পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ LLLLLBLLD DLL BB DBBD sB DDD uDBBB DBDDDBSBDBD DBB DDD বিষয়ে নানা জাতীয় মতের মহলে আছে একটি বিশেষ মানসপ্রকৃতি। রাজা রামমোহন রায় কি আধ্যাত্মিক, কি সাংসারিক, যে-কোনো বিষয়ে মত প্রকাশ করেছেন। সে-সকলের ভিতর দিয়ে তাঁর অসামান্য স্বাধীনতাপ্রিয়তা সদপে ফটে বেরিয়েছে। তিনি যে বেদান্তের এত ভক্ত তার কারণ, ও-শস্ত্র হচেছ মোক্ষশাস্ত্র। যে জ্ঞানের লক্ষ্য মন্তি, ফল মন্তি, সেই জ্ঞানকে আয়ত্ত করবার উপদেশ তিনি চিরজীবন সািবজাতিকে দিয়েছেন। এ মাত্তি কিসের হাত থেকে মন্তি ? এর দার্শনিক উত্তর হচ্ছে, অবিদ্যার হাত থেকে। এই অবিদ্যা বস্তু যে কি, সে বিষয়ে তকের আর শেষ নেই; ফলে অদ্যাবধি কেউ এ বিষয়ে একটা স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন নি। অবিদ্যার মেটাফিজিক্যাল রহস্য ভেদ করবার ব্যথা চেন্টা না করেও সহজ বন্ধির সাহায্যে বোঝা যায়- বেদান্তের প্রতিপাদ্য মোক্ষ হচ্ছে ব্রহ্মবিষয়ক লৌকিক ধমের সংকীর্ণ ধারণা হতে মনের মাত্তি। আপনারা সকলেই জানেন যে, বেদান্তশাস্ত্র নেতিমািলক। বেদান্তের ‘নেতি নেতি’র সার্থকতা সাধারণ লোকের ব্রহ্মবিষয়ক সকল অলীক ধারণার নিরাস করায়। এ বিষয়ে শংকরের মত তাঁর মাখ থেকেই শোনা যাক। বেদান্তের চতুর্থ সত্রের ভায্যের দটি বাক্য এখানে উদধিত করে দিচিছ তদেব ব্ৰহ্ম ত্বং বিন্ধি নেদং যদিদমপাসতে। BBBS SS Bu DBD DB BDDBD DDD DD DDDBB SSLS BBDSS BB অন্য কোনোপ্রকারে উপাসিত হন না। ন হি শাস্ত্রমিদািতয়া বিষয়ীভূতং ব্ৰহ্ম প্রতিপিপাদয়িষতি। অস্যাৰ্থ : বেদান্তশাস্ত্র তাঁহাকে ইন্দনতারাপে (কোনোরাপ বিশেষণ দিয়া) প্রতিপাদন করিতে ইচ্ছক নহে। শাস্ত্র এইমাত্র প্রতিপাদন করে যে, ব্ৰহ্মপদাৰ্থ ইদং জ্ঞানের আবিষয়। বলা বাহাল্য ধমজিজ্ঞানের রাজ্যে, এহেন মন্তির বারতা পথিবীর অপর কোনো দেশে অপর কোনো শাস্ত্রে পাওয়া যায় না। এ মত কিন্তু নাস্তিক মত নয়, এ মত শােধ সকলপ্রকার সংকীর্ণ আস্তিক মতের বিরোধী। আধ্যাত্মিক সত্বাধীনতা যেমন প্রাচীন ভারতবর্ষের আযসভ্যতার চরম বাণী, সামাজিক সভ্যতা তেমনি বিতর্তমান ইউরোপীয় আযসভ্যতার চরম বাণী। এ সত্য আজকের দিনে আমাদের সকলেরই নিকট প্রত্যক্ষ, কেননা এ যাগের ইউরোপীয় সভ্যতার মলমন্ত্ৰ যে কী তা ইংরেজি শিক্ষার প্রসাদে আমরা সবাই জানি। কিন্তু এ দেশে বিশববিদ্যালয়ের সন্টির বহাপবে, অর্থাৎ একশো বৎসর পাবে, একমাত্র রামমোহন রায়ের চোখে এ সত্য ধরা পড়ে। ইউরোপের ঐ মহামন্ত্রই যে আমাদের যথাৰ্থ সঞ্জীবনী মন্ত্র হবে, এই বিশবাসই ছিল তাঁর সকল কথা সকল ব্যবহারের অটল ভিত্তি। তাই তিনি এক দিকে যেমন ইউরোপের পৌরাণিক ধ্যম অগ্রাহ্য করেছিলেন, অপর দিকে তিনি তেমনি ইউরোপের সামাজিক ধৰ্ম সোৎসাহে সানন্দে অঙ্গীকার করেছিলেন। এই লিবাটির ধমকেই আত্মসাৎ করে ভারতবাসী যে আবার নবজীবন নবশক্তি লাভ করবে। এই সত্য প্রচার করাই ছিল তাঁর জীবনের भथाg७ ॥