সনেট কেন চতুৰ্দশপদী শ্ৰীযন্ত প্রিয়নাথ সেন গত মাসের 'সাহিত্য’ পত্রিকায় 'সনেট-পঞ্চাশং’ নামক পপি ওকাণ সমালোচনা সত্রে সনেটের আকৃতি এবং প্রকৃতির বিশেষ পরিচয় দিয়ে এই ১, ৩ প্রকাশ করেছেন যে, “খব সম্পভব, কলাপ্রবীণ ইতালীয় ও অপরদেশীয় কবি ! পাণ ক্ষ[৮৭ারা দেখিয়াছেন যে, পাণরসাভিব্যক্তির পক্ষে চতুৰ্দশপদই সমীচীন, aDES SaLGStS DtBDBDSBDBB DBDB DDBBDSS নানা ঋগে নানা দেশে নানা কবির হাতে ফিরেও সনেট যে নিজের আকৃতি ও রােপ বজায় রাখতে পেরেছে, তার থেকে এই মাত্র প্রমাণ হয় যে, সনেটের ছাঁচে নানারপ ভাবে মাতি ঢালাই করা চলে এবং সে ছাঁচ এতই টেকসই যে বড়ো বড়ো কবিদেরও ভ:বাপ জোরে সেটি ভেঙেচুরে যায় নি। কিন্তু সনেট যে কেন চতুৰ্দশ পদ গ্রহণ কবে জন্মলাভ করলে, সে প্রশেনর উত্তর পাওয়া গেল না। অথচ অস্বীকার করা যায় না যে, বারো কিংবা ষোলো না হয়ে সনেটের পদসংখ্যা যে কেন চৌদ্দ হল তা জানিবার ইচ্ছে মানষের পক্ষে অস্বাভাবিক নয়। কি কারণে সনেট চতুৰ্দশপদী হয়েছে, সে সম্পবন্ধে আমার একটি মত আছে এবং সে মত কেবলমাত্র অনমানের উপর প্রতিস্ঠিত : তার সপক্ষে কোনোরাপ অকাট্য প্রমাণ দিতে আমি অপারগ। স্বদেশী কিংবা বিদেশী কোনােরাপ ছন্দশাস্ত্রের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই, পিওগল কিংবা গৌর কোনো আচায্যের পদসেবা। আমি কখনো করি নি। সতরাং আমার আবিস্কৃত সনেটের 'চতুৰ্দশীতত্ত্ব’ শাস্ত্রীয় কিংবা অশাস্ত্রীয়, তা শােধ বিশেষজ্ঞেরাই বলতে পারবেন। চৌদ্দ কেন ?- এ প্রশন সনেটের মতো বাংলা পয়ার সম্পবন্ধেও জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে। এর একটি সমস্যার মীমাংসা করতে পারলে অপরটির মীমাংসার পথে আমরা অনেকটা অগ্রসর হতে পারব। আমার বিশ্ববাস, বাংলা পয়ারের প্রতি চরণে অক্ষরের সংখ্যা "চতুৰ্দশ হবার একমাত্র কারণ এই যে, বাংলা ভাষায় প্রচলিত অধিকাংশ শব্দ হয় তিন অক্ষরের নয় চার অক্ষরের। পাঁচ-ছয় অক্ষরের শব্দ প্রায়ই হয় সংস্কৃত নয়। বিদেশী। সতরাং সাত অক্ষরের কমে সকল সময়ে দটি শব্দের একত্র সমাবেশের সবধে হয় না। সেই সাতকে দিবগণ করে নিলেই শেলাকের প্রতি চরণ যথেস্ট প্রশস্ত হয়, এবং অধিকাংশ প্রচলিত শব্দই ঐ চৌদ্দ অক্ষরের মধ্যেই খাপ খেয়ে যায়। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, আমাদের ভাষায় দ্য অক্ষরের শব্দের সংখ্যাও কিছু কম নয়। কিন্তু সে-সকল শব্দকে চার অক্ষরের শব্দের শামিল ধরে নেওয়া যেতে পারে, যেহেতু দাই সর্বভাবতই চারের অন্তভুত। এই চৌদ্দ অক্ষর থাকবার দরবনই বাংলা ভাষায় কবিতা লেখবার পক্ষে পয়ারই
