজাতির মধ্যে সাত-সমন্দ্রি তেরো-নদীর ব্যবধান। জনৈক ফরাসি লেখক বলেছেন যে, যিনিই মানবের ইতিহাস চর্চা করেছেন, তিনিই জানেন যে, মানষেকে ভালো করবার চেন্টা বথা। এ হচ্ছে অবশ্য ক্ষব্ধ মনের ক্লািন্ধ কথা, অতএব বেদবাক্য হিসেবে গ্রাহ্য নয়। সে যাই হোক, এ কথার উত্তরে আমি বলি যে, মানষেকে ভালো না করা যাক, ভদ্র করা যায়। পথিবীতে সনিীতির চাইতে সরাচি কিছ কম দলভ_পদাৰ্থ নয়। পরোকালে সাহিত্যের চর্চা মানষেকে নীতিমান না করলেও রূচিমান করত। সমাজের পক্ষে এও একটা কম লাভ নয়। محمد ح - | ধরে নেওয়া যাক, সেকালের নাগরিকসমাজ কাব্যকে মনের বেশভাষার উপকরণ হিসেবে দেখত। তাঁরা যে হিসাবে ওঠে যাবক ধারণ করতেন, সেই হিসাবেই কঠে শেলাক ধারণ করতেন। এ অনামান নিতান্ত অমলেক নয়। সংস্কৃত ভাষায় একটি নাতিহািসব শেলাকসংগ্ৰহ আছে, যার নাম বিদগধমখমন্ডনমা। ওরকম নামকরণের ফলে কাব্য অবশ্য রঙের কোঠায় পড়ে যায়। সে যাই হোক, নাগরিকদের বই পড়া যে একেবারে ভস্মে ঘি ঢালার শামিল ছিল না, এবং তাঁদের বৈদগধ্য যে তাঁদের মনকেষ্যত্ব অনেকটা রক্ষা করেছিল, একটি উদাহরণের সাহায্যে তার প্রমাণ দিচ্ছি। চরিত্রহীন। অথচ কলাকুশল নাগরিকদের সেকালে সাধারণ সংজ্ঞা ছিল 'বিট”। এই বিটের একটি ছবি আমরা মচছকটিকে দেখতে পাই। ঐ নাটকের রাজশ্যালক শকারের সঙ্গে বিটের তুলনা করলেই নিরক্ষর ও বিদগধ জনের প্রকৃতির তারতম্য স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায়। উভয়েই সমান বিলাসভক্ত, কিন্তু শকার পশ, আর বিট সজনী। শকারের ব্যবহার দেখলে ও কথা শনলে তাকে অর্ধচন্দ্র দিতে হাত নিশপিশ করে; অপর পক্ষে বিটের ব্যবহারের সৌজন্য, ভাষার আভিজাত্য, মনের সরসতা এত বেশি যে, তাঁকে সাদর সম্পভাষণ করে ঘরে এনে বসাতে ইচ্ছে যায়৷ দা-দন্ড আলাপ করবার জন্য। বৈদগধ্য যে একটি সামাজিক গণ, এ কথা অস্বীকার করায় সত্যের অপলাপ করা হবে। মাজিত রচি, পরিস্কৃত বন্ধি, সংযত ভাষা ও বিনীত ব্যবহার