পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OO Vy প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ কাশমীরে নাংঘা পর্বত উচুতে ২৬,৬২১ ফন্ট, তিব্বতে নন্দাদেবী। ২৫,৬৪৫, নেপালে ধবলগিরি ২৬,৭১৯ ফন্ট, এভারেস্ট ২৯,oo২, কিনচিনজঙ্গা ২৮,১৪৬ ৷ এখন এ পবীত প্রস্থে কত বড়ো তা শোনো - ভারতবর্ষের পশ্চিমে যে দেশ আছে, সে দেশকে আমরা ইরান বলি; আর উত্তরপশ্চিমে যে দেশ আছে, তাকে তুরান বলি। ইরান ও তুরানে এই পবিত কোথাও চারশো মাইল, কোথাও আটশো মাইল চওড়া। এ মহাপবিতের অনেক BBBD BBSS BB DBDBDDD DBDB BDD DDBDBS S BDDDBDBD প্রায় চৌম্পদ হাজার ফন্ট উচু। এই পামিরের উত্তরে এ পবতের প্রস্থ হচ্ছে বারোশো মাইল, এবং এর সঙ্গে এ পবতের নিম্পনাংশ অর্থাৎ উপত্যকাগলি যদি যোগ দেওয়া যায়, তা হলে এ ব্যবধানের প্রস্থ হয়। দ্য হাজার মাইল- অর্থাৎ হিমালয় হতে কন্যাকুমারিকা যতদর ততদাের। এর থেকে দেখতে পােচ্ছ যে, এশিয়ার উত্তরাপথ ও দক্ষিণাপথকে এক দেশ বলা কতদর সংগত। এই কারণে এশিয়ার উত্তরাখণডকে একটি উপমহাদেশ বলা হয়। আর তার দক্ষিণাপথের পশ্চিম ভাগকে দ্বিতীয়, পাব ভাগকে তৃতীয়, তার মধ্য ভাগকে চতুৰ্থ উপমহাদেশ বলা যায়। এই মধ্যদেশই ভারতবর্ষ। ভূমধ্য পর্বত থেকে এই চারটি উপমহাদেশ ঢাল হয়ে সমদ্রের দিকে নেমে এসেছে। ফলে উত্তর ভাগের সকল নদী উত্তরবাহিনী, ও তারা সব গিয়ে পড়ে আকর্ণাটক সমদ্রে; পশ্চিম ভাগের জল গড়িয়ে পড়ে ভূমধ্যসাগরে, পাব ভাগের জল প্রশান্ত-মহাসাগরে ও মধ্যদেশের জল ভারত-মহাসাগরে। মধ্য এশিয়া পর্বতময়। আর এ পর্বত অর্ধেক এশিয়া জড়ে বসে আছে। আর তার চার পাশের চার ভাগের প্রকৃতি ও চরিত্র সম্পপণ্য বিভিন্ন। উত্তরদেশ অর্থাৎ সাইবিরিয়া সমতল ভূমি কিন্তু জলবায়ার গণে মানষের বাসের পক্ষে অনাকাল নয়। পশ্চিম একে পাহাড়ে, উপরন্তু নিজ লা দেশ। সে দেশের জমিতে ফসল একরকম হয় না বললেই চলে। ইরান-তুরানের অধিকাংশ লোক গহপথ নয়, তারা অষের সন্ধানে তাঁব ঘাড়ে করে দেশ-বিদেশে ঘরে বেড়ায়। বাকি দটি ভূভাগ, ভারতবর্ষ। ও চীনদেশ, মানষের বাসের পক্ষে সম্পপণ্য উপযোগী। এ দটি দেশ মাখ্যাত সমতল ভূমি, আর সে ভূমি কর্ষণ করে অন্নবস্ত্ৰ দাই লাভ করা যায়; অতএব এ দই আশ্রমেরই বিকলপ মাত্র। এশিয়াকে ত্যাগ করবার পাবে সে মহাদেশ সম্পবন্ধে আর-একটি কথা বলছি, যা শনে তোমরা একটি চমকে যাবে। এ মহাদেশের ম্যাপে একটি দেশ ভুলক্রমে ঢাকে পড়েছে, যেটি ভৌগোলিক হিসেবে এশিয়ার নয়, আফ্রিকার অঙ্গ। সে দেশের নাম আরবদেশ। এই আরবদেশ প্রকৃতপক্ষে আফ্রিকার সাহারা মরভূমিরই একটি অংশ। তোমরা বোধ হয় জান যে, মরভূমির একটি ধর্ম হচ্ছে পাশববতী দেশকে আক্ৰমণ করা। হাওয়ায় তার তপত বালি উড়ে এসে পাশববতী দেশকে চাপা দেয়। তার পর্শে গাছপালা-তৃণপপ সবই মারা যায়। মরুভূমির শােধ বালকো নয়, তার বায়ও সমান মারাত্মক। যে দেশের উপর দিয়ে সে বাতাস বয়ে যায়, সে দেশের