VSGRA OG N9 ছাড়া আমাদের উপায়ান্তর নেই। সতরাং আমাদের বর্তমান যােগটি তরজমার যােগ বলে গ্রাহ্য করে নিয়ে ঐ অন্যবাদ-কাষটি ষোলো-আনা ভালোরকম করার উপর আমাদের পরিষার্থ এবং কৃতিত্ব নিভাির করছে। পরের জিনিসকে আপনার করে নেবার নামই তরজমা। সতরাং ও-কাব্য করাতে আমাদের কোনো ক্ষতি নেই, এবং নিজেদের দৈন্যের পরিচয় দেওয়া হয় মনে করেও লজিজত হবার কারণ নেই। কেননা, নিজের ঐশবয না থাকলে লোকে যেমন দান করতে পারে না, তেমনি নেবার যথেষ্টট ক্ষমতা না থাকলে লোকে গ্রহণও করতে পারে না। সমিতির মতে, দাতা এবং গ্রহীতার পরপর যোগ না হলে দানক্ৰিয়া সম্পন্ন হয় না। এ কথা সম্পপণ সত্য। মত ব্যক্তি দাতাও হতে পারে না, গ্রহীতাও হতে পারে না; কারণ দান এবং গ্রহণ উভয়ই জীবনের ধর্ম। বদ্ধদেব যিশখািট মহম্মদ প্রভাতি মহাপরিষদের নিকট কোট-কোটি মানব ধমের জন্য ঋণী। কিন্তু তাঁদের দত্ত অমল্য রত্ন তাঁদের হাত থেকে গ্রহণ করবার ক্ষমতা কেবলমাত্র তাঁদের সমকালবতী জনকতক মহাপরিষেরই ছিল। এবং শিষ্যপরম্পরায় তাঁদের মত আজ লক্ষ লক্ষ লোকের ঘরের সামগ্রী হয়ে উঠেছে। পথিবীতে গর হওয়া বেশি শক্ত কিংবা শিষ্য হওয়া বেশি শাস্তু, বলা কঠিন। যাঁদের বেদান্তশাস্ত্রের সঙ্গে সাবলপমাত্রও পরিচয় আছে তাঁরাই জানেন যে, পরাকালে গররা কাউকে ব্ৰহ্মবিদ্যা দান করবার পাবে শিষ্যের সে বিদ্যা গ্রহণ করবার উপযোগিতা সম্পবন্ধে কিরাপ কঠিন পরীক্ষা করতেন। উপনিষদকে গহ্যশাস্ত্র করে রাখবার উদ্দেশ্যই এই যে, যাদের শিষ্য হবার সামর্থ্য নেই, এমন লোকেরা ব্রহ্মবিদ্যা নিয়ে বিদ্যে ফলাতে না পারে। এ কথা সম্পপণ্য সত্য যে, শক্তিমান গাের হবার একমাত্র উপায় পড়বে ভক্তিমান শিষ্য হওয়া। বর্তমান যাগে আমরা ভক্তি-পদার্থটি ভুলে গেছি, আমাদের মনে আছে শােধ অভিত্তি ও অতিভত্তি। এ দায়ের একটিও সাধিতার লক্ষণ নয়, তাই ইংরেজি-শিক্ষিত লোকের পক্ষে অপর কাউকে শিক্ষা দেওয়া অসম্পভব। আমরা কথায় বলি, জ্ঞানলাভ করি; কিন্তু আসলে জ্ঞান উত্তরাধিকারীস্বত্বে কিংবা প্ৰসাদস্বরপে লাভ করবার পদাৰ্থ নয়। আমরা সজ্ঞানে জন্মলাভ করি নে, কেবল জ্ঞান অর্জন করবার ক্ষমতামাত্র নিয়ে ভূমিষ্ঠ হই। জানা-ব্যাপারটি মানসিক চেন্টার অধীন, জ্ঞান একটি মানসিক ক্লিয়া মাত্র; এবং সে ব্রুিয়া ইচ্ছাশক্তির একটি বিশেষ বিকাশ। মন-পদার্থটি একটি বেওয়ারশ সেলেট নয়, যার উপর বাহ্যজগৎরােপ পেনসিল শব্ধ, হিজিবিজি কেটে যায়; অথবা ফোটােগ্রাফিক প্লেটও নয়, যা কোনোরপে অন্তগঢ় রাসায়নিক প্রক্রিয়ার দ্বারা বাহ্যজগতের ছায়া ধরে রাখে। যে প্ৰক্ৰিয়ার বলে আমরা জ্ঞাতব্য বিষয়কে নিজের ইচ্ছা এবং ক্ষমতা -আনসারে নিজের অতভূত করে নিতে পারি, তারই নাম জ্ঞান। আমরা মনে মনে যা তরজমা করে নিতে পারি, তাই আমবা যথাৰ্থ জানি; যা পারি নে, তার শােধ নামমাত্রের সঙ্গে আমাদের পরিচয়। ঐ তরজমা করার শক্তির উপরই মানষের মনষ্যেত্ব নিভাির করে। সতরাং একাগ্রভাবে তরজমা-কাযে ব্ৰতী হওয়াতে আমাদের পরিষকার বন্ধি পাবে द कौsा श्व ना। আমি পাবে বলেছি যে, আমরা সকলে মিলে জীবনের সকল ক্ষেত্রেই, হয়