পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইউরোপীয় সভ্যতা বস্তু কি 8Հd: দশপ্রোপ্ত হতে পারি। অনেক ছেলেমি কথা পাকাম করে বললেই যে তার নাম হয় বৈজ্ঞানিকদর্শন তার পরিচয় উনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপীয় শাস্ত্রে দেদার মেলে। সতরাং ইউরোপের অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত সম্প্রদায়কে এ কথাটা বঝিয়ে দেওয়া আবশ্যক যে, একমাত্র মাটির উপর আপথ রেখে নিশিচন্ত থাকা যায় না। অবশ্য অধ্যাপক হাস্য যে ঠিক কি বলেছেন, তা বোঝা যায় না। দেশকালেন। ব্যবধান অতিক্রম করবার কৌশল আজি মানষের করায়ত্ত। তাই ব’লে নানাদেশের যে position বদলে গেছে, তা নয়- অবশ্য position বলে বস্তুর যদি কোনো অবস্থা থাকে। নব-অঙ্কের ঠেলায় here শােনছি। now হয়ে গিয়েছে। সে যাই হোক, বিলেতও ভারতবর্ষ হয়ে যায় নি, ভারতবর্ষ ও বিলেত হয়ে যায় নি। এক দেশের সঙ্গে অপর দেশের ফিজিকাল ব্যবধান কমে গিয়েছে বলেই তাদের ভিতর সাইকলজিকাল ব্যবধানটা ফটিয়ে তোলাই বোধ হয় অধ্যাপক মহাশয়ের উদ্দেশ্য। কারণ, এশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের decisive struggle-এর জন্য সবদেশের যবকদের মন প্রস্তুত করাই তাঁর অভিপ্ৰায়। («: উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইউরোপীয় পন্ডিতরা মানষের গণগণের মল সন্ধান করেছিলেন, এবং তা পেয়েছিলেন মাটির অন্তরে। বলা বাহাল্য যে, এ প্রবন্ধে আমি বাংলা মাটি শব্দ সংস্কৃত পঞ্চভূত অর্থেই ব্যবহার করছি। আর বছব পশ্চাশেক আগে আমি যখন স্কুলে পড়তুম, তখন সেকালের B.A. M.A.--রা ভক্তিভবে Buckle’s History of Civilization PINGVON; DIT ÇAŠI PIROCK, CSS পাই, সভ্যতার চরম আধিভৌতিক ব্যাখ্যা আছে। তার পর পন্ডিতরা আবিস্কার করলেন, সে ব্যাখ্যা অচল। একমাত্র জিয়োগ্রাফিই যে সভ্যতা গড়ে, এ কথা সত্য নয়। কারণ, তা যদি হয় তা হলে রেড-ইন্ডিয়ানদের সঙ্গে বতর্তমান আমেরিকানদের সভ্যতার অর্থাৎ কৃতিত্বের আকাশপাতাল প্রভেদ হত না। এর থেকে দেখা যায় যে, মানবসভ্যতার অন্তরে Soil নয়, race; ক্ষেত্রে নয়, বীজই প্রবল। ক্ষেত্র ও বীজের বলাবলের বিচার মনতেও আছে; অর্থাৎ এ সমস্যা বহল পর্যাতন। এই বসন্তাপচা বিচার এথনোলজি অ্যানথ্রাপলজি প্রভাতি নাম ধারণ করে নববিজ্ঞানরপে পরিচিত হল। এই নিববৈজ্ঞানিকরা প্রমাণ করলেন যে, মানবজাতির মধ্যে এরিয়ান নামে এক দেবজাতি আছে। সেই জাতিই মানবসভ্যতা অতীতে গড়েছে, আর ভবিষ্যতেও গড়বে। কারণ, progress করা তাদের জাতিধম। আর এই জাতি মাটি ফাঁড়ে উঠেছিল উত্তরজমানিতে। মানষের মধ্যে ইউরোপীয়রা শ্রেষ্ঠ; কারণ, তাদের ধমনীতে নীললোহিত আযশোণিত তেড়ে প্রবাহিত হচেছ। এ বিষয়েও তাদের মনে এখন সন্দেহ জন্মেছে। তাই অধ্যাপক হাস বলেছেনIt is true that Europe is on the whole inhabited by Aryan peoples, but the same Aryans have produced quite a different culture in India.