পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SCO প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ আমাদের জাত মানষ হবে। সেইজন্য আমরা যত বেশি লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা করব, দেশের তত বেশি উপকার হবে। আমার মনে হয়, এ দেশে লাইব্রেরির সার্থকতা হাসপাতালের চাইতে কিছু কম নয়, এবং স্কুলকলেজের চাইতে কিছর বেশি। এ কথা শনে অনেকে চমকে উঠবেন, কেউ কেউ আবার হোসেও উঠবেন। কিন্তু আমি জানি, আমি রসিকতাও করছি নে, অদ্ভুত কথাও বলছি নে; যদিচ এ বিষয়ে লোকমত যে আমার মতের সমরেখায় চলে না, সে বিষয়ে আমি সম্পণে সচেতন। অতএব আমার কথার আমি কৈফিয়ত দিতে বাধ্য। আমার বক্তব্য আমি আপনাদের কাছে নিবেদন করছি, তার সত্যমিথ্যার D BBB DBBD BB DLD DBDD BB D DD DBS D BBD DD রসিকতা হিসেবেই গ্রাহ্য করবেন। আমার বিশবাস, শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না। সশিক্ষিত লোক মাত্রেই সবশিক্ষিত। আজকের বাজারে বিদ্যার দাতার অভাব নেই, এমন-কি, এ ক্ষেত্রে দাতা কণেরও অভাব নেই ; এবং আমরা আমাদের ছেলেদের তাঁদের আবারস্থ করেই নিশিচনত থাকি, এই বিশবাসে যে, সেখান থেকে তারা এতটা বিদ্যার ধন লাভ করে ফিরে আসবে, যার সদে তারা বাকি জীবন আরামে কাটিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু এ বিশ্ববাস নিতান্ত অমলক। মনোরাজ্যেও দান গ্ৰহণসাপেক্ষ, অথচ আমরা দাতার মািখ চেয়ে গ্রহীতার কথাটা একেবারেই ভালে যাই। এ সত্য ভলে না গেলে আমরা বাঝতুমি যে, শিক্ষকের সার্থকতা শিক্ষাদান করায় নয়, কিন্তু ছাত্রকে তা অজািন করতে সক্ষম করায়। শিক্ষক ছাত্রকে শিক্ষার পথ দেখিয়ে দিতে পারেন, মনোরাজ্যের ঐশবয্যের সন্ধান দিতে পারেন, তার কৌতহল উদ্রেক করতে পারেন, তার বন্ধিবত্তিকে জাগ্রত করতে পারেন, তার জ্ঞানপিপাসাকে জব্বলন্ত করতে পারেন, এর বেশি আর-কিছ পারেন না। যিনি যথার্থ গর, তিনি শিষ্যের আত্মাকে উদবোধিত করেন এবং তার অন্তনিহিত সকল প্রচ্ছন্ন শক্তিকে মন্ত এবং ব্যক্ত করে তোলেন। সেই শক্তির বলে সে নিজের মন নিজে গড়ে তোলে, নিজের অভিমতুবিদ্যা নিজে অজন করে। বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে করতে হয়। গর উত্তরসাধক মাত্র। আমাদের স্কুলকলেজের শিক্ষার পদ্ধতি ঠিক উলটো। সেখানে ছেলেদের বিদ্যে গেলানো হয়, তারা তা জীৰ্ণ করতে পারকে আর নাই পারক। এর ফলে ছেলেরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগিনিতে জীণ শীর্ণ হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে। একটা জানাশোনা উদাহরণের সাহায্যে ব্যাপারটা পরিস্কার করা যাক। আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন, যাঁরা শিশাসন্তানকে কমান্বয়ে গোেরর দািধ গেলানোটাই শিশর স্বাস্থ্যরক্ষার ও বলবন্ধির সব প্রধান উপায় মনে করেন। গোদগধ অবশ্য অতিশয় উপাদেয় পদার্থ, কিন্তু তার উপকারিতা যে ভোক্তার জীৰ্ণ করবার শক্তির উপর নিভাির করে, এ জ্ঞান ও-শ্রেণীর মাতৃকুলের নেই। তাঁদের বিশ্ববাস, ও বস্ত পেটে গেলেই উপকার হবে। কাজেই শিশ। যদি তা গিলতে আপত্তি করে, তা হলে সে যে ব্যাদাঁড়া ছেলে, সে বিষয়ে আর বিন্দমাত্র সন্দেহ থাকে না। অতএব তখন তাকে ধরে-বেধে জোরজবরদস্তি দধি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা