পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীরবল আমি সেদিন দিল্লি গিয়ে আবিস্কার করে এসেছি যে, আযাবতে আমি বীরবল” বলে পরিচিত, অবশ্য শােধ প্রবাসী বাঙালিদের কাছে। এ আবিস্কারে আমি উৎফল্প হয়েছি কি মনঃক্ষা হয়েছি, বলা কঠিন। লেখক হিসেবে আমি যে বাংলার বাইরেও পরিচিত, এ তো অবশ্য আহাদের কথা; কিন্তু আমার ধার-করা নামের পিছনে যে আমার স্বনাম ঢাকা পড়ে গেল, এইটিই হয়েছে ভাবনার কথা; কারণ আমি সম্ভবনামেও নানা কথা ও নানারকম জিনিস লিখি। এর পর আমি যে কেন ও-নাম আত্মসাৎ করেছি ও বীরবল লোকটি যে কে ছিলেন সংক্ষেপে তার পরিচয় ogब्राा जाभि उाभाब्र कडवा बाल भान कब्र। আমি যখন বালক, তখন আমার পিতার কম স্থল ছিল বেহার। কাজেই তিনি সেকালে বছরের বেশির ভাগ সময় সেই দেশেই বাস করতেন। আর আমি বাস করতুম বাংলায়, স্কুলে পড়বার জন্য। আমার বিশ্ববাস এর কারণ, বাবা মনে করতেন বেহারের আবহাওয়ায় মানষের মাথা তাদশ খোলে না, যাদশ ফোলে তার দেহ। এর ফলে তিনি আপিসের পজোর ছটিতে বাংলায় আসতেন, আর আমরা কেউ কেউ বেহারে যৌতুম স্কুলের শীতের ছটিতে। আমার বয়েস যখন এগারো বৎসর, তখন একবার আমি শীতকালে মজঃফরপর যাই। সঙ্গে ছিলেন। আমার একটি ভ্রাতা ও একটি ভগিনী। আমিই ছিলাম। সবচাইতে বয়ঃকনিষ্ঠ। দিনটে একরকম খেলাধােলায় কেটে যেত। সন্ধের পর বাড়ির अन्I भ० कभन्स द55 । বাবা তাই ঘরের ভিতর প্রকাশড একটা আঙঠি জবালিয়ে তার চার পাশে আমাদের বসিয়ে একখানি উদ বই থেকে আমাদের কেচ্ছা পড়ে শোনাতেন। এর অধিকাংশ কেচ্ছাই এই বলে শরা হত ‘আকবর বীরবল নে পছা”, আর শেষ হত বীরবলের উত্তরে। R আমি তখন তারিণীচরণের ভারতবর্ষের ইতিহাসের পারগামী হয়েছি, সতরাং আকবরশাহের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল; অর্থাৎ তিনি যে জাহাঙ্গীরের বাবা ও হামায়নের ছেলে, এ কথা আমার জানা ছিল। কিন্তু বীরবল লোকটি যে কে, হিন্দ কি মাসলমান, বাদশাহের মন্ত্রী কি ইয়ার, সে বিষয়ে আমি সম্পৰ্ণে অজ্ঞ ছিলাম; কারণ তারিণীচরণ তাঁর নাম পর্যন্ত উল্লেখ করেন নি।