পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হর্ষচরিত MOS হর্ষ সম্পবন্ধে দজন লোক দ্য ভাষায় দহখানি বই লিখেছেন, এবং সেই দািখানি বইয়ের উপরই আমাদের হর্ষচরিত খাড়া করতে হবে। একটি লেখক হচ্ছেন হিউয়েন সাং ওরফে ইউয়ান চোয়াং নামক চৈনিক পরিব্রাজক ; এবং দ্বিতীয় লেখক হচ্ছেন বাণভট্ট। চীনে লেখক অবশ্য চীনে ভাষাতেই লিখেছেন, আর বলা বাহাল্য, সে ভাষায় বর্ণপরিচয় আমাদের কারো হয় নি। ফলে তাঁর গ্রন্থ থেকে হষের ইতিহাস উদ্ধার করা আমাদের পক্ষে একেবারেই অসাধ্য। তার পর বাণভট্টের হর্ষচরিতের অর্থ গ্রহণ করা অসাধ্য না হোক, দাসাধ্য ; শধ আমাদের পক্ষে নয়, পন্ডিতমহাশয়দের পক্ষেও। বাংলাদেশে ১৯৩৯ সংবতে বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রথমে মল হর্ষচরিত প্ৰকাশ BBODD DBD BB DDBDBBB DDD DBBDY বাণভট হর্ষচরিত নামে গদ্য গ্ৰন্থ লিখিয়াছিলেন, ইহা আমি পাবে অবগত ছিলাম की । এর থেকে অনামান করা যেতে পারে যে, অপর কোনো পন্ডিতই অবগত ছিলেন না। আর বোধ হয়, সহজবোধ্য নয় বলেই বাংলার পন্ডিতসমাজে এ গ্রন্থের পঠনপাঠন ছিল না। এ গ্রন্থ যে দক্ষপাঠ্য, তার প্রমাণ, বিদ্যাসাগর মহাশয় আরো বলেছেন যে, হর্ষচরিতের ‘অনায়াসে অর্থবোধ জন্মে না’। শােধ বাংলার পন্ডিত কেন, অন্য প্রদেশের পন্ডিতদেরও ঐ একই মত। মহাকবি-চড়ামণি শংকর, হৰ্ষচরিতের সংকেত নামক যে ব্যাখ্যা লিখেছেন, তা এই ব’লে শেষ করেছেন দবোধে। হর্ষচরিতে সম্প্রদায়ান রোধিতাঃ। গঢ়াথোন্মাদ্রাণাং চক্লে শংকরো বিদ্যষাং কৃতে ৷ অর্থাৎ হর্ষচরিতের ব্যাখ্যাও আমাদের জন্য লেখা হয় নি, লেখা হয়েছিল ‘বিদ্যষাং কৃতে: ; ফলে এ মহাপরিষের চরিত 'শ্রোতুং’ আমাদের কৌতহল থাকলেও সে কৌতহ’ল চরিতাৰ্থ করবার সংযোগ আমাদের ছিল না। O আমাদের মহা সৌভাগ্য এই যে, উক্ত উভয় গ্ৰন্থই ইংরেজিতে ভাষান্তরিত হয়েছে, এবং সেই দািখানি ইংরেজি অনাবাদের সাহায্যে শ্রীযন্ত রাধাকুমদ মখোপাধ্যায়। একখানি নব-হর্ষচরিত রচনা করেছেন। তাঁর রচিত হর্ষচরিত আমরা অবলীলাৱক্ৰমে পড়তে পারি, কিন্তু তিনি অবলীলাক্রমে এ গ্রন্থ রচনা করেন নি। বহর পরিশ্রম করে তাঁকে তা রচনা করতে হয়েছে। প্রথমত, বাণভট্টের ইংরেজি তরজমাও সপাঠ্য নয়। তার পর বাণভট্ট লিখেছিলেন। কাব্য, সতরাং সমস্ত কাব্যখানিই তাঁর মনঃকলিপত কি না, এ বিষয়ে সন্দেহের অবসর আছে। কেননা, স্বয়ং বাণভট্টই তাঁর রচিত কাদম্বরীর গোড়াতেই লিখেছেন যে অলৰধবৈদগধ্যবিলাসমািধয়া ধিয়া নিবন্ধেয়মতিদ্বয়ী কথা। অর্থাৎ যদিচ তাঁর কোনোরপে বৈদগধ্য ছিল না, তবও তিনি শখের বশীভূত হয়ে