98. প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ লোকের পক্ষে। আয়ত্ত করা অসম্ভব, কিন্তু ইউরোপীয় সভ্যতার ভোগের অংশটা আমরা সহজেই অভ্যাস করতে পারি। আমার প্রথম কথাও যা, শেষ কথাও তাই। আটকে ভোক্তার দিক থেকে দেখা দরবনের উলটাে দিক থেকে দেখার তুল্য, দ্রািন্টব্য পদাৰ্থ আরো দরে চলে যায়। কতার দিক থেকে দেখাটাই ঠিক দেখা। আমরা নিজে যা রচনা করেছি, তারই মম। তারই মযাদা আমরা প্রকৃস্টিরপে বৰ্ব্বতে পারি। আমাদের সবদেশের কীতি থেকেই আমাদের সবজাতির কৃতিত্বের পরিচয় পাই। আমরা জাতীয় আত্মসম্পমানের চর্চা করব বলে চিৎকার করছি, কিন্তু জাতীয় কৃতিত্বের যদি জ্ঞান না থাকে, তবে জাতীয় আত্মসম্পমান কিসের উপর দাঁড় করাব, বোঝা কঠিন। জাতীয় আর্ট যে শ্রেণীরই হোক, তার চর্চায় আমাদের জাতীয় কর্তৃত্ব-বন্ধি বিকশিত হয়ে উঠবে। এই পরম লাভ। সলভ এবং সহজপ্রাপ্য বিলাতি জিনিসের পক্ষে আবশ্যকতার দোহাই চলতে পারে, কিন্তু আটের দোহাই BDBB BB DDS DDDDSDuBB D DBDB DDDSDDBD DDBB DBB DDD আর যিনি আদর করে দয়ারে বিলাতি পদা ঝোলান তাঁর পদােনশিন হওয়া উচিত। ck সভ্যজাতির পক্ষে দেশের কথা অনেকটা বেশের কথা। পরিচ্ছদের ঐক্য সামাজিক ঐক্যের লক্ষণও বটে, কারণও বটে। আমরা প্রতিবাসীকে প্রতিবেশী বলেই জানি। হিন্দরা সমাজের সঙ্গে সঙ্গে বস্ত্র ত্যাগ করেন। সন্ন্যাসের প্রথম দীক্ষা ডোরকৌপীন ধারণ। আমাদেরও বিদেশীয়তার প্রথম সংস্কার কোট-পেণ্টলন ধারণ। বিলেতের বেশ যে ভারতবাসীর পক্ষে সকল বিষয়ে সম্পপণ্য অনপযোগী, সে কথা বলাই বাহল্য। কথাটা এতই সাদা যে, যিনি তা বঝতে পারেন না, তাঁর ঔষধ মধ্যমনারায়ণ তৈল, যক্তি নয়। দেহকে কম্পট দিলেই যদি মনের উৎকৰ্ষ লাভ করা যেত, তা হলেও নয়। এই বোতাম-বাকলিসের অধীনতা এবং বন্ধন একরকম কায়ক্লেশে সহ্য করা যেত। কিন্তু সস্থ শরীরকে ব্যস্ত করবার মাহাত্ম্য প্রমাণাভাবে অসিদ্ধ। যিনিই 'কলার” ব্যবহার করেছেন, তিনিই কোনো-না-কোনো সময়ে রাগে দঃখে এবং ক্ষোভে মনে মনে প্ৰতিজ্ঞা করেছেন যে फूषण वळण किनव ना उभाद्र পরের ঘরে গলার ফাঁসি । ইউরোপ যে আমাদের ব্যকে পাষাণ চাপিয়ে দিয়েছে এবং হাতে হাতকড়ি ও পায়ে বেড়ি পরিয়েছে, তার নিদর্শনস্বরােপ আমরা কামিজের প্লেট ও কাফ এবং বাটজাতা ধারণ করি। আমাদের সবদেশী বেশের প্রধান দোষ যে, তা যন্ত্রণাদায়ক নয়। বিলাতি সম্প্রদায়ের অনেকেরই বিশ্ববাস যে, অহনিশি গলদঘম হওয়াতেই সভ্যমানব-জীবনের চরম সার্থকতা। সহজ বধিতে যা দোষ বলে মনে হয়, বিলাতি সভ্যতার প্রতি অতিভক্তিপরায়ণ লোকের নিকট সেইটিই গণ্য। ইংরেজি পোশাক যে নয়নের সখেকর নয়, এ কথা সকলেই স্বীকার করতে বাধ্য। কিন্তু ভক্তদের মতে সেই সৌন্দর্যের অভাবেই তার শ্রেষ্ঠত্ব। ঐ প্রকৃষ্ট প্রমাণ যে, ও বেশ পরিষোচিত বেশ। আমাদের
