8O প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ জন্মায় না, কেননা বিরাটের জ্ঞানের ক্ষেত্রেই সাবরাটের জ্ঞান অঙ্কুরিত হয়। আসল কথা হচ্ছে, মানসিক আলস্যবশতই আমরা সাহিত্যে সত্যের ছাপ দিতে অসমৰ্থ। আমরা যে কথায় ছবি আকিতে পারি নে, তার একমাত্র কারণ, আমাদের চোখ ফোটবার আগে মাখ ফোটে। এক দিকে আমরা বাহাবস্তুর প্রতি যেমন বিরক্স, অপর দিকে অহং-এর প্রতি ঠিক তেমনি অনরন্ত। আমাদের বিশ্ববাস যে, আমাদের মনে যে-সকল চিন্তা ও ভাবের উদয় হয় তা এতই অপব এবং মহাৰ্ঘ যে, প্ৰজাতিকে তার ভাগ না দিলে ভারতবর্ষের আর দৈন্য ঘাঁচবে না। তাই আমরা অহনিশি কাব্যে ভাবপ্রকাশ করতে প্রস্তুত। ঐ ভাবপ্রকৃাশের অদম্য প্রবত্তিটিই আমাদের সাহিত্যে সকল অনথের মল হয়ে দাঁড়িয়েছে।) আমার মনোভাবের মাল্য আমার কাছে যতই বেশি হোক-না, অপরের কাছে তার যা-কিছ মাল্য, সে তার প্রকাশের ক্ষমতার উপর নিভাির করে। অনেকখানি ভাব মরে একটখানি ভাষায় পরিণত না হলে রসগ্রাহী লোকের নিকট তা মাখরোচক হয় না। এই ধারণাটি যদি আমাদের মনে স্থান পেত তা হলে আমরা সিকি পয়সার ভাবে আত্মহারা হয়ে কলার অমল্য আত্মসংযম হতে ভ্ৰাট হাতুম না। মানষমাত্রেরই মনে দিবারাত্ৰ নানারপ ভাবের উদয় এবং বিলয় হয়। এই অস্থির ভাবকে ভাষায় স্থির করবার নামই হচ্ছে রচনাশন্তি । কাব্যের উদ্দেশ্য ভাব প্রকাশ করা নয়, ভাব উদ্রেক করা। কবি যদি নিজেকে বীণা হিসেবে না দেখে বাদক হিসেবে দেখেন, তা হলে পরের মনের উপর আধিপত্য লাভ করবার সম্পভাবনা তাঁর অনেক বেড়ে যায়। { এবং যে মহত্য থেকে কবিরা নিজেদের পরের মনোবীণার বাদক হিসেবে দেখতে শিখবেন, সেই মাহত থেকে তাঁরা বস্তুজ্ঞানের এবং কলার নিয়মের একান্ত শাসনাধীন হবার সার্থকতা বঝতে পারবেন। :) তখন আর নিজের ভাববস্তুকে এমন দিব্যরত্ন মনে করবেন না যে, সেটিকে র দেবার পরিশ্রম থেকে বিমখ হবেন। অবলীলাক্রমে রচনা করা আর অবহেলা কুমে রচনা করা যে এক জিনিস নয়, এ কথা গণধমাবলম্পবীরা সহজে মানতে চান না- এই কারণেই এত কথা বলা। আমার শেষ বক্তব্য এই যে, ক্ষদ্রত্বের মধ্যেও যে মহত্ত্ব আছে, আমাদের নিত্যপরিচিত লৌকিক পদার্থের ভিতরেও যে অলৌকিকতা প্রচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে, তার উদ্ধারসাধন করতে হলে, অব্যােন্তকে ব্যন্ত করতে হলে, সাধনার আবশ্যক ; এবং সে সাধনার প্রক্লিয়া হচ্ছে দেহমনকে বাহ্যজগৎ এবং অন্তর্জগতের নিয়মাধীন করা। যাঁর চোখ নেই, তিনিই কেবল সৌন্দর্যের দশনDBB BDB BBBD DBDSBBD DBDB DOD DBDS DDD DBBBBDBDDBSS DDB অন্যমনস্কতার আশ্রয় গ্রহণ করেন। নব্য লেখকদের নিকট আমার বিনীত প্রার্থনা এই যে, তাঁরা যেন দেশী বিলাতি কোনোরাপ বলির বশবতী না হয়ে নিজের অন্তনিহিত শান্তির পরিচয় লাভ করবার জন্য ব্ৰতী হন। তাতে পরের না হোক, অন্তত নিজের উপকার করা হবে। प्रान्विन्न `७०२o
