চিত্রাঙ্গদা। ROQ দেহের সঙ্গে নিঃসম্পকিত নয়। যেমন পার্থিব ফলের রােপ তার একমাত্র গণ নয়, উপরন্তু তার প্রাণ আছে ; তেমনি মানবপ্রেম শািন্ধ, চিদাকাশের কুসমে নয়, দেহ ও মন উভয় জগৎ অধিকার করেই তা বিরাজ করে। তার পর দেহ-মনের বিভাগটা কি তেমন সনিদিনিট ? দেহের কোথায় শেষ ও মনের কোথায় আরম্ভ, তা কি আমাদের প্রত্যক্ষ ? V93NOS (GCer ভূতময় দেহ নবদ্বারা গেহ নব-নারী কলেবরে। গণাতীত হয়ে নানা গণ লয়ে দোঁহে নানা খেলা করে। উত্তম অধম স্থাবর জঙ্গম সব জীবের অন্তরে চেতনাচেতনে মিলি দাই জনে দেহিন্দেহ রােপ ধরে। অভেদ হইয়া ভেদ প্রকাশিয়া একি করে চরাচরে ৷ যদি কোনো কবির কলপনায় দেহ-দেহীর ভেদাভেদজ্ঞান মত হয়ে ওঠে তা হলে সে কবির কলপনাকে কি শােধ দৈহিক বলা চলে? যা কেবলমাত্র দৈহিক তার অন্তরে সত্য আছে কিন্তু সৌন্দয নেই। বৌদ্ধধরা বিশ্ববাস করতেন যে, কামলোকের উপরে রপলোক বলে আর-একটি লোক আছে। যে ব্যক্তি তাঁর বর্ণিত বিষয়কে কামলোক থেকে রপলোকে তুলতে পারেন। তিনিই যথার্থ কবি। চিত্রাঙ্গদা। যে রপলোকের বস্তু, কামলোকের নয়, তা যাঁর অন্তরে চোখ আছে তিনিই প্রত্যক্ষ করতে পারেন। যাঁদের তা নেই, অর্থাৎ যাঁরা অন্ধ, তাঁদের সঙ্গে তাক করাই বথা। অজান চিত্রাওগদাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কিছ তার নাই কি বন্ধন পথিবীতে। একবিন্দ সবগ শােধ, ভূমিতলে ভুলে পড়ে 沈5匹区? চিত্রাণ্ডগদা তাই বটে। এ কাব্য সম্পবন্ধে এই শেষ কথা। Erotic কাব্য বলে কোনো বস্তু নেই, কেননা যে মহাতে কবির কলপনা কাব্য-আকার ধারণ করে সেই মাহতেই তা eroticism অতিক্রম করে। আমি পাবে বলেছি চিত্রাঙ্গদা, মেঘদত ও কুমারসম্পভবের সবজাতি এবং মেঘদত ও কুমারের মতোই তা কাব্যজগতে অমর। চিত্রাঙ্গদা একাধারে কাব্য চিত্র ও সংগীত, অতএব তা চরম কাব্য। কেননা চিত্রাঙ্গদায় আর্টের ত্ৰিধারার পণ্য মিলন হয়েছে। আর্ট হিসাবে চিত্রাংগদার আর-একটি মহাগণ তার পরিমিত ও পরিচিছন্ন আয়তন, এর আস্থায়ী-অন্তরার পর যদি আভোগ-সঞ্চারী থাকত, অর্থাৎ এ সর্বপন যদি আরো বিস্তৃত হত, তা হলে পাঠকের মন সর্বপনলোক হতে সষপিতলোকে চলে যেত। 5 8
