পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO8 প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ যদি ধরে নেওয়া যায় যে, কবিতা সংগীতের সবজাতীয়, তা হলে জিজ্ঞাসা করি, কানাড়া moral এবং কেদারা immoral, ভূপালী শালীল ও ভৈরবী অশলীল-এ- রকম কথা বলায় ছন্নতা ও মােখাতা ছাড়া আর কিসের পরিচয় দেওয়া হয় ? যদি এ মত কেবলমাত্র শ্রীযন্ত টমসনের মত হত তা হলে এ বিষয়ে কোনো কথা বলবার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু দঃখের সঙ্গে স্বীকার করতে বাধ্য হচিছ যে, আর্টের moralityর বিচার করতে অনেকে সদাই উৎসক। আমাদের ব্যাবহারিক জীবনের পক্ষে মর্যালিটি অত্যাবশ্যক এবং সেই কারণে জীবনের এই অত্যাবশ্যক বস্তুটি আমরা সবােত্রই খাজতে চাই। চুরি করা যে অধম, এ বিষয়ে আমরা সকলে একমত। যাঁর নিজে চুরি করতে আপত্তি নেই, তিনিও তাঁর জিনিস পরে চুবি করলে তাঁকে পলিসে ধরিয়ে দেন। মচ্ছিকটিক নাটকে পরের ঘরে সিদি কেটে চুরির একটি চমৎকার বর্ণনা আছে এবং শবিলকের মখে চুরিবিদ্যার একটি সরস গণকণীত না আছে। যা মানষে মাত্রেরই মতে immoral, সেই বিষয় নিয়ে কবি তাঁর কলপনা খাটিয়েছেন, অথচ অদ্যাবধি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি সংস্কৃত সাহিত্য হতে মচ্ছকটিকের ও-অংশ বহিস্কৃত করবার প্রস্তাব করেন নি। এর কারণ কি ? (এর কারণ সমাজে যা অধম, কাব্যে তা রসে পরিণত হয়েছে। ফলে মচেছকটিক পড়ে কারো মনে চুরি করবার প্রবত্তি জন্মায় নি। মর্যালিটি হচ্ছে মানষের ব্যাবহারিক আত্মার জিনিস, আর কাব্য তার অন্তরাত্মার। এই অন্তরাত্মার সঙ্গে ব্যাবহারিক আত্মার প্রভেদ কি তা জানতে চান তো দর্শনশাস্ত্রের আলোচনা করন। কাব্যের যে জীবনের উপর কোনো প্রভাব নেই, এ কথা অবশ্য আমি বলতে চাই নে ; কাব্যের আবেদন মানষের moral Sense-এর কাছে নয়, spiritual sense এর কাছে। যা সিপরিচুয়াল হিসাবে অমতে তা যে মর্যাল হিসাবে বিষ এ কথা শোভা পায় শােধ জড়বদ্ধির মাখে। বরং মানষে চিরকাল এই বিশ্ববাস করে এসেছে যে, মনের পিপরিচুয়াল খোরাক মানবাত্মার সবাঙ্গীণ পন্টি সাধন করে। এ বিশ্ববাস ভ্রান্তি নয়। ՏԳ চুলোয় যাক অন্তরাত্মা। ব্যাবহারিক আত্মার দিক থেকেই দেখা যাক। কবির সত্ৰীলোক সম্বন্ধে ধারণা (attitude) কি হিসেবে জঘন্য ? তা যে ঘণ্য সে কথা রোলো Rollo নামক অপর একটি অধ্যাপক সপোর্টাক্ষরে বলেছেন। তাঁর কথা হচেছ এই : one hates the view ; এবং টমসন এ কথা সবান্তঃকরণে সমর্থন করেন ! zî33 N(\5 rîzp woman exists for man's sake ; îbûTs51713 Çrşı 32151fat, নাকি কবির মনের কথা। তকের খাতিরে ধরে নেওয়া যাক যে তাই । চিত্রাংগদার শেষ নিবেদন এই যে, তিনি অজনের শােধ প্ৰণয়িনী নয়। তাঁর সহধর্মিণীও হতে চেয়েছিলেন। এই সহধমণীর আদশ নাকি সেকালের অসভ্যদের আদশ, হিন্দদের আদর্শ। কিন্তু একালের সভ্য মানবের, অর্থাৎ ইংরেজের, আদশ হচ্ছে সত্ৰীলোকের পরিষের সহধমনী হওয়া। পিতা যখন চিত্রাঙ্গদাকে