পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नाथलाषा बनाभ bीव्णऊ ख्ाषा * RA& পারবেন। তিনিই তার রসাস্বাদ করতে পারবেন। আমাদের নব্যলেখকেরা যদি মনোযোগ দিয়ে প্রবোধচন্দ্রকা পাঠ করেন, তা হলে রচনা সম্পবন্ধে অনেক সদ্যপদেশ লাভ করতে পারবেন। যথা, ‘ঘট'কে “কম্ব গ্রীব বকোদার’ বলে বর্ণনা করলে তা আর্ট হয় না, এবং নর ও বিষাণ। এই দলটি বাক্যকে একত্র করলে "নরবিষাণ’ রােপ পদ রচিত হলেও তার অন্যরাপ মানষের মাথায় শিং বেরোয় না; যদি কারো মাথায় বেরোয় তো সে পদকতার। রাজা রামমোহন রায় এবং মাতৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকারের লেখার দোষ ধরা সহজ কিন্তু আমরা যেন এ কথা ভুলে না। যাই যে, এরাই হচ্ছে বাংলা ভাষায় সব প্রথম গদ্যলেখক। বাংলার গদ্যের রচনাপদ্ধতি এদেরই উদভাবন করতে হয়েছিল। তাঁদের মশাকিল হয়েছিল শব্দ নিয়ে নয়, অন্বয় নিয়ে। রাজা রামমোহন রায়, তাঁর রচনা পড়তে হলো পাঠককে কি উপায়ে তার অন্বয় করতে হবে, তার হিসেব বলে দিয়েছেন। :৩০, রামমোহনের গদ্য যে আমাদের কাছে একটা অদ্ভুত লাগে, তার প্রধান কারণ হচ্ছে যে, তাঁর বিচারপদ্ধতি ও তাঁকের রীতি সম্পণেরপে সংস্কৃতশাস্ত্রের ভাষ্যকারীদের অন্যরােপ। সে পদ্ধতিতে আমরা গদ্য লিখি নে, আমরা ইংরেজি গদ্যের সহজ এবং স্বচ্ছন্দ গতিই অনাকরণ করতে চেষটা করি। রামমোহন রাধের গদ্যে বাগাড়ম্বর নেই, সমাসের নামগন্ধও নেই, এবং সে ভাষা সংস্কৃতিবহলও if(2) || তার পব বিদ্যাসাগর মহাশয়ের গদ্য যে আমরা standard prose হিসাবে দেখি, ৩ার কারণ, তিনিই সব প্রথম প্রাঞ্জল গদ্য রচনা করেন । সে ভাষার মযাদা তার সংস্কৃত<হলতার উপর নয়, তার Syntaxএর উপর নিভাির করে। রাজা রামমোহন বায়ের ভাষার সঙ্গে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভাষা তুলনা করে দেখলে পাঠকমাত্ৰই -বুঝতে পারবেন যে, অন্বয়ের গণেই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভাষা সখিপাঠ্য হয়ে ଔt୪Cଜ୍ଞ । এই-সব কারণেই পন্ডিত বাংলার সঙ্গে আমার কোনো ঝগড়া নেই। ব্ৰাহ্মণপন্ডিতেরা বঙ্গ ভাষার কোনো ক্ষতি করেন নি, বরং অনেক উপকার করেছেন। বিশেষত সে ভাষা যখন কোনো নব্যলেখক অনাকরণ করেন না, তখন তার বিরুদ্ধে আমাদের খড়গহস্ত হয়ে ওঠবার দরকার নেই। আসল সব নোশে ভাষা হচ্ছে 'চন্দ্ৰাহত সাহিত্যিক’র ইংরেজি বাক্য এবং পদকে যেমন-তেমন ক’রে অন্যবাদ ক’রে যে খিচুড়ি-ভাষার সন্টি করছেন, সেই ভাষা। সে ভাষার হাত থেকে উদ্ধার না। পেলে বঙ্গ সাহিত্য অতুিড়েই মারা যাবে। এবং সেই কৃত্রিম ভাষার হাত এড়াতে হলে মৌখিক ভাষার আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আমাদের উপায়ান্তর নেই। সতরাং ‘আলালি’ ভাষাকে আমাদেব শোধন করে নিতে হবে। বাবা-বাংলার কোনোরাপ সংস্কার করা অসম্পভব, কারণ সে ভাষা হচ্ছে পড়িত বাংলার বিকারমাত্র। দধি একবার ছিড়ে গেলে তা আর কোনো কাজে লাগে না। ললিতবাবর মতে পন্ডিাতি ংলার ‘বঠোর অস্থিপঞ্জির পাঠ্য-পস্তক-নিবাচন-সমিতির বায়-শান্য টিনের কৌটায় রক্ষিত'। আমি বলি তা নয়। স্কুলপাঠ্য-পশ্চিতকরপ টিনের কৌটায় যা রক্ষিত হয়ে থাকে, তা শােধ সাধভাষারপ নাটানো গোেরর দধে। সতরাং সেই টিনের গোরার