পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৬ প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ

১০

রামমোহন রায় জানতেন যে, তাঁর সবজাতি দিবলৈ ভয়াত ও দীন, এবং এরপ হবার কারণ, সে জাতির নয়শো বছরের পােব ইতিহাস এবং এই দবােল ভয়াত ও দীন জাতির দাবলতা ভয় ও দৈন্য কি উপায়ে দূর করা যায়, এই ছিল তাঁর জীবনের প্রধান ভাবনা। সতরাং তাঁকে এক দিকে যেমন গভর্নমেন্টের আইনকাননের দিকে নজর রাখতে হয়েছিল, অপর দিকে বাঙালির মানসিক ও সামাজিক মাত্তির উপায়ও নির্ধারণ করতে হয়েছিল।

šRGsef(V5 RTGS KG civil and religious liberty, Vol3 vG (RTGT জাতি যে মানষ হয়ে ওঠবার সহযোগ পায় না, এ সত্য তাঁর কাছে সম্পন্ট ছিল। এই কারণে সবজাতির সিভিল ও রিলিজিয়াস লিবাটির রক্ষাকলেপ তখনকার ইংলন্ডের রাজা চতুর্থ জজ কে তিনি যে একখানি খোলাচিঠি লেখেন, সে পত্রে তিনি এতদর স্বাধীন মনের পরিচয় দিয়েছিলেন যে, বিখ্যাত ইংরেজ দার্শনিক বোলথাম এ রচনাকে দ্বিতীয় Areopagitica। সবরপে শিরোধান্য করেন। পথিবীর স্বাধীনতার ইতিহাসে এ পত্ৰখানি একখানি মহামল্য দলিল। দঃখের বিষয় এই যে, খািব কম বাঙালির এ দলিলখানির সঙ্গে পরিচয় আছে এবং এ কালের পলিটিশিয়ানদের মোটেই নেই। নেই যে, সেটি বড়োই আশচয্যের কথা, কেননা যে কংগ্রেস তাঁদের রাজনৈতিক ব্যাবসার প্রধান সম্পবেল, সেই কংগ্রেসের মল সত্ৰগলির স্থাপনা ১৮৩২ খসেন্টাব্দে রাজা রামমোহন রায়ই করেন। অদ্যাবধি আমরা শােধ তার টীকাভাষ্যই করছি।

আধ্যাত্মিক দাসবদ্ধির মতো সামাজিক দাসবদ্ধিরও মলে আছে অবিদ্যা ; আজকালের ভাষায় আমরা যাকে অজ্ঞতা বলি, শাস্ত্রের ভাষায় তাকে ব্যাবহারিক অবিদ্যা বলা যেতে পারে।

জাতীয় মনকে এই অবিদ্যার মোহ থেকে উদ্ধার করবার জন্য রামমোহন রায় এ দেশে ইউরোপীয় শিক্ষাকে আবাহন করে নিয়েছিলেন। যে জ্ঞান সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। কিন্তু ছেরেপ কল্পনামািলক, সে জ্ঞান মানষেকে মন্তি দিতে পারে না। রামমোহন রায় আবিস্কার করেন যে, ইউরোপীয়দের অন্তত দটি শাস্ত্ৰ আছে, সত্য যার ভিত্তি : এক বিজ্ঞান, আর-এক ইতিহাস। এই বিজ্ঞানের প্রসাদে এ DDBB DD DSt DDD BBG TDB DD BB DS DBDBD g DBDBBB BDBD BBB মানবসমাজের উত্থান-পতন-পরিবতনের যথাৰ্থ জ্ঞান লাভ করা যায়; অন্তত এ দইয়ের চর্চার ফলে মানষের মন মানষি সম্পবন্ধে ও বিশব সম্পবন্ধে “বড়াই বাড়ির কথার প্রভুত্ব হতে নিম্প্রকৃতি লাভ করে। যে-কোনো ক্ষেত্রেই হোক-না কেন, অবিদ্যার হাত থেকে উদ্ধার পাওয়ার নাম মন্তিলাভ করা এবং মন্ত্যপরােষই যথাৰ্থ শক্তিমান পরব। কিন্তু যথাৰ্থ মন্তি সাধনাসাপেক্ষ। রামমোহন রায় দেশের লোককে এই সত্যমলেক ইউরোপীয় শাস্ত্রমাগে সাধনা করতে শিখিয়ে গিয়েছিলেন। তারই ফলে বতমান ভারতবর্ষে বাঙালি জাতির স্থান সবার উপরে। কি সাহিত্যে, কি আটে, কি বিজ্ঞানে, কি রাজনীতির ক্ষেত্রে, বাঙালি যে আজ ভারতবর্ষের সবােগ্রগণ্য জাতি, বাঙালির চিন্তা, বাঙালির কম আজ যে বাকি ভারতবর্ষের আদশ, বাঙালি