ভারতবষের ঐক্য RAS কোনো দেশ ভারতবর্ষেরও বহির্ভূত, এবং বিশেষ করে একটি দেশ পথিবীর বহিভূত। 32 পর্ব দিকে প্রাচ্যগণের রাজা সমাটা, দক্ষিণ দিকে সত্ত্বৎগণের রাজা ভোজী; পশ্চিম দিকে নীচ্য ও অপাচ্যদিগের রাজা স্বরাট; উত্তর দিকে হিমবানের ওপারে যে উত্তরকুর ও উত্তরমদ জনপদ আছে, তাহারা দেবগণের ঐ বিধানানসারে বৈরাজ্যের জন্য অভিষিক্ত হয়, অভিষেকের পরে তাহারা বিরাট নামে অভিহিত হয়। মধ্যমদেশে সবশ উশী,নৱগণের ও কুরপাgালগণের যে-সকল রাজা আছেন তাঁহারা রাজা নামে অভিহিত হন। এবং উধৰ্ব্বদেশে (অন্তরীক্ষে) ইন্দ্র পারমেন্ঠ্য লাভ করিয়াছিলেন। উপরোক্ত উদধত বাক্যগলি থেকে দেখা যায় যে, দেশভেদ অননুসারে সে যাগের রাজাদের নামভেদ হয়েছিল, পদমর্যাদা অনসারে নয়। উক্ত ব্ৰাহ্মণে একরাট শব্দও ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু সে একরাট, একসঙ্গে স্বরাট বিরাট সমাট, সব রাটি হতে পারতেন; অর্থাৎ তিনি সবদেশ বিদেশ এবং আকাশদেশের রাজা হতে পারতেন ! বলা বাহাল্য, এরপ একরাটের নিকট ভারতবর্ষের একরাষ্ট্ৰীয়তার সন্ধান নিতে या७श्ा बथा । আসল কথা এই যে, রাজনীতি অর্থে আমরা যা বাঝি ও চাণক্য যা বঝতেন, ব্ৰাহ্মণগ্রন্থে তার নামগন্ধও নেই। বাজপেয় রাজসময় অশবমেধ পনরাভিষেক ঐন্দ্রমহাভিষেক-এ-সব হচ্ছে যজ্ঞ। এবং এ-সকল যজ্ঞের উদ্দেশ্য রাজ্যপথাপনা নয়, পরোহিতকে ভুরি দান করানো এবং ঐরােপ যজ্ঞ দ্বারা যজমানের অভু্যদয় সাধিত হতে পারে, তাই প্রমাণ করা। রাধাকুমদাবাব তাঁর পস্তিকাতে পরাকালে যাঁরা একরােট-পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন তাঁদের নামের একটি লম্পাবা ফাঁদ ঐতরেয় ব্রাহ্মণ হতে তুলেছিলেন। সম্পভবত তিনি উক্ত রাজাগণের সাবভৌম সাম্রাজ্যলাভ ঐতিহাসিক ঘটনা বলে মনে করেন, কিন্তু আমরা তা পারি নে। কারণ উক্ত ব্ৰাহ্মণের মতে ঐন্দ্ৰমহাভিষেকের বলেই প্রাচীন রাজারা ঐ ইন্দ্ৰবাঞ্ছিত পদ লাভ করেছিলেন। মন্ত্রবলে এবং যজ্ঞফলে তােদশ বিশ্ববাস না থাকার দরবন আমরা উক্ত রাজযজমানদের ঐরােপ আত্যন্তিক অভু্যদয় এবং রাজপরোহিতদের তদনরাপ দক্ষিণােলাভের ইতিহাসে যথোিট আস্থা স্থাপন করতে পারি নে। রাধাকুমদবােব নামের ফদের পাশাপাশি যদি দানের ফাঁদটি তুলে দিতেন, তা হলে পাঠকমাত্রেই ঐতরেয় ব্রাহ্মণের কথা কতদর প্রামাণিক তা সহজেই বৰ্ব্বতে পারতেন। ঐন্দ্রমহাভিষেক উপলক্ষে দান করা २V5 বন্ধ শতকোটি গাভীর মধ্যে প্রতিদিন মাধ্যন্দিন সবনে দই দাই সহস্র। আটাশি হাজার পদ্ঠবাহনযোগ্য শেবত আশব। এদেশ ওদেশ হইতে আনীত নিকিকন্ঠী আঢ্য দহিতার 381 प्रभा नट्टन। এরপ দানের দাতা দলভ হলেও গ্রহীতা আরো বেশি দলভ। এত গোর, এত ঘোড়া এত বনিতা রাখি কোথায় আর খাওয়াই কি, এ প্রশন বোধ হয় দরিদ্র ব্ৰাহ্মণের মনে উদিত হত। ব্ৰাহ্মণগ্রন্থ এই সত্যেরই পরিচয় দেয় যে, সে যাগে এমন বহ ক্ষত্রিয় ছিলেন যাঁদের নিজেদের কোযবদ্ধি এবং অধিকারবন্দির প্রতি লোভ ছিল, এবং তাঁরা ব্ৰাহ্মণদের তন্তরমন্তরজাদাতে বিশ্ববাস করতেন। ঐতরেয়
