পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भश्राउलान्नद्धठ ७ १ौंडा Sc মহাভারতকে এরকম দ্বিধাবিভক্ত করা নেহাত গোঁয়ারতুমি নয়। সত্যসত্যই দটি আধখানিকে গ্রথিত করে মহাভারত নামে একখানি গ্রন্থ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ চিরকালই রয়ে যাবে, কেননা মহাভারত সংক্রান্ত বড়ো বড়ো আবিস্কার সম্পবন্ধে সমান সন্দেহ রয়ে গেছে। একটি দন্টান্ত দিই। ডালমান Dahlmann নামক জনৈক ধনধাের জমােন পন্ডিত আজীবন গবেষণার ফলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, মহাভারত খসেন্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে রচিত হয়েছে। অপর পক্ষে ? হোলৎসমান Holtzmann নামক অপর-একটি সমান ধন ধাের জমান পন্ডিত আজীবন গবেষণার ফলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, মহাভারত খস্টপব পঞ্চম শতাব্দীতে রচিত হয়েছে। বলা বাহাল্য, এই উভয় আবিষকারই যগপৎ সমান সত্য হতে পারে না। ফলে এর একটিও সত্য কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ লোকের মনে থেকেই যায়। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও জমান পণিডতদের প্রতি ভক্তি কারো কমে নি। বিদ্ধবান ব্যক্তিদের পদানােসরণ করেই আমি আমার মত ব্যক্তি করছি। সে মত যাঁর খাঁশি গ্রাহ্য করতে পারেন, যাঁর খাশি অগ্রাহ্য করতে পারেন ; শধ আমার মতকে সম্পপণ্য গাঁজােখরি মনে করবেন না। আমার মত আমি শন্যে খাড়া করি নি। এ সত্যের মািল মহাভারতের ভিতরেই আছে। আপনাদের পাবে। বলেছি যে, পরাকালে ভারত-কাব্যের অপর নাম ছিল জয়-কাব্য ; অর্থাৎ এ কাবে। ছিল কুরুক্ষেত্রের যন্ধ ও যাদ্ধজয়ের কথা; সতরাং যাদ্ধজয়ের পরবর্তী কোনো বিষয়ের বণনা বা আলোচনা এতে ছিল না। মহাভারতের টীকাকার নীলকন্ঠ বলেছেন যে, মহাভারত হচেছ যাদ্ধপ্রধান গ্রন্থ, এবং ও-কাব্যের প্রধান বিষয় যা, তা শেষ হয়েছে সৌপিতকপবে। এ কথা যে সত্য, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই। যাদ্ধ করবার লোক না থাকলে আর যদ্ধ করা যায় না। আর সৌপান্তকপবের শেষে দেখতে পাই যে, অশবখামা মািমষ দিযোধনকে বলেছেন যে, উভয় পক্ষের সকল যোদ্ধা নিহত হয়েছে; অবশিষ্ট আছে শািন্ধ কৌরব পক্ষের তিনজন- কৃপাচাৰ্য কৃতবীমা ও সস্বয়ং আশবখামা। অপর পক্ষে পান্ডবদের ভিতর অবশটি আছে সাতজন, পশুপান্ডব সাতকি ও কৃষ্ণ । এ কথা বলেই আশবখামা চলে গেলেন মহাষি কৃষ্ণদ্বৈপায়নের আশ্রমে, কৃতবীমা সাবরাস্ট্রে ও কৃপাচাৰ্য হস্তিনাপারে। এইখানেই ভারতনাটকের যবনিকাপাতন হয়েছে। এর পর মহাভারতে যা আছে সে হচেছ যন্ধের নয়, শান্তির কথা। বতমান মহাভারত অবশ্য এ দেশের ওআর অ্যান্ড পীস নামক মহাকাব্য। কিন্তু মল ভারত ছিল ইলিঅডের মতো শােধ যাদ্ধকাব্য। কাব্যকে আমরা ফােল বলি। এ হিসেবে সৌপিতকপবকেই আমরা ভারত-কাব্যের শেষ পর্ণ বলে স্বীকার করতে বাধ্য। আদিপবে আছে যে, মহাভারত নামক মহাবক্ষেয় সোস্তিকপব হচেছ প্রসন, আর শান্তিপব মহাফল। ফল যখন ফলে পরিণত হয়, তখনই তা কাব্যের বহিভূত হয়ে পড়ে। আমার এ অনামান যদি সত্য হয়, তা হলে এই উত্তরভারতে কোন শেলাক প্রক্ষিপত আর কোন শেলাক নয়, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই, কারণ ও-গ্ৰন্থ আগাগোড়াই প্রক্ষিপত। প্রক্ষিপত অংশের