পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষা ५qभन निरन कि व्थिgठ भन्न बान्न ? আজ সকালে ঘাম থেকে উঠে দেখি যে, যে দিকে যতদর দাল্টি যায় সমগ্র আকাশ বর্ষায় ভরে গিয়েছে। মাথার উপর থেকে অবিরাম অবিরল অবিচ্ছিন্ন বান্টির ধারা পড়ছে। সে ধারা এত সক্ষম নয় যে চোখ এড়িয়ে যায়, অথচ এত সস্থলও নয় যে তা চোখ জড়ে থাকে। আর কানে আসছে তার একটানা আওয়াজ; সে আওয়াজ কখনো মনে হয় নদীর কুলধৰনি, কখনো মনে হয় তা পাতার মমরি। আসলে তা একসঙ্গে ও-দইই; কেননা আজকের দিনে জলের সম্বর ও বাতাসের সবর দই মিলে-মিশে এক সরে হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন দিনে মানষ যে অন্যমনস্ক হয় তার কারণ তার সকল মন তার চোখ আর কানে এসে ভর করে। আমাদের এই চোখ-পোড়ানো আলোর দেশে বর্ষার আকাশ আমাদের চোখে কি যে অপব সিনপদ্ধ প্রলেপ মাখিয়ে দেয় তা বাঙালি মাত্রেই জানে। আজকের আকাশ দেখে মনে হয়, ছায়ার রঙের কোনো পাখির পালক দিয়ে বর্ষা তাকে আগাগোড়া মাড়িয়ে দিয়েছে, তাই তার পর্শ আমাদের চোখের কাছে tavo osta, qvo Taša i তার পর চেয়ে দেখি গাছপালা মাঠঘাট সবারই ভিতর যেন একটা নািতন প্রাণের হিল্লোল বয়ে যাচ্ছে। সে প্রাণের আনন্দে নারকেল গাছগালো সব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দলছে, আর তাদের মাথার ঝাঁকড়া চুল কখনো-বা এলিয়ে পড়ছে, কখনো-বা জড়িয়ে যাচ্ছে। আর পাতার চাপে যে-সব গাছের ডাল দেখা যায় না, সে-সব গাছের পাতার দল এ ওর গায়ে ঢলে পড়ছে, পরস্পর কোলাকুলি করছে; কখনো-বা বাতাসের পশে বেকে-চুরে এমন আকার ধারণ করছে যে দেখলে মনে হয়। বাক্ষলতা সব পত্রপটে ফটিকজল পান করছে। আর এই খামখেয়ালি বাতাস নিজের খাশিমত দিয়ে আবার থেমে যাচ্ছে। তার পর আবার সে ফিরে এসে যা ক্ষণকালের জন্য স্থির ছিল তাকে আবার ছয়ে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে, সে যেন জানে যে তার সপশে যা-কিছ জীবন্ত অথচ শান্ত সে সবই প্ৰথমে কোপে উঠবে, তার পর ব্যতিব্যস্ত হবে, তার পর মাথা নাড়বে, তার পর হাত-পা ছাড়বে; আর জলের গায়ে ফটবে পলক আর তার মাখে। শীৎকার। বান্টির সঙ্গে বক্ষপল্লবের সঙ্গে সমীরণের এই লকোচুরি খেলা, আমি চোখ ভরে দেখছি আর কান পেতে পেতে শািনছি। মনের ভিতর আমার এখন আর কোনো ভাবনা চিন্তা নেই, আছে শািন্ধ এমন-একটা অনভূতি যার কোনো স্পষ্ট রূপ নেই, কোনো নিদিষ্ট নাম নেই। মনের এমন বিক্ষিপত অবস্থায় কি লেখা যায়? যদি যায় তো সে কবিতা, 2दक का । আনন্দে-বিষাদে মেশানো ঐ অনামিক অনভূতির জমির উপর অনেক ছোটাে