পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ववाद्ध नि 8S উক্ত শেলাকের ভিতর পপস্ট বিদ্যুৎপতাকা আছে, পটহনিনাদ আছে, নািপ আছে। অর্থাৎ কালিদাসের শেলাকের মালমসলা সবই আছে। আর মাচছকটিক হচ্ছে দরিদ্র চারদক্সের রাজসংস্করণ, কারণ তা হচ্ছে রাজা শািন্দ্রকের সংস্করণ। দরিদ্র চারদত্ত ভাসের লেখা; আর ভাস যে কালিদাসের পবিবতী কবি তা স্বয়ং কালিদাস নিজমখেই স্বীকার করেছেন। এর থেকে প্রমাণ হয় শােধ এই মাত্র যে, বর্ষার রােপ এ দেশে সনাতন, তাই তার বর্ণনাও সনাতন। আর শাস্ত্রে বলে, যা সনাতন তাই অপৌরষেয়। Oς সন্মতি প্রত্যক্ষের পরিপন্থী নয়, কিন্তু শ্রীতি অনেক ক্ষেত্রে দর্শনের প্রতিবন্ধক। অনেকের দেহে কান চোখের প্রতিযোগী। শাস্ত্রের ভাষায় বলতে হলে নাম রাপের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমরা যদি কোনো বিষয়ের কথা শানে নিশিচন্ত থাকি তা হলে সে বিষয়ের দিকে চোখ চেয়ে দেখবার আমাদের প্রবত্তি থাকে না। কথা যখন কিংবদন্তী হয়ে ওঠে তখন অনেকের কাছে তা বেদবাক্য হিসেবে গ্রাহ্য হয়। একটা সব লোকবিদিত উদাহরণ নেওয়া যাক। বহকাল থেকে শনে এসেছি যে অনেকে বিশ বাস করেন যে, পয়লা আষাঢ়ে বলিট নামতে বাধ্য, কেননা কালিদাস বলেছেন, “আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ দেশের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কালিদাস শােধ বড়ো কবি নন, সেইসঙ্গে তিনি যে বড়ো জিয়োগ্রাফার এবং বড়ো আনি থলজিস্ট তা জানি, কিন্তু উপরন্তু তিনি যে একজন অভ্রান্ত মেটিয়ারলজিস্ট তা বিশ্ববাস করা কঠিন। মেঘদতকে মেটিয়ারলজিকাল অফিসের রিপোর্ট হিসেবে গ্রাহ্য করতে আমি কুঠিত। কারণ মেঘদত আর যাই হোক মেঘলোক সম্পবন্ধে ছেলেভুলানো সংবাদের প্রচারক নয়। মেঘকে দত করতে হলে তাকে বৰ্ষাঋতুতেই যাত্রা করাতে হয়। আর কোন পথ দিয়ে উড়ে অলকায় যেতে হবে সে বিষয়েও কালিদাস উক্ত দন্তকে পশুখান পািখরাপে উপদেশ দিয়েছেন। কালিদাস খােব স্পষ্ট করেই বলেছেন যে— মাগং ত্যাবচ্ছন্ণ কথয়তসত্বৎপ্রয়াণানিরপেং সন্দেশং মে তদন, জলদ শ্ৰেষ্যসি শ্রোত্রপ্রেয়ম। অর্থাৎ আগে পথের কথা শোনো, তার পর অলকায় গিয়ে কার কাছে কি বলতে হবে সে কথা পরে শানো। এ কারণ পর্বমেঘ আগাগোড়াই পথের কথা। V এ পথ ভারতবষের উত্তরাপথ। বাংলা থেকে অন্তত দেড় হাজার মাইল দারে। সতরাং সে দেশে কখন বলিটি পড়তে শরা হয়, তার থেকে বাংলায় কোন দিন বান্টি নামবে তা বলা যায় না, অন্তত ন্যায়শাস্ত্রের এমন কোনো নিয়ম নেই যার বলে রামগিরি থেকে এক লম্বেফ কলকাতায় অবতীর্ণ হওয়া যায়। OR