পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“একদল আধনিক পণ্ডিতদের মতে, শাক্যসাত্বতাদি কুল আৰ্যবংশীয় নয়। কিন্তু এ মত যে সত্য তার কোনো অকাট্য প্রমাণ নেই। এ স্থলে এথােনলজি নামক উপবিজ্ঞানের আলোচনা করা অপ্রাসঙ্গিক হবে। তবে এইটকু বলে রাখা দরকার যে, এথনোলজিস্টদের হাত এখন আমাদের মাথা থেকে নেমে নাকের উপর এসে পড়েছে, সম্পভবত পরে দাঁতে গিয়ে ঠেকবে। যাঁরা মস্তকের পরিমাণ থেকে মানবের জাতিগত শ্রেদ্ঠত্ব এবং হীনত্ব নিণয় করতেন তাঁদের মস্তিকের পরিমাণ যে সবলপ ছিল এ সত্য এথনোলজিস্টরাই প্রমাণ করেছেন। এখন এদের বিজ্ঞানের প্রাণ নাসিকগত হয়েছে। কিন্তু সে প্ৰাণ যতদিন না ওষ্ঠাগত হয় ততদিন এরা শাক্যসিংহের জাতি নিৰ্ণয় করতে পারবেন না। কেননা বদ্ধদেবের দন্ত রক্ষিত হয়েছে, নাসিকা হয় নি।” ১ DBBBD DBD DD D BuBuBDBD DDD S BBBBD BD DBDBBDBD শত্ৰহস্যে ও দটি-একটি উপমার বিস্ময়ের চমকে একটি রসবস্তু গড়ে উঠত। রামেন্দ্ৰসন্দরের হাতের বিজ্ঞানবন্ধির তীক্ষা আলোতে এ অপবিজ্ঞানের সমস্ত ফাঁক প্রকট হত। প্রমথ চৌধরিী বিজ্ঞানের চমে ঢাকা অজ্ঞানের বকে সোজাসবজি ছরি বসিয়েছেন। সে ছারির ধার ও ঔজবল্য চোখে ধাঁধা লাগায়। কিন্তু সে ছরি যে খােন করার ছরি তাতে সন্দেহ থাকে না। এই অলপ কয়েক লাইন লেখার মধ্যে নানা জ্ঞানের ইঙ্গিত ছড়ানো রয়েছে। কিন্তু তাদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নেই! যে মারাত্মক ব্যঙ্গ এর লক্ষ্য তাতে ভার ও ধার জোগানোই এদের কাজ । প্রমথ চৌধরিী মহাশয়ের প্রবন্ধের অনেকগালি এইরকম বিতকামলক । কোনো প্রাচীন কি নবীন প্রচলিত ও প্রচারিত মতকে পরীক্ষা ক’রে প্রায়ই তার উচ্ছেদ করা এদের লক্ষ্য। এ পরীক্ষায় যান্তি ও তাঁকের অনেক বিচার, দেশী ও বিদেশী তথ্য ও তত্ত্বের বহ আলোচনা। সে বিচার ও আলোচনার সামর্থ্য অলপ লেখকেরই থাকে। তার মলে আছে অসামান্য ধীশক্তির বহ বছরের নানা জ্ঞান ও চিন্তার অনন্যমনা চৰ্চা। কিন্তু পাঠকের মনে এ-সব প্রবন্ধের প্রথম ও প্রধান আকৰ্ষণ এ বিচার ও আলোচনার বিষয়বস্তুর নয়। বিচার ও আলোচনায় প্রবন্ধ কোথায় পৌছল। সে মীমাংসারও নয়। যা প্রথম থেকে পাঠকের মনকে সজাগ ও মগধ রাখে সে হচ্ছে বিচার ও আলোচনার প্রকাশের ভঙ্গি। এই-সকল প্রবন্ধে প্রমথ চৌধরিী যে রচনারীতি এনেছেন বাংলা সাহিত্যে তা নতেন। যে-সব প্ৰবন্ধ বিতকামলক নয়। তারও রচনারীতি নতেন। বিষয়বৈচিত্র্যের অবধি নেই। ভাষা সাহিত্য, শিক্ষা সভ্যতা, প্রত্নতত্ত্ব ইতিহাস, সমাজ পলিটিক্স, চিরন্তন ও সাময়িক সকলের সেখানে স্থান। नाना ख्वान् ९७ दिमाद्र अब्उCख्ािौं বিশেলষণ করেছেন যেন সহজ ঘরোয়া কথায়। যা প্রাচীন, সতরাং নমস্য ও তকাতীত, বৰ্তমানের আলো ফেলে তার স্বরূপ প্রকাশ করেছেন। যা আধনিক ও সাময়িক, অতিপ্রাচীনের মধ্যে তার ছবি আবিস্কার করে মানষের মন ও চরিত্রের মলে ঐক্য দেখিয়েছেন। আর, সকল আলোচনাকে অনস্যুত করে আছে এক

  • আবােধমের সহিত বাহ্যধমের যোগাযোগ”। সবজি পত্র, মাঘ ১৩২২

SR