পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OS8 প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ না, রায়তী জমি খাস করতে পারতেন না, এবং বাংলার নবাব ও দিল্লির বাদশা, এদের ভিতর যাঁর খাশি তিনিই যখন-তখন জমিদারের গালে চড় মেরে তাঁর জমিদারি কেড়ে নিতে পারতেন। যেমন জাফর খাঁ ওরফে মরিশিদকুলি খাঁ কিছুদিন পাবে বাংলার প্রাচীন ভূম্যধিকারীদের নিবংশ করে নতুন জমিদারের দল সন্টি করেছিলেন। এ অবস্থায় কোম্পানির কর্তব্যক্তিরা স্থির করলেন যে, জমিদারেরা যদি ভূম্যধিকারী নাও হয়, তো আইনত তাঁদের তা হতে হবে। তাঁদের ধারণা ছিল যে, সভ্যদেশে জমিদারের সঙ্গে প্রজার সেই সম্পবিন্ধ থাকা উচিত, সে যাগে ইংলিশ ল্যান্ডলন্ডদের সঙ্গে আইরিশ টেন্যাশাটদের যে সম্পবিন্ধ ছিল। এ সম্প্ৰথলে সার জন শোর-এর মত উদধিত করে দিচ্ছি The most cursory observation shows the situation of things in this country to be singularly confused. The relation of a zemindar to government, and of a ryot to a Zemindar, is neither that of a proprietor nor of a vassal; but a compound of both. The former performs acts of authority, unconnected with proprietary rightthe latter has rights without real property. Much time will, I fear, elapse before we can establish a system, perfectly consistent in all its parts, and before we can reduce the compound relation of a Zemindar to government, and of a ryot be a zemindar to the simple principles of landlord and tenant. এই উদধত বাক্য-কাটির বাংলায় অন্যবাদ করবার সাধ্য আমার নেই; কেননা কি বাংলা কি সংস্কৃত, এ দই ভাষাতে এমন কোনো শব্দ নেই। যা ইংরেজি real propertyর প্রতিশবদ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের ভাষায় ও-শব্দ নেই, কেননা আমাদের দেশে ও-আপদ কস্মিনকালেও ছিল না। শোর সাহেবের কথাই প্রমাণ যে, এ দেশে জমিদারের সঙ্গে রায়তের সম্প্ৰবন্ধ তার কাছে বড়োই গোলমেলে। ঠেকেছিল। কাজেই যা গোল, তাকে তিনি চৌকোশ করবার প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি অবশ্য এ পরিবতন রয়ে-বসে করতে চেয়েছিলেন । লড কনওয়ালিসের কিন্তু আর ত্বর সাইল না। তিনি আইনের ঠকঠাকের বদলে এক ঘায়ে চিরস্থায়ী বন্দোবসত করে বসলেন। ফলে বাংলার প্রজা বাংলার জমির উপর তার চিরকেলে সর্বত্বস্বামিত্ব সব হারালে, আর রাতারাতি বাংলার জমির নিবােঢ় সর্বত্বাধিকারী জমিদার নামক আর-এক শ্রেণীর লোক জন্মলাভ করলে। যদি আত তাড়াহাড়ো করে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত না করে বসতেন, তা হলে রায়তের peasant proprietorship নামটি হত না। কারণ রাজাপ্রজার যে সম্পবিন্ধ সেকালের ইংরেজদের বদ্ধির অগম্য ছিল, কালক্রমে তার মম। তাঁরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ প্রায় দেড়শো বৎসর ধরে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে অভ্যস্ত হয়ে আমাদেরও মনে এই ধারণা জন্মেছে যে, রায়তের আর যাই থাক, জমির উপর কোনোরাপ মালিকীস্বত্ব নেই, এবং পাবেও ছিল না। লোকের এই ভুল ভাঙানো Y Fifth Report, vol. ii.