পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOY প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ ছাড়িয়ে নিলে কি দেখা যায় না যে, তার ভিতরকার মোটা কথা হচ্ছে অন্ন ? আজকের দিনে পথিবীতে পলিটিক্সের দটি বড়ো কথা হচ্ছে ক্যাপিটালিজম এবং বলশেভিজম, বাদবাকি আর যতরকম ism আছে সে সবই হয়। ক্যাপিটালিজম নয় বলশেভিজম এর কোঠায় পড়ে। হাল পলিটিক্সের এই দাই ধম এতই পরস্পরবিরোধী যে, উভয়ের মধ্যে অর্ধেক পথিবী জড়ে আজ জীবনমরণের যন্ধ চলছে। অথচ এই উভয় পলিটিকাল ধমের ভিতর একই জিনিস আছে এবং সে জিনিস হচ্ছে অন্ন। তবে মানবজাতি যে দ্য ভাগ হয়ে পড়েছে সে ঐ অষের ভাগ নিয়ে। ক্যাপিটালিজমের মািল সত্ৰ হচ্ছে অলপ লোকের বহ অন্ন, আর বলশেভিজমের মািল সত্র হচ্ছে বহুলোকের যথেষ্ট অন্ন। আমার বিশ্ববাস। এ দায়ের কোনোটিই টিকবে না। " কেননা, ক্যাপিটালিজম, ভুলে গিয়েছে যে রাটি সকলেরই চাই, আর Kalcefuel, sa Icet fit man does not live by bread alone, sefa মানষের মন বলেও একটা জিনিস আছে, অতএব পেটের খোরাক ছাড়া মানষের মনের খোরাকও চাই, নচেৎ মানষি পশর সঙ্গে নিবিশেষ হয়ে পড়ে। এ কথা যদি সত্য হয় তা হলে স্বীকার করতেই হবে যে, সবার্থের মোটা অৰ্থ হচ্ছে পেটের সাবাথ, আর পলিটিক্স ও ইকনমিক্স প্রভাতি মাখ্যাত এই সবাৰ্থসিদ্ধির মন্ত্রতন্ত্র। মনের সবাথের সঙ্গে এ মন্ত্ৰতন্ত্রের সম্পবিন্ধ গৌণ। তবে যে পেটের কথাকে আমরা আত্মার কথা বলে ভুল করি, তার কারণ অন্নের সঙ্গে প্রাণের, প্রাণের সঙ্গে মনের, সংক্ষেপে উদরের সঙ্গে হৃদয়ের এবং হািদয়ের সঙ্গে মস্তিকের যোগ অতি ঘনিষ্ঠ। মানষের সখি, মানষের উন্নতি এই অন্ন ও মনের যোগাযোগেরই উপর নিভাির করে। একমাত্র ভৌতিক ভাত খেয়ে মানষে তার সৎ রক্ষা করতে পারলেও তার চিৎ ও আনন্দ রক্ষা করতে পারে না। অপর পক্ষে একমাত্র তড়িতানন্দ সেবন করে মানষে তার আনন্দ রক্ষা করতে পারলেও তার চিৎ ও সৎ রক্ষা করতে পারে না। আর সচিদানন্দ হওয়াই তো মানবজীবনের সার্থকতা। অতএব দাঁড়াল এই যে, মানষের পক্ষে যেমন লাঙল চাই তেমনি লেখনীও চাই, যেমন হাতুড়ি চাই তেমনি তুলিও চাই; জাতীয় জীবনে যেমন পলিটিক্স ও ইকনমিক্স চাই তেমনি বিজ্ঞান ९३ याप्रे', कावा ९ प्रभॉन@ फाईरे । সতরাং একজাতের ন্যাশনালিজমের নাম শোনাবামাত্র আমরা যখন সেটি অপরের ন্যাশনালিজমের বিরোধী মনে করে ভীত হয়ে উঠি, তখন বঝতে হবে যে আমরা ন্যাশনালিজম শব্দটা তার শািন্ধ, ঔদরিক অর্থে বঝি, কেননা মানষি মানষের সঙ্গে শােধ অন্ন নিয়েই মারামারি-কাড়াকড়ি করে, কিন্তু মানষের মনোজগতের বস্তু হচ্ছে পরস্পরের আদান-প্রদানের বস্তু, এক কথায় বিশবিমানবের সম্পত্তি কোনো জাতিবিশেষের পথাবর সম্পত্তি নয়। যখন কোনো ব্যক্তি অপর জাতের সঙ্গে মনের কারবার বন্ধ করবার প্রস্তাব করেন, তখন বঝতে হবে যে তিনি হচ্ছেন ঘোর মেটিরিয়ালিস্ট, কেননা তাঁর বিশদ্বাস যে mindও matterএর মতো দেশের গন্ডিতে বন্ধ। এ কথাটা এখানে উল্লেখ করলাম। এইজন্যে যে, এ দেশে নিত্যই দেখা যায় যে, আধ্যাত্মিকতার বেনামিতে জড়বাদ যেমন শতমখে প্রচার হচ্ছে তেমনি দেশময় নিবিচারে গ্রাহ্যও হচ্ছে। এইখানে একটা কথা বলে রাখি। ঔদরিক সাবাথ সাধন