পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হষচরিত SOc দেওয়া হয়েছিল, কেননা বাণভট্ট খাব ঘটা করে তার বর্ণনা করেছেন। দঃখের বিষয়, বিবাহ-উৎসব ও বিবাহমন্ডিপের সাজসজার বণনা ভালো বোঝা যায় না। বিবাহমগ্ৰিডপ কিসের হবারা ?-- ক্ষৌমৈশ্চ বাদরৈশ্চ দকলৈশচ লালাতন্তুজৈশচাংশকৈশচ নেত্ৰৈশচ নিমোিকনিভৈরকঠোররফভাগাভা কোমলৈ নিশবাসহাযৈঃ সপশানামেয়ৈবাসোভিঃ।। এ-সব জিনিস কি ? টীকাকার বলেন, বস্ত্রবিশেষ ; অভিধানেও এর বেশি কিছ বলে না। তবে আমরা এই পর্যন্ত অনমান করতে পারি যে, “বান্দর’ খন্দর নয়, কেননা, বাদরের রােপ ঈদুধনার, আর তা ফয়ে উড়ে যায়, নাহয় তো দেখতে সাপের খোলসের মতো আর অকঠোররশভাগাভা কোমল। সংক্ষেপে এ-সব কাপড় এত মিহি যে, তারা কেবলমাত্র সপশান মেয়। এ বর্ণনা থেকে এইমাত্র জানা যায় যে, হষযাগের ভারতবর্ষ মোটা ভাত মোটা কাপড়ের দেশ ছিল না। বাণভট্টের হর্ষচরিত থেকে, রাজরাজড়াদের না হোক, অন্নবস্ত্রের ইতিহাস উদ্ধার করা সহজ। এর কিছুদিন পরে রাজা প্রভাকরবর্ধন হীনপশদের বধ করবার জন্য রাজ্যবধানকে উত্তরাপথে পাঠিয়েছিলেন। হর্ষবর্ধনও হিমালয়ের উপকণ্ঠে বাঘভালক শিকার করতে গেলেন। বলা বাহাল্য যে, হর্ষদেব সবলপীয়োভিরেব দিবসৈনিঃশব্যাপদান্যরণ্যানি চাকার। এমন সময়ে তিনি খবর পেলেন যে প্রভাকরবধান কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি রাজধানীতে ফিরে এলেন, এবং পরদিনই তাঁর পিতার মাতু্য হল ও রানী যশোবতী সহমরণে গেলেন। তার পর রাজ্যবধােন দেশে ফিরে এসে কনিষ্ঠ ভ্রাতা হৰ্ষকে রাজ্যভার গ্রহণ করতে অনরোধ করলেন ; কারণ পাব হতেই সংসার ত্যাগ করবেন বলে তিনি মন স্থির করেছেন, উপরন্তু পিতৃশোক তাঁকে একান্ত কাতর করে ফেলেছে। রাজ্যবধান সর্পমটিই বললেন যে সিরিয়ো হি বিষয়ঃ শচাম। তথাপি কিং করোমি। সর্বভাবস্য সেয়ং কাপরিষতা ৰা সৈন্ত্ৰণং বা যাদেবমাপদং পিতৃশোকাহতভুজো জাতোহসিম । কিন্তু হর্ষ কিছতেই বড়ো ভাইকে টপকে সিংহাসনে চড়ে বসতে সন্মত হলেন না । সফরগেিভরিন্দ্রায়াধসহসৈরিব সংছাদিতম। শোকাবিমাৰ্চ ভ্রাতৃদ্বয় কিংকৰ্তব্য স্থির করতে পারছেন না, এমন সময় রাজা শ্রীয় সংবাদক নামক পরিচারক এসে উপস্থিত হয়ে নিবেদন করলে যেদিন অবনীপতির মাতুর সংবাদ এল, সেইদিনই দরাত্মা মালবরাজ গ্রহবর্মকে বধ করে রাজা শ্ৰীর পায়ে বেড়ি পরিয়ে কান্যকুৰোিজর কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। এ সংবাদ শানে রাজ্যবর্ধনের হৃদয়ে শোকাবেগের পরিবতে রোষাবেগ স্থান লাভ করলে, ও তিনি হৰ্ষকে সম্বোধন করে বললেন