বৰ্তমান সভ্যতা বনাম বৰ্তমান যন্ধ VGN প্রথম যাগে (Primitive Christianity) খাস্টিয়ানের পক্ষে খাস্টই ছিল শরণ্য। মধ্যযাগে খন্টের পথান খাস্টসংঘ অধিকার করেন এবং ইউরোপের মনোরাজে! একাধিপত্য স্থাপন করেন; সে সংঘ সে আধিপত্যের ভাগ খািস্টকেও দেন নি, ধমকেও দেন নি। প্রায় একহাজার বৎসর ধরে খািস্টসংঘ মানবের বন্ধি ও আত্মাকে সমান অভিভূত করে রেখেছিলেন। শািন্ধ, তাই নয়, সাংসারিক হিসাবেও এই সংঘ ইউরোপের রাজরাজেশবের হয়ে উঠেছিলেন । এই সংঘ মানষের তিন মন ধনের উপর এই অসীম প্ৰভুত্ব অক্ষণ রাখবার জন্য ধমের নামে কত যে অধম যন্ধের প্রবর্তন করেছেন তার প্রমাণ মধ্যযাগের ইতিহাসের পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। এই সংঘের ধ্যম ও খসেন্টধম এক বস্তু নয়। সতরাং এই সংঘের দাসত্ব হতে মন্তিলাভ করে ইউরোপের যে ধমজজ্ঞান লািশত হয়েছে। এ কথা বলা চলে না। বরং পবের অপেক্ষা বৰ্তমানে ইউরোপীয়দের যে ধমাবন্ধি (conscience) অধিক জাগ্নত হয়ে উঠেছে তার প্রমাণ ইউরোপের সকল আইনকাননে সকল সমাজব্যবস্থায় পাওয়া या । মধ্যযাগের অন্ধ কারাগার আপনি ভেঙে পড়ে নি; মানবমনের একটির পর আরএকটি তিনটি প্রবল ধাক্কায় তার পাষাণপ্রাচীর বিদীর্ণ হয়েছে; সে তিন হচ্ছে ইতালির রেনেসাঁস, জমানির রিফরমেশন এবং ফ্রান্সের রেভলিউশন। গ্রীস ও রোমের প্রাচীন সভ্যতার সােপশোঁ ইতালি যেদিন নবজীবন লাভ কর•ে সেইদিন ইউরোপে নবসভ্যতার সত্রপাত হল। এই প্রাচীন সাহিত্যের আবিস্কারের সঙ্গে মানষে নিজের শক্তি ও বাহিরের সৌন্দয আবিস্কার করলে। মানষি বিশ্ববিব্ৰহ্মান্ডকে নিজের চোখ দিয়ে দেখতে এবং নিজের বন্ধি দিয়ে বকতে শিখলে। মানষের পক্ষে তার এই নব-আবিস্কৃত অন্তনিহিত শক্তির চর্চাই তার প্রধান কতব্য হয়ে উঠল। যে প্রকৃতিকে ইউরোপীয়েরা হাজার বৎসর ধরে বিমাতা মনে করে আসছিল, তাকে তারা সেবাদাসীতে পরিণত করতে ব্যগ্র হয়ে উঠল। এই নবজীবন শিলেপ বিজ্ঞানে কাব্যে ইতিহাসে বিকশিত হয়ে উঠল। এক কথায় নবজীবন লাভ করে মানষের চোখ-কান ফটল এবং হাত-পায়ের খিল খালে গেল । এর পরবতী যাগে জমানি বাইবেলের আবিস্কারের সঙ্গে নিজের আত্মারও আবিস্কার করলে; মানষে এই সত্যের পরিচয় পেলে যে, ধমের মািল তার নিজের সংঘের সংস্কারের জন্য উৎসক হয়ে উঠল। জমানির এই নবসংস্কারের গণে ইউরোপের মানবশক্তি আবার অন্তমখী হল। মানষে আত্মদর্শনের জন্য লালায়িত হয়ে উঠল। এই রেনেসাঁসের ফলে ইউরোপে মানষের কম বন্ধি এবং এই রিফরমেশনের ফলে তার ধমাবন্ধি মন্তিলাভ করলে; কিন্তু তার সামাজিক জীবনের বিশেষ কোনো পরিবতন ঘটল না। তার পর ফ্রান্সের বিপ্লবের ফলে ইউরোপীয় মানব মধ্যযাগের রাষ্ট্ৰীয় ব্যবস্থা থেকে মন্তিলাভ করে জীবনেও স্বাধীনতা লাভ করলে। সতরাং ইউরোপের নবযাগের সভ্যতায় মানষে তার মনষ্যত্ব ফিরে পেলে, হারাল না। যে মনোভাবের উপর
