পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SGS প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ মানে। তবে সেই গণের পক্ষপাতী হওয়াটা গণের কি দোষের, এই নিয়েই যা AVVS রােপকে আমরা ভক্তি করি নে, সম্পভবত ভালোও বাসি নে। আপনারা সকলেই জানেন যে, হালে একটা মতের বহলপ্রচার হয়েছে যার ভিতরকার কথা এই যে, জাতীয় আত্মমর্যাদা হচেছ পরীশ্ৰীকাতরতারই সদর পিঠ। সম্পভবত এ কথা সত্য, কিন্তু তাই বলে শ্ৰীকাতরতাও যে ঐ জাতীয় আত্মমৰ্যাদার লক্ষণ- এ কথা স্বীকার করা যায় না; কেননা, বিশবিমানবের সভ্যতার ইতিহাস এর বিরুদ্ধে চিরদিন সাক্ষি দিয়ে আসছে। সত্বদেশের ভিতর থেকে বেরিয়ে গেলেই অপর সভ্যজাতির কাছে রাপের মৰ্যাদা যে কত বেশি তার প্রমাণ হাতে-হাতে, পাওয়া যাবে। বতমান ইউরোপ সন্দেরকে সত্যের চাইতে নীচে আসন দেয় না, সে দেশে জ্ঞানীর চাইতে আটিসেন্টর মান্য কম নয়। তারা সভ্যসমাজের দেহটাকে- অর্থাৎ দেশের রাস্তাঘাট, বাড়ি-ঘরদোর, মন্দির-প্রাসাদ, মানষের অশনিবাসন, সাজ-সরঞ্জাম ইত্যাদি-নিত্য নন্তন করে সন্দর করে গড়ে তোেলবার চেন্টা করছে। সে চেস্টার ফল সব কি কু হচ্ছে সে সর্বতন্ত্র কথা। ইউরোপীয় সভ্যতার ভিতর অবশ্য একটা কুৎসিত দিক আছে, যার নাম কমাশিয়ালিজাম; কিন্তু এই দিকটে কদয বলেই তার সবৰ্ণনাশের দিক। কমাশিয়ালিজমের মলে আছে লোভ। আর লোভে পাপ পাপে মাতু্য। আপনারা সকলেই জানেন যে, রাপের সঙ্গে মোহের সম্পক থাকতে পারে, কিন্তু লোভের নেই। ইউরোপ ছেড়ে এশিয়াতে এলে দেখতে পাই যে, চীন ও জাপান রাপের এতই ভক্ত যে, রাপের আরাধনাই সে দেশের প্রকৃত ধম বললেও অত্যুক্তি হয় না। রাপের প্রতি এই পরাপ্ৰীতিবশত চীন,জাপানের লোকের হাতে-গড়া এমন জিনিস নেই যার রােপ নেই- তা সে ঘটিই হোক আর বাটিই হোক। যাঁরা তাদের হাতের কাজ দেখেছেন তাঁরাই তাদের রপসন্টির কৌশল দেখে মগধ হয়ে গিয়েছেন। মোঙ্গলজাতিকে ভগবান রােপ দেন নি, সম্ভবত সেই কারণে সন্দেরকে তাদের নিজের হাতে গড়ে নিতে হয়েছে। এই তো গেল বিদেশের কথা। G আবার শােধ সবদেশের নয়, সবকালের ভিতর থেকে বেরিয়ে গেলে আমরা ঐ একই সত্যের পরিচয় পাই। প্রাচীন গ্ৰীকো-ইতালীয় সভ্যতার ঐকান্তিক রূপচর্চার ইতিহাস তো জগদবিখ্যাত। প্রাচীন ভারতবৰ্ষও রােপ সম্পবন্ধে অন্ধ ছিল না: BDBDS DBBBD DBD DDSBD BDS BB DBDBDG BDBBBDBBDSBDD DBDBDD পদাৰ্থ নয়। সে সভ্যতারও শােধ আত্মা নয়, দেহ ছিল; এবং সে দেহকে আমাদের পাব পরিষেরা সঠিাম ও সন্দর করেই গড়তে চেন্টা করেছিলেন। সে দেহ আমাদের চোখের সমখে নেই বলেই আমরা মনে করি যে, সেকালে যা ছিল তা হচ্ছে শািন্ধ অশরীরী আত্মা। কিন্তু সংস্কৃত সাহিত্য থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তাঁদের কতটা সৌন্দযজ্ঞান ছিল। আমরা যাকে সংস্কৃত কাব্য বলি, তাতে রূপবর্ণনা