পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্যে অশলীলতা- আলংকারিক মত RSలి এ বিষয়ে রচির পরিচয় দিতে চেন্টা করব। বলা বাহাল্য, শলীলতা-অশলীলতা সরোচির কথা, সন্নীতির কথা নয়। কাব্যের দোষগণের একটি সহজবোধ্য ফদের সাক্ষাৎ আমরা কাব্যাদিশেই পাই। কাব্যাদশ পরোনো গ্রন্থ, সতরাং এ বিষয়ে প্রথমেই কাব্যােদশের কথা ধরা যাক। দন্ডী বলেছেন কামং সর্বোহ প্যালংকারো রসমর্থে নিষিণগুতি, তথ্যপ্যগ্রামাতৈ বৈনং ভারং ব্যহতি ভূয়সা। অর্থাৎ, যদিও সব প্রকার অলংকার অর্থে রসসিঞ্চন করে, তবও অগ্রাম্যতাই এ ভার বিশেষরূপে বহন করে। দন্ডীর মতে অলংকারের সার্থকতা হচ্ছে কাব্যের অর্থের রস ফাটিয়ে তোলায়, কিন্তু অগ্রাম্য মনোভাব ও অগ্রাম্য শব্দের সাহায্যেই তা সমসাধ্য হয়। প্রেমচাঁদ তর্কবাগীশ উক্ত শেলাকের ব্যাখ্যাস ত্রে বলেছেন সালংকারতয়া রাসব্যঞ্জকোহথো মধর ইতি প্রতিপাদিতম। প্রাচীন আলংকারিকদের মতে বস্তু ন্যাপি রসস্থিতিঃ। অতএব দাঁড়াল এই যে, কাব্যের অর্থগত মাধয অলংকারের সাহায্যে আরো মধ্যর হয়, যদি না কাব্যের শব্দ ও অর্থ গ্রাম্যতাদোষে দন্ট হয়। VO আমরা অশলীল বলতে যা বঝি, দন্ডী গ্ৰাম্য বলতে তাই যে বৰ্ব্বতেন তার প্রমাণ তাঁর উদাহৃত কোনো কোনো শেলাকের প্রতি দণ্টিপাত করলেই পাওয়া যায়। গ্ৰাম্য শব্দের অর্থ অবশ্য vulgar, তবে ইংরেজিতে যাকে indecent বলে তাকে vulgar বললে অত্যুক্তি হয় না। এখন প্রশন হচ্ছে, অশলীলতা কাব্যের দোষ কেন। আলংকারিকদের মতে যা রসের প্রতিবন্ধক তাই দোষ, এবং যেহেতু অশলীলতা বিশেষরক্ষপে রসের প্রতিবন্ধক, সে কারণ তা কাব্যের বিশেষ দোষ । রসের স্থিতি বস্তুতে কি মানষের মনে ? কাব্যরস অলংকারের সংযোগে ফটে ওঠে কি চেপে যায়, অশলীলতা রসের প্রতিবন্ধক কি সহায়ক ? এ-সব দার্শনিক তাক এ স্থলে তোেলবার প্রয়োজন নেই। কারণ আলংকারিকদের বক্তব্য যে কি, তা চািপলট বোঝা যাচেছ। তাঁদের মতে অশলীলতাদোষ হচেছ কাব্যদেহের দোষ, অপর কোনো বস্তুর নয়। তাঁদের বিচার পোয়েটিকস-এর অন্তভূতি, এথিকসএর নয়। সম্ভবত এই কারণে হল প্রমািখ ইংরেজদের মতে যে কাব্য ঘোর অশলীল বলে গণ্য, সে কাব্য আলংকারিকদের কাছে সরস বলে মান্য হয়েছে। এর থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, আমাদের পবর্ণপরিষদের কাব্যবিচারের ম্যাগ ছিল। উনবিংশ শতাব্দীর ইঙ্গমাগ্য হতে সম্পপণ্য বিভিন্ন। প্রকাশকার বলেছেন যে, কবির ভারতী নিয়তিকৃতিনিয়মরিহিতাং হাদৈকময়ীমনন্যপরতন্ত্রাম।