পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮤ0ᎤᏓᎴ প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ সমগ্র পথিবীকে ত্রিকোণ বলতেন। সম্পভবত পথিবী বলতে তাঁরা ভারতবর্ষ। বাঝতেন। কেননা ভারতবর্ষ সত্যসত্যই ত্রিকোণ। মানষে যতক্ষণ জ্যামিতির কোনো মতির সঙ্গে কোনো দেশকে মেলাতে না পারে, ততক্ষণ তার মনস্তুগিট হয় না; যদিও জ্যামিতির কোনো আকারের সঙ্গে কোনো দেশই হবেহা মিলে যায় না। পথিবীকে আমরা বলি গোলাকার। কথাটা মোটামটি সত্য। কিন্তু জ্যামিতির বত্তের উত্তরদক্ষিণ চাপা নয়। ইউক্লিডের তৃতীয় অধ্যায়ে কমলালেবর কোনো স্থান নেই। এই কথাটা মনে রাখলে, মহাভারতে ভারতবর্ষকে যে একটি সমভুজ ত্রিকোণ দেশ বলা হয়েছে, সে উক্তিকে গ্রাহ্য করে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি হওয়া উচিত নয়। পথিবীতে এমন কোনোই দেশ নেই, যা সম্পপণ্য একাকার। ভারতবর্ষাও একাকার নয়। অর্থাৎ ভারতবর্ষকেও নানা খন্ডে বিভক্ত করা যায়। এখানে একটি কথা বলে রাখি। রাজ্যের ভাগের সঙ্গে ভৌগোলিক ভাগের বিশেষ কোনো সম্পবিন্ধ নেই। অর্ধেক পথিবী আজ ব্রিটিশরাজের অধীন; কিন্তু তাই বলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ক্যানেডা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতবর্ষকে পাগল ছাড়া আর-কেউ এক দেশ বলবে না। আমি যে ভাগের কথা বলছি, সে ভৌগোলিক ভাগ। আমাদের শাস্ত্ৰে ভারতবর্ষকে নানা ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। পরাণকারদের মতে ভারতবর্ষ নবখন্ড। বরাহমিহির প্রভাতি গণিতশাস্ত্রীরা পৌরাণিকদের সঙ্গে একমত, যদিচ এ দায়ের বর্ণিত নবখন্ডের মিল নেই। মহাভারতের মতে এ দেশ চার খন্ডে বিভক্ত। চারিটি cquilateral triangle এর সমন্টি হচ্ছে ভারতবর্ষ নামক বড়ো equilateral triangle i GriffvSK, RGPK (RICK5 zsfīG q qeńNT JCIVOS KILĘ ঘোষে যায়, কিন্তু ভৌগোলিক হিসেব থেকে অনেক দরে থাকে। সে যাই হোক, সংস্কৃত সাহিত্যে আর-একরকম ভাগের উল্লেখ আছে। ভারতবর্ষ মোটামটি দ্য ভাগে বিভক্ত। একটি ভাগের নাম উত্তরাপথ, অপরটির দক্ষিণাপথ। এই লৌকিক ভাগটিই প্রকৃতপক্ষে বৈজ্ঞানিক। উত্তরাপথ ভৌগোলিক হিসেবে দক্ষিণাপথ থেকে বিচ্ছিন্ন ও বিভিন্ন । হিমালয় যেমন সমস্ত এশিয়ার মেরাদন্ড, বিন্ধ্যাপবীত তেমনি ভারতবর্ষের মেরাদন্ড। এ স্থলে আমি সাতপরা ও আরাবলি পর্বতকে বিন্ধ্য নামে অভিহিত করছি। উত্তরে হিমালয় ও দক্ষিণে বিন্ধ্যাপবীতের মধ্যের দেশকে উত্তরাপথ বলা যায়, আর দক্ষিণে বিন্ধ্যাপবীত থেকে ভারত-মহাসাগরের মধ্যবতী দেশকে দক্ষিণাপথ বলা যায়। কিন্তু তোমরা ম্যাপের প্রতি দন্টিপাত করলেই দেখতে পাবে, আরাবলি পবতের পশ্চিমে ও রাজমহলের পাবেও অনেকখানি জমি পড়ে রয়েছে। এই পশ্চিম অংশের নাম পাঞ্জাব ও সিন্ধাদেশ, আর পােব অংশের নাম বংগদেশ ও আসাম। এ দটিকেও উত্তরাপথের অন্তর্ভূত করে নিতে হবে। উত্তরাপথ প্রথম জিনিস যা চোখে পড়ে সে হচ্ছে এই যে, এই বিস্তৃত ভূভাগের ভিতর কোনোরােপ পাহাড়পবর্তত নেই, সমস্ত উত্তরাপথ সমতলভূমি। এর ভিতর এক জায়গায়