পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙালি-পেট্ৰিীয়টিজম 8SS বিশেষের তেমনি জাতিবিশেষের প্রকৃতির উলটো টান টানতে গেলে তার জীবনকে ব্যৰ্থতার দিকে অগ্রসর করা হয়। আজ ইউরোপীয় শিক্ষা বয়কট করবার যে হািজক উঠেছে তাতে যে বাঙালি সোৎসাহে যোগদান করতে পারছে না, তার কারণ যেবাঙালির চিন্তা করবার অভ্যাস আছে সেই জানে যে উচ্চশিক্ষাই হচ্ছে আমাদের জাতীয় শক্তি উদবোধিত করবার সব প্রধান উপায়। কোনো জাতির পক্ষে সাবধম হারিয়ে সাবরাট হবার চেস্টাটা বাতুলতা মাত্র। ভারতবাসী যখন স্বরাজ্য লাভ করবে: তখন ভারতবর্ষের কোনো প্রদেশই তার শিক্ষাদীক্ষার উপর অপর কোনো প্রদেশকে হস্তক্ষেপ করতে দেবে না। প্রতি সর্ববশ সজ্ঞান জাতির একটা-না-একটা বিশেষ জাতীয়-আদশ থাকে, এবং সেই আদশ অনসারেই সে জাতি তার শিক্ষার ব্যবস্থা করে। যার নিজত্ব বলে কোনো জিনিস নেই, অথবা নিজত্ব যে রক্ষা করতে বিকশিত করতে না চায়, তার পক্ষে সবাধীনতার কোনো প্রয়োজন নেই; শােধ তাই নয়, তার কাছে উক্ত শব্দের কোনো অৰ্থও নেই। সর্বত্বসাব্যস্ত করবার জন্যই তো সত্বাধীনতার অবশ্যক। আমার শেষ কথা এই যে, আমাদের পথিপড়া মনের সঙ্গেও বাকি ভারতবর্ষের পথিপড়া মনের কিঞ্চিৎ প্রভেদ আছে। সতরাং আমাদের পলিটিকাল মনও অন্য প্রদেশের পলিটিকাল মনের ঠিক অনরাপ নয়। মনে রেখো, মানষের পলিটিকাল মন তার সমগ্ৰ মনের বহির্ভুতও নয়, তার সঙ্গে নিঃসম্পকিতও নয়। অবশ্য একদলের কংগ্রেসওয়ালা আছেন যাঁরা এ কথা মানেন না; যদি মানতেন, তা হলে তাঁদের দলে টিকিওয়ালা-ডিমোক্কার্ট-রােপ অদ্ভুত জীবের এতটা প্রাধান্য হত না। ডিমোকাটিক স্বরাজ্য লাভ করতে হলে আমাদের মনের যে বদলা আবশ্যক, এ জ্ঞান আমাদের যািবকশ্রেণীর মনে যে প্রবেশ করেছে তার পরিচয় আমি পাঁচজনের সঙ্গে কথায় বাতায় নিত্যই পাই। মানষেকে মানষি জ্ঞান করব না, শাস্ত্রের দোহাই দিয়ে দেশের অধিকাংশ লোককে দাস ও সন্ত্রীলোককে দাসী করে রাখব, অথচ পথিবীর ডিমোক্রাটিক জাতিদের মতো রাজনৈতিক জগতে সবরাট হব, এরপ মনোভাব যে যােগপৎ লতাজাকর ও হাস্যকর এ ধারণা এ যাগের বহন বাঙালির মনে জন্মেছে। তবে এ মনোভাব যে আমাদের দৈনিক সংবাদপত্রে ও বক্ততার রঙ্গমণেচ্যু গজে ওঠে নি, তার কারণ নিজের বিরদ্ধে হািজক করা চলে না। যে ভাব মনে পোষণ করবার জন্য, যে কাজ করবার জন্য আমরা মনে মনে লভিজিত হই, তা নিয়ে প্রকাশ্য ঢাক পেটানো অসম্পভব; আমরা ঢাক পেটাতে পারি শােধ আমাদের কাল্পনিক আধ্যাত্মিক শ্রেষ্ঠতা নিয়ে। কতকটা শিক্ষার বলে, কতকটা পরীক্ষার ফলে, আমবা BDDBB BDDD DDD DDB BBBD DB DBDBDBD BBDS DB D DBDBD আত্মজ্ঞানেরই একাংশ; এবং আত্মজ্ঞান আমাদের মনে জন্মেছে বলে তারই উপর আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ জাতীয় জীবন গড়ে তুলতে চাই। আমাদের অন্তরের বল আমরা পালট-পরিপন্ট করতে চাই, তাই আমরা শিক্ষার জাতিবিচার করে তাকে আচরণীয় কিংবা অনাচরণীয়ের কোঠায় ফেলতে চাই নে; আর আমাদের দাবলতা আমরা পরিহার করতে চাই বলে আমরা লোকের জাতিবিচার করে তাকে আচরণীয় কিংবা অনাচরণীয় করে রাখা পেট্ৰিীয়টিক কাজ বলে মনে করি নে। কোনো জাতির