পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S. f.O প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ কমকান্ডের, মধ্যের ছয় অধ্যায় যে ভক্তিকান্ডের, আর শেষ ছয় অধ্যায় যে জ্ঞানকাডের অন্তগত, এরকম তিন অংশে সমান ও পরিপাটি ভাগবাটোয়ারার হিসেব আমরা না মানলেও, এ কথা সকলেই মানতে বাধ্য যে, ও-শাস্ত্রে জ্ঞান কম ও ভক্তি তিনিই আছে। ও-গ্ৰন্থ একে তিন, কিন্তু তিনে এক নয়। গীতায় ও ত্রিকান্ডের রাসায়নিক যোগের ফলে কোনো একটি নবকান্ডের সন্টি হয় নি। এই কারণে গীতার এমন কোনো এক ব্যাখ্যা হতে পারে না, যা চড়ান্ত হিসেবে সব লোকগ্রাহ্য হবে। কেননা এ ক্ষেত্রে তিনরকম ব্যাখ্যারই সমান অবসর আছে। গীতার অন্তরে নানারপ ধাতু আছে। কোনো ভাষ্যকারই তাকে ব্যাখ্যার বলে তাঁর মনোমত এক ধাতুতে পরিণত করতে কৃতকায হবেন না- তা সে ধাতু জ্ঞানের সম্ভবণই হোক আর কমের লৌহই হোক। পদবাচায্যেরা প্রধানত গীতাভাষ্যে জ্ঞানভত্তিমােগই অবলম্পবন করেছিলেন; গীতার ধম যে মােখ্যত সন্ন্যাসের ধর্ম নয়, ভগবদগীতা যে অবধািন্তগীতা ও অন্টােবক্তগীতার জ্যেষ্ঠ সহোদর নয়, এ কথা কিন্তু আজ আমরা জোর করে। বলতে পারি। গীতার মতকে কমযোগ বলবার আমাদের অবাধ অধিকার আছে। আর যাগধমানসারে আমরা গীতা নিংড়ে সেই মতই বার করবার চেণ্টা করব। আর, এ প্ৰযত্ন মহাত্মা তিলকের তুল্য আর কে করতে পারেন ? এ যাগের তিনিই যে হচ্ছেন DBDDBuBuD BDBuBBBSS BBB DBD DDBDB BDDDB BDD DBBBDD DDD অবিদিত ? এই গীতাভাষ্যও মহাত্মা তিলকের কম যোগের অদ্ভুত ব্রুিয়া। জ্ঞানের তরফ থেকে শংকরের ভাষ্য যেমন একমেবাদ্বিতীয়ম, কমের তরফ থেকে মহাত্মা তিলকের ভাষ্যও, আমার বিশ্ববাস, তেমনি একমেবাদ্বিতীয়ম হয়ে থাকবে। 8 গীতা কম মাগের জ্ঞানমাগের কি ভক্তিমাগের শাস্ত্র, এ তাক হচেছ এ দেশের ও সেকালের। কিন্তু এই গ্রন্থ নিয়ে এ যাগে এক নতন তকের সন্টি হয়েছে। সে তকটা যে কি তা মহাত্মা তিলকের ভাষাতেই বিবত, করছি গ্রন্থ কোথায় রচিত হইয়াছে, কে রচনা করিয়াছে, তাহার ভাষা কিরাপ-কাব্যদন্টিতে তাহাতে কতটা মাধব ও প্রসাদগণ আছে, গ্রন্থের শব্দরচনা ব্যাকরণশঙ্গাধ অথবা তাহাতে কতকগলি আষাপ্রয়োগ আছে, তাহাতে কোন কোন মতের পথলের কিম্বা ব্যক্তির উল্লেখ আছে, এই-সকল ধরিয়া গ্রন্থের কাল নিৰ্ণয় করা যাইতে পারে কি না... এরপ আলোচনাকে মহাত্মা তিলক "বহিরঙ্গ পর্যালোচনা’ বলেন। এ আলোচনা আমরা অবশ্য বিলেত থেকে আমদানি করেছি। পরন্তু, এক্ষণে পাশ্চাত্য পণ্ডিতদের অন্যাকরণে এ দেশের আধনিক বিবানেরা গীতার বাহ্যিাগেরই বিশেষ অনশীলন করিতেছেন। এরপ আলোচনার প্রতি যাঁরা আসন্ত তাঁদের প্রতি মহাত্মা তিলক যে আসন্ত নন, তার পরিচয় তিনি নিজ মাখেই দিয়েছেন। তিনি বলেন বাগদেবীর রহস্যজ্ঞ ও তাহার বহিরঙ্গ-সেবক, এই উভয়ের ভেদ দর্শন করিয়া মারারি কবি এক সরস দলেটালত দিয়াছেন