পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@为之 প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ কিরকম বিপলায়তন হয়ে উঠেছিল, তার সাক্ষাৎ পাবে ফিফথ রিপোর্ট এ। মিরকাশিমের আমলের একখানি দাখিলা দেখলে তোমার চক্ষস্থির হয়ে যাবে। তার পর ১৭৬৫ খসেন্টাব্দে দিল্লির বাদশা কোম্পানি বাহাদরকে বঙ্গ বিহার উড়িষ্যার দেওয়ানের পদে নিযক্ত করলেন। অর্থাৎ, সরফরাজ খাঁর আমলে আলমচন্দ্র রায় রায়রাঁয়ার যে পদ ছিল, ১৭৬৫ সালে কোম্পানি বাহাদর সেই পদে প্ৰতিস্ঠিত হলেন। তফাতের মধ্যে এই যে আলমচন্দ্র প্রভাতি বাংলার নবাব কর্তৃক নিযন্ত হতেন, আর কোম্পানি বাহাদর দেওয়ান হলেন দিল্লির বাদশার সনন্দের বলে। ফলে কোম্পপানি পেলেন বাংলার অর্ধেক রাজত্ব, আর বাকি অর্ধেক রইল নবাব নাজিমের হাতে। একালের ভাষায় বলতে হলে দিল্লির বাদশা ডায়াকির সন্টি क(कन् । এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি সংক্রান্ত সকল রাজকায, নবাব নাজিমের হাতে রিজাভড সাবজেক্ট-স্বরপ রয়ে গেল। আর কোম্পানির হাতে যে কি কি বিষয় ট্রান্সফার্ড হয়ে এল, তার সন্ধান নেওয়া দরকার; কেননা এই ট্রান্সফার-স্যুত্রেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত জন্মলাভ করল। বলা বাহাল্য, নবাবের আমলে সবই ছিল অচিরস্থায়ী। দিল্লির বাদশার ফারমানের বলে কোম্পানি বাংলার প্রজার কর আদায় করবার অধিকার পেলেন, কিন্তু এই কর আদায়ের ভার কোম্পানি নিজ হাতে নিলেন নানবাবের নিয়োজিত নায়েব দেওয়ান মহম্মদ রেজা খাঁর হাতেই রেখে দিলেন। তার পর ১৭৬৯ খীস্টাব্দের দাভিক্ষে (বাংলায় যাকে আমরা বলি ছেয়াত্তরের মন্বন্তর) যখন বাংলায় এক-তৃতীয়াংশ লোক অনাহারে প্রাণত্যাগ করলে, এবং দেশ যখন একটা মহােশমশানে পরিণত হল, তখন কোম্পানির বিলেতের ডিরেক্টরদের মাথার টনক নড়ল। তাঁরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে হেস্টিংস সাহেবকে বাংলার গবন রপদে নিযন্ত করে এ দেশে পাঠিয়ে দিলেন- প্রধানত খাজনা আদায়ের একটা সাব্যবস্থা করবার জন্য। প্রচলিত ব্যবস্থা যে সব্যবস্থা ছিল না, তার প্রমাণ এই দাভিক্ষের বৎসর যত টাকা আদায় হয়, তার পাবে কোনো বৎসর তত টাকা হয় নি। এই দাভিক্ষে দেশের যে কি সব নাশ ঘটেছিল তার পরিচয় হাণ্টারের Annals of Rural Bengala 91 GK i ag GT5s KTSrfarī TēvOCK TORTIST ffs বৎসর ভুগতে হয়েছিল। এই মন্বন্তরের ধাক্কা বাংলা অন্টাদশ শতাব্দীতে আর সামলে উঠতে পারে নি। এই কথাটা মনে রাখলে বঝতে পারবে যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তকে কেন আমি এমাজেন্সি লেজিসলেশন বলেছি। হেস্টিংস সাহেব কলকাতায় এসে বাংলার জমির পাঁচশালা বন্দোবস্ত করলেন। এ বন্দোবস্ত করা হল। কিন্তু ডাকসরত, ইজারাদারের সঙ্গে। জমিদার অ-জমিদার নিবিচারে সর্বোচচ ডাককারীকেই জমির ইজারা দেওয়া হল। বলা বাহাল্য, এই-সব ইজারাদার বাংলার প্রজাকে লাটে নিলে। এই সত্রে হেস্টিংস সাহেবের সঙ্গে তাঁর কাউন্সিলের ঝগড়া বাধল। কেননা ধরা পড়ে গেল যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই ইজারাদারেরা স্বয়ং হেস্টিংস সাহেব এবং অন্যান্য ইংরেজ কমচারীদের বেনামদার বৈ আর কেউ নয়। এই সংযোগে হেস্টিংস সাহেবের পরম শত্র ফ্রান্সিস সাহেব চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং কোম্পানির বিলোেত ডিরেক্টরদের সে