পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গ সাহিত্যের নবযাগ O4 এই যে, তাঁদের রচনায় বর্ণে বণে বানান-ভুল এবং রেখায় রেখায় ব্যাকরণ-ভুল দন্ট হয়। এ কথা সত্য কি মিথ্যা শােধ তাঁরাই বলতে পারেন, যাঁদের চিত্রকমের ভাষার উপর সম্পণে অধিকার জন্মেছে ; কিন্তু সে ভাষায় সপন্ডিত ব্যক্তি বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে দেখতে পাওয়া যায় না, যদিচ ও-সকল সস্থানে সমালোচকের দশন পাওয়া দলভ নয়। আসল কথা হচ্ছে, এ শ্রেণীর চিত্রসমালোচকেরা অনাকরণ অর্থে ব্যাকরণ শব্দ ব্যবহার করেন। এদের মতে ইউরোপীয় চিত্রকরেরা প্রকৃতির অন্যাকরণ করেন, সতরাং সেই অনাকরণের অন্যাকরণ করাটাই এ দেশের চিত্রশিল্পীদের কতব্য। প্রকৃতি নামক বিরাট পদাৰ্থ এবং তার অংশভুত ইউরোপ নামক ভূভাগ, এ উভয়ের প্রতি আমার যথোচিত ভক্তিশ্রদ্ধা আছে, কিন্তু তাই বলে তার অন্যাকরণ করাটাই যে পরমপরিষার্থ, এ কথা আমি কিছতেই স্বীকার করতে পারি নে। প্রকৃতির বিকৃতি ঘটানো কিংবা তার প্রতিকৃতি গড়া কলাবিদ্যার কায নয়— কিন্তু তাকে আকৃতি দেওয়াটাই হচ্ছে আর্টের ধাম। পরিষের মন প্রকৃতি-নাতকীর মািখ দেখবার আয়না নয়! আর্টের ব্রুিয়া অনাকরণ নয়, সন্টি। সতরাং বাহ্যবস্তুর মাপজোখের সঙ্গে আমাদের মানস-জাত বস্তুর মাপজোখা যে হ্যবাহব মিলে যেতেই হবে, এমন কোনো নিয়মে আটকে আবদ্ধ করার অর্থ হচ্ছে প্রতিভার চরণে শিকলি পরানো। আর্টে অবশ্য যথেচ্ছাচারিতার কোনো অবসর নেই। শিল্পীরা কলাবিদ্যার অনন্যসামান্য কঠিন বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য, কিন্তু জ্যামিতি কিংবা গণিতশাস্ত্রের শাসন নয়। একটি উদাহরণের সাহায্যে আমার পবোেন্ত মতের যাথার্থ্যের প্রমাণ অতি সহজেই দেওয়া যেতে পারে। একে একে যে দই হয় এবং একের পিঠে এক দিলে যে এগারো হয়, বৈজ্ঞানিক হিসেবে এর চাইতে খাঁটি সত্য পথিবীতে আর কিছই নেই। অথচ একে একে দই না হয়েও এবং একের পিঠে একে এগারো না হয়েও ঐরােপ যোগাযোগে যে বিচিত্র নকশা হতে পারে, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ নীচে び不3孔T Tび刃ー Ο ΡΣ ΕΣ-ΕΕ) --- QYSSSSSS সশভবত আমার প্রদশিত ব্যক্তির বিরদ্ধে কেউ এ কথা বলতে পারেন যে, 'চিত্রে আমরা গণিতশাস্ত্রের সত্য চাই নে, কিন্তু প্রত্যক্ষ জ্ঞানের সত্য দেখতে চাই। ত্যক্ষ সত্য নিয়ে মানষে মানষে মতভেদ এবং কলহ যে আবহমান কাল চলে আসছে তার কারণ অন্ধের হস্তীদর্শন ন্যায়ে নিণীত হয়েছে। প্রকৃতির যে অংশ এবং যে ভাবটির সঙ্গে যার চােখের এবং মনের যতটুকু সম্পক আছে, তিনি সেই--