পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

97O প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ যায় সে বিষয়ে হয় তাঁদের কোনো মত নেই। আমার নাহয় তো সে মত এখন তাঁরা প্রকাশ করতে চান না। সম্পভবত তাঁরা তাঁদের প্রোগ্রাম প্রকাশ করতে ইতস্তত করছেন এই ভয়ে যে, পাছে অপরে তা চরি করে। সাহিত্যে ও পলিটিক্সে চোরাইমালের কারবার যেরকম বেড়ে গেছে, তাতে এ ভয় অকারণ নয়। তবে এ বিষয়ে কথা তুললে তাঁরা যেরকম অসোয়াস্তি বোধ করেন ও বিরান্তি প্রকাশ করেন, তাতে মনে হয় তাঁরা একটা উভয়সংকটে পড়েছেন। প্রজার উপকার করতে প্ৰস্তুত কিন্তু প্ৰজাকে কোনো অধিকার দিতে রাজি নন, এমন লোক সকল সমাজেই আছে। এই মনোভাবকেই-না ব্যারোক্রাটিক মনোভাব বলে? তবে এ কথাও ভোলা উচিত নয় যে, আমাদের ন্যাশনালিস্টরা আপাতত বিদেশী বড়ো পলিটিক্স নিয়ে এতটা ব্যস্ত আছেন যে, সত্বদেশী ছোটো পলিটিক্সে মন দেবার তাঁদের একদম ফরাসত নেই। বড়ো পলিটিক্সের কারবার অবশ্য রাজারাজড়া নিয়ে। মানষে যখন রাজা-উজির মারতে বসে, তখম কি কত ধানে কত চাল হয় তার ভাবনা সে ভাবতে পারে ? RONog 23 দেশের পলিটিশিয়ানরা যখন এ বিষয়ে ঔদাসীন্য দেখাচ্ছেন, তখন যা-হোক একটা একমেটে প্রোগ্রাম তৈরি করবার চেন্টা করা যাক। যদি কেউ বলেন यात कभ* उाद्ध नास्त्र অন্য লোকে লাঠি বাজে। তার উত্তর, রায়তের ভাবনা ভাবা বাঙালি সাহিত্যিকের পক্ষে যে অনধিকারচর্চা নয়, এর ভালো ভালো নজির আছে। বাঙালির মধ্যে যে শ্রেণীর লোকেদের আমরা গর বলে মান্য করি, তাঁরা সকলেই প্রজার ব্যথার ব্যথী এবং সে ব্যথা তাঁরা কথায় প্রকাশ করেছেন। রাজা রামমোহন রায়, বঙ্কিমচন্দ্ৰ, দীনবন্ধ, রমেশচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, সবাই প্রজার হয়ে ওকালতি করেছেন। তাঁদের শিষ্যত্বই হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা কইবার আমার দ্বিতীয় দলিল । তুমি আমি যখন বালক সেই কালে বঙ্কিমচন্দ্র বাংলার প্রজার অবস্থা বিচার করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে, রায়তকে যে অবস্থায় আমরা রেখেছি, তার DBB BDYDBDB DBBD DBB S DD DDB DBD DBDYS ঐ সকল ফল একবার উৎপন্ন হইলে ভারতবর্ষের ন্যায় দেশে প্রাকৃতিক নিয়মগণে পথায়িত্ব লাভ করিতে উন্মখ হয়। বঙ্কিমচন্দ্রের কথা যে কত সত্য তার প্রমাণ, আজকের দিনেও বাংলার রায়তের দল দরিদ্র মািখ ও দাস। তারা যে মােখ, সে বিষয়ে তো আর কোনো মতভেদ নেই। তার পর তারা আইনত না হলেও বস্তুত যে দাস, ক্রীতদাস না হলেও যে গভর্ণদাস, এ কথা অস্বীকার করা কঠিন। জীবনের অধিকাংশ ক্ষেত্রে আজও তারা নিজের অধিকারের উপর দাঁড়াতে পারে না, প্রভুর অনগ্রহের উপর সম্পণে নিভাির করে। অবশ্য ইংরেজের আইন তাদের অনেক অধিকার দিয়েছে, কিন্তু সে শািন্ধ নামে। টেন্যান্সি