পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OM SR প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ তার কারণ জমানরা এই দীঘকালের ভিতর একটি জমানরাজ্য কিংবা একটি জমানজাতি গড়ে তুলতে পারে নি। যে কালে ইংল্যান্ড ফ্রান্স প্রভাতি দেশ স্বাতন্ত্র্য এবং সবরাজ্য লাভ করেছিল, সে কালে জমানি শত শত পরস্পরবিরোধী খন্ডরাজ্যে বিভক্ত ছিল। এ কতকটা জমানির কপালের দোষে, কতকটা তার বন্ধির দোষে।। জমানি সমগ্র ইউরোপের সমাট হবার দরাশা হৃদয়ে পোষণ করত বলে সবদেশেও একরাট হতে পারে নি। কোনো কোনো বৌদ্ধদেশে দটি করে রাজা থাকেন; একজন প্রকৃতিপঞ্জের আত্মার প্রভু, আর-এক জন দেহের। মধ্যযাগের প্রথম ভাগে সমগ্র ইউরোপীয় মানবকে এইরুপ দই ছত্রের অধীন করবার চেন্টা করা হয়েছিল। পোপ ইউরোপের ধমািরাজের পদ এবং জমানরাজ দেবরাজের পদ অধিকার করে বসেছিলেন। ইউরোপ একটি মহাদেশ এবং ইউরোপীয়েরা নানা বিভিন্ন জাতীয়, সতরাং ঐহিক কিংবা পারিত্রিক কোনো বিষয়ে একজাতি হওয়া যে তাদের পক্ষে অসম্পভব, এ কথা পোপও স্বীকার করেন নি, জমান-সমােটও স্বীকার করেন নি। জমানজাতি যে ইউরোপের অন্যান্য জাতি হতে মনে ও চরিত্রে পথিক, এ সত্য উপেক্ষা করবার ফলে জমানি ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ল। সত্বদেশ এবং সবজাতির উপর কোনোরাপ একাধিপত্য না। থাকলেও জমান-সমাট তাঁর সমাট-পদবী এবং সামাজ্যের আশা ত্যাগ করতে পারলেন না, এবং সািবজাতিকে নিয়ে একটি স্বরাজ্য গঠন করবার চেন্টামাত্রেও করলেন না। এই কারণে জমানজাতির পাবে কোনোরাপ রাষ্ট্ৰশক্তি ছিল না। অথচ জমানজাতির ভিতর কি দেহের কি বদ্ধির কি চরিত্রের কোনোরাপ বলের যে অভাব ছিল না- জমান কাব্যে দর্শনে শিলেপ সংগীতে ধমো ও কমে তার প্রকৃত্স্ট পরিচয় পাওয়া যায়। ফলে জমানির মহাপরিষেরা লৌকিক রাজ্যের আশা ত্যাগ করে চিন্তা রাজ্য অধিকার করাই নিজেদের কতব্য বলে মেনে নিলেন। সম্পভবত জমানজাতির ইতিহাস অদ্যাবধি ঐ একই পথ অনসরণ করে চলত, যদি নেপোলিয়ন জমানজাতিকে আকাশ থেকে টেনে মাটিতে ফেলে পদদলিত না করতেন। ১৮o৬ খস্টাব্দে জেনার যন্ধে পরাজিত এবং লাঞ্ছিত হবার পর জমান মাত্রেরই এ জ্ঞান জন্মাল যে, জমানির খন্ডরাজ্য-সকলকে একত্র করে একটি যন্তরাজ্যে পরিণত না করতে পারলে জমানজাতির পক্ষে অস্তিত্ব রক্ষা করা অসম্পভব হয়ে পড়বে। অসংখ্য দার্শনিক বৈজ্ঞানিক ঐতিহাসিক অধ্যাপক প্রভাতি চিরজীবন প্ৰাণপণে চেন্টা করেও এ ব্ৰত উদযাপন করতে পারেন নি; কিন্তু আজ প্রায় পঞ্চাশ বৎসর পাবে বিসমাক দটি যন্ধের সাহায্যে জমানজাতির প্রাণের আশা। ফলে পরিণত করেছিলেন। বিসমাক অস্ট্রিয়াকে পরাভূত করে উত্তর-জমানির এবং ফ্রান্সকে পরাভূত করে দক্ষিণ-জমানির যোগসাধন করেন। বিসমাক বলতেন যে, রান্ত ও DBDBB BD DD DD DBBD S BDBDDB BDBDD DBD BD BBB হুবারা যে রাজ্যের সন্টি হয়েছে, যাদ্ধের হুবারাই তার রক্ষা এবং যন্ধের হুবারাই তার উন্নতি সাধন করতে হবে- এই হচ্ছে নবজমানির দঢ়ধারণা। যাদ্ধকায অপ্রিয় হলেও আত্মরক্ষার্থ যে তা করা কতব্য এ বিষয়ে ইংরেজ ফরাসি প্রভাতি ইউরোপের অগ্রগণ্য জাতির মধ্যে কোনো মতভেদ নেই। জমানদের