পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8SV 警 প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ কানা হয় না। বিলেতের বর্ষার ভিতর চমকও নেই চটকও নেই। ওরকম ঘ্যানঘেনে প্যানপোনে জিনিস কবির মনকে সপশ করে না, তাই বিলেতি সাহিত্যে বর্ষার কোনো রপবর্ণনা নেই। যার রােপ নেই তার রপবর্ণনা কতকটা যার মাথা নেই তার মাথাব্যথার মতো। শেলির মন অবশ্য পর্বতশঙ্গে মেঘলোকে বিচরণ করত। কিন্তু সে মেঘ হচ্ছে কুয়াশা, তার কোনো পরিচ্ছিন্ন মতি নেই। সতরাং তাঁর অাঁকা প্রকৃতির ছবি কোনো ফ্রেমে অটিা যায় না, যেমন West Windকে বশির ভিতর পোরা যায় না। ফ্রেম কথাটা শনে সেই-সব লোক চমকে উঠবেন যাঁরা বলেন যে, অসীমকে নিয়েই কবির কারবার। অবশ্য তাই। জ্ঞানের অসীম সীমার বাইরে, কিন্তু আর্টের অসীম সীমার ভিতর। 8 বর্ষা যে রাজার মতো হাতিতে চড়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে নিশান উড়িযে ধামধড়ঙ্কা ক’রে আসে, এ ঘটনা এ দেশে চিরপরাতন ও চিরনবীন। সতরাং যােগ যােগ ধরে কবিরা বর্ষার এই দিগ বিজয়ী রাজরােপ দেখে এসেছে এবং সে-রািপ ভাষায় অঙ্কিত করে অপরের চোখের সমখে ধরে দিয়েছে। আমাদের দেশে বর্ষার রাপের মতো আমাদের কাব্যসাহিত্যে তার বর্ণনাও চিরপরাতন ও চিরনবীন। মানষের কালিদাসের বহপরবতী কবি বৰ্ষাঋতুর ঐ রাজরােপ দশন করেছেন, সাত বাং সেই রূপেরই বর্ণনা করেছেন। এমন-কি, হিন্দি কবিরা ও-ছবি তাদের গানে আজও ফাতি করে আকিছে যোধন বেশে বােদর আওয়াল এ পদটি মল্লার রাগের একটি প্রসিদ্ধ ধ্রুপদের প্রথম পদ।। ও গান যখন প্রথম শানি তখন আমার চোখের সমখে বিদ্যুৎ ঝলকে উঠেছিল, কানের কাছে মর্দগের গর গম্ভীর আবিরল পরং বেজে উঠেছিল। এ গান শনে যদি কেউ বলেন যে, উক্ত হিন্দি গানের রচয়িতা কালিদাসের কবিতা চুরি করেছেন তা হলে বলতে হয় যে, রবীন্দ্ৰনাথ যে বলেছেন 6-८८ || ८अ সে কথাও অশনিশব্দমদলের বাংলা কথায় অন্যবাদ। সাহিত্যে এরপে চুরিধারা বিদ্যে বাতুলতার না হোক বালিশতার পরিচায়ক। কারণ এ বিদ্যার বলে। এও প্রমাণ করা যায় যে, কালিদাস তাঁর পবিবতী কবিদের বণনা বেমালাম আত্মসাৎ করেছিলেন। মাছকটিক-প্রকরণে বিট বসন্তসেনাকে সম্বোধন করে বলেছিলেন পশ্য পশ্য। অয়্যমপারঃ পবনচপলবেগঃ পথািলধারাশরৌঘঃ। সাতনিতপটহনাদঃ পপাস্টবিদ্যুৎপতাকঃ।। হরতি কারসম্যহং খে। শশাঙ্কস্য মেঘো নপ ইব পারমধ্যে মন্দবীর্যস্য শত্ৰোঃ।।