পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বতমান সভ্যতা বনাম বৰ্তমান বন্ধ OS করবার নাতন কারণেরও সন্মিষ্ট হয়েছে। এই কারণে ইউরোপের মাখে শান্তিবচন ARR TV5 VM i সকলেই জানেন যে, শিলপ ও বাণিজ্যই হচ্ছে ইউরোপীয় সভ্যতার প্রধান আশ্রয়স্থল। - শিলপবাণিজ্যের সাহায্যে অন্নবস্ত্রের সংস্থান করার অর্থ হচ্ছে নিজের পরিশ্রমে জীবিকা অজন করা; আর যন্ধের হুবারা অন্নবস্ত্র সংগ্ৰহ করার অর্থ হচ্ছে পরের পরিশ্রমের ফল উপভোগ করা। এ দটি মনোভাব সম্পর্শ বিপরীত। এই কারণেই সকল দেশে সকল যাগেই দেখা যায় যে, ক্ষত্ৰিয় বৈশ্যকে অবজ্ঞা করে এবং বৈশ্য ক্ষত্রিয়কে ভয় করে। যে জাতির অধিকাংশ লোক শিলপবাণিজ্যে ব্যাপােত, সে छांडिल बन्थ अवख ना था काथे व्याख्ाविक। তার পর, শিলপবাণিজ্যের পক্ষে যন্ধের ন্যায় ক্ষতিকর ব্যাপার আর নেই। যন্ধ যে মানষের সকল কাজকর্ম সকল বেচাকোেনা একদিনেই বন্ধ করে দেয়, তার প্রমাণ তো আজ হাতে-হাতেই পাওয়া যাচ্ছে। সতরাং, যন্ধ জিনিসটি ইউরোপীয়দের সবার্থের বিরোধী। আর-এক কথা, হাবােট স্পেনসর প্রমািখ দার্শনিকেরা আশা করেছিলেন যে, বৰ্তমান ইউরোপের বৈশ্যসভ্যতা পথিবীতে চিরশান্তি স্থাপন করবে। তাঁদের বিশ্ববাস ছিল যে, বাণিজ্যের যোগসন্ত্র পথিবীর সকল জাতির সখ্যসচিত্রে পরিণত হবে। এই অন্নবস্ত্রের অবাধ আদানপ্রদানের ফলে প্ৰতি জাতির কাছেই বসন্ধা কুটম্বব হয়ে উঠবে। এই কারণে এই শ্রেণীর দার্শনিকদের মতে ক্ষত্ৰিয়যাগের অপেক্ষা বৈশ্যযাগের সভ্যতা মানব-ইতিহাসের উন্নত সতরের সভ্যতা। হাবাৰ্ট স্পেনসারের এই আশা যে কবিকল্পনা ব্যতীত আর কিছই নয়, তার প্রমাণ আজ পাওয়া যাচ্ছে। আজ দেখা যাচ্ছে যে, আগে যেমন রাজ্য নিয়ে রাজায়-রাজায় লড়াই করত, আজ তেমনি বাণিজ্য নিয়ে জাতিতে-জাতিতে লড়াই করছে এবং এ লড়াই অতি ভীষণ এবং অতি নিন্ঠর। কারণ আগে মানষে হাতে যন্ধে করত, এখন কলে যক্ষদ্ধ করে। এই কারণেই বর্তমান যন্ধ নিতান্ত অমানষিী ব্যাপার, কেননা বাহবিলের ভিতর মনয্যত্ব আছে কিন্তু যন্ত্রবলের ভিতর নেই। কিন্তু এ সত্ত্বেও এ কথা সত্য যে, বৈশ্যসভ্যতা যন্ধের অনকােল নয়, কেননা যন্ধ বৈশ্যধমের প্রকৃতিবিরদ্ধে। G ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স যে আত্মরক্ষা ব্যতীত অপর কোনো কারণে যন্ধ করাটা অকতব্য মনে করে সে বিষয়ে সন্দেহ করবার কোনো বৈধ কারণ নেই। ইউরোপের নবযাগের নবসভ্যতার যথাৰ্থ উত্তরাধিকারী হচ্ছে এই দটি দেশ। ইংরেজ ও ফরাসি উভয়েই ক্ষত্ৰিয়যােগ উত্তীণ হয়ে বৈশ্যযাগে এসে উপস্থিত হয়েছেন। সতরাং এদের দেহে রণসজা থাকলেও মনে খাঁটি মিলিটারিজম নেই। অপর পক্ষে জমানি হচ্ছে যক্ষদ্ধপ্রাণ; মিলিটারিজম জমানির যােগপৎ ধর্ম ও কম। বতমান জমানির এরপ মনোভাবের জন্য দায়ী জমানির পবইতিহাস। প্রায় আটশত বৎসর ধরে ইউরোপে জমানজাতির কোনোরপে প্ৰভুত্ব ছিল না,