SR SR প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ আর ভাবের সপশেই মানষের মনোভাব বদলে দিতে পারে, তেল-নন-লকড়ির কথাতে পারে না ; কারণ সে কথা মানষের অন্তরাত্মাকে সপশ করে না। এখন প্রশন হচ্ছে, যে বাক্য সামাজিক লোকদের মনে এই জাতীয় আশঙ্কার উদ্রেক করে, সে বাক্য রসের প্রতিবন্ধক কি না। SO সংস্কৃত আলংকারিকরা ইংরেজিতে যাকে বলে মর্যালিটি তার বিশেষ বিচার করেন। নি। তবও এ কথা নিভয়ে বলা যায় যে, যে উক্তি মানষের মর্যাল সেনাসকে পীড়িত করে, তাও ছিল তাঁদের মতে কাব্যে বজনীয়। কবি রাজশেখর তাঁর কাব্যমীমাংসায় বলেছেন অসদাপদেশকত্বাত্তহি নোপদেস্টব্যং কাব্যম ইত্যপরে। অর্থাৎ অপর আলংকারিকদের মতে কাব্যে অসদ পদেশ দেওয়া অকতব্য। কিন্তু তাঁর মতে 码 অসত্যয়ামপদেশঃ কিন্তু নিষেধ্যত্বেন ন বিধেয়ত্বেন। অর্থাৎ অসাধপদেশেরও কাব্যে স্থান আছে, কিন্তু নিষেধ হিসাবে, বিধি হিসাবে নয়। রাজশেখরের সঙ্গে অপর আলংকারিকদের মতের প্রভেদ কোথায়, বোঝা কঠিন। বোধ হয়। অপর আলংকারিকদের মতে অসদপদেশ কাব্যে একেবারে বজনীয়, কিন্তু রাজশেখরের মতে কাব্যে সে উপদেশ থাকতে পারে, কবি যদি সে উপদেশকে অসৎ বলেই উল্লেখ করেন। কাব্যের প্রভাব যে লোকের মনের উপর প্রবল, সে ধারণা তাঁদেরও ছিল। রাজশেখর বলেছেন কবিবচনায়ত্তা লোকযাত্রা। সা চ নিঃশ্রেয়সমােলম। এর বাংলা : লোকের জীবনযাত্রা কবিবচনের আয়ত্ত এবং সে জীবনযাত্রার মািল হচেছ নিঃশ্রেয়স, ইংরেজিতে যাকে বলে virtue, welfare । যাঁরা বিশ্ববাস করতেন। যে মর্যালিটি হচ্ছে জীবনযাত্রার মািল, তাঁদের মতে কাব্যের ফলে সে মল হতে বিচ্ছিন্ন নয় এবং সে মহলের সংস্কার কাব্যকুসমের অন্তনিহিত। এর থেকে দেখা যায় অশলীলতার ন্যায় অসদ পদেশও সেকালেও কাব্যের দোষ বলেই গণ্য ছিল। তবে আমাদের সঙ্গে তাঁদের প্রভেদ এই মাত্র যে, তাঁরা অসৎ বাক্যকে এস থেটিক ইমোশনের প্রতিবন্ধক হিসেবে দািট মনে করতেন, অপর পক্ষে আমরা আমাদের সোনার সংসার ছারখারে যাবে, এই ভয়েই অস্থির। এ প্রভেদ মস্ত প্ৰভেদ। কাব্যমীমাংসার ক্ষেত্রে তাঁরা ছিলেন beautyর অন্যরক্ত, আমরা হয়েছি। utilityর ভক্ত। ܠ ܠ আমরা যে এস থেটিক ইমোশনকে আমল দিই নে, তার কারণ আমরা ইংরেজিশিক্ষিত। ইংলন্ডের জনসাধারণ যে এ রিসে বঞ্চিত, এ কথা সব বাঁদিসম্পমতি। আমি পাবে বলেছি, ইংরেজ জাতি ঘোর নৈতিক ব'লে গণ্য, তবে মর্যালিটিকে তারা ইউটিলিটিতে পরিণত করেছে। আমরা ইংরেজের শিষ্য, ফলে আমাদের সন্দর-অসন্দের সৎ-অসৎ সত্যমিথ্যার জ্ঞান, ইংরেজি জ্ঞানের অন্যােরােপ। কাব্য
