পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাঙ্গিত্য সন্মিলন Odkò) R পজ্যপাদ শ্রীযক্তি দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় তাঁর অভিভাষণের উপসংহারে বলেছেন cप, বিজ্ঞান যদি বদ্ধ ভারতমন্ত্রীর কথা শোনেন, তবে ভারতে ফিরিয়া আসন। এ কথা বলবার উদ্দেশ্য এই যে, তাঁর মতে ভারতবৰ্ষই হচ্ছে বিজ্ঞানের জন্মভূমি। কিন্তু পরাকালে বালক-অবস্থাতেই বিজ্ঞান সমাজের প্রতি অভিমান করে দেশত্যাগী হয়ে ইউরোপে চলে যান। এবং সেখানে তদেশবাসীর যত্নে লালিতপালিত হয়ে এখন যথেস্টর চাইতেও বেশি হলটপট হয়ে উঠেছেন। এমন-কি, ইউরোপবাসীরা এখন আর তাঁকে সামলে উঠতে পারছে না। এই কারণেই যিনি সস্থলপথে বিলেত চলে গেছলেন তাঁকে আবার জলপথে দেশে ফিরে আসতে অনরোধ করা হয়েছে। ঘরের ছেলে আবার ঘরে ফিরে এলে দেশের যে কোনো অকল্যাণ হবে, এ আশংকা ঠাকুরমহাশয় করেন না। বরং তিনি এতে মঙ্গলেরই আশা করেন। কেন ? তা তিনি সপলিট করে ব্যাখ্যা করেন নি। তবে তিনি বিজ্ঞানের রােপগণের যে শাস্ত্রসংগত বৰ্ণনা করেছেন, তার থেকেই আমরা অনমান করতে পারি। যে কি কারণে বিজ্ঞানের আবার দেশে ফেরাটা দরকার। ঠাকুরমহাশয় বলেছেন যে, বৈদন্তিক আচায্যেরা বলেন সত্য তিনপ্রকার : ১ পারমার্থিক সত্য = তত্ত্বজ্ঞান= পরাবিদ্যা, ২। ব্যাবহারিক সত্য = বিজ্ঞান = অপরাবিদ্যা, ৩ প্রতিভাসিক সত্য = ভ্ৰমজ্ঞান - यदिना । 确 বিজ্ঞান বলতে একালে আমরা যা বঝি সে বিষয়ে বেদান্তের পরিভাষায় সম্যক আলোচনা করা কঠিন। কারণ জ্ঞানের এই ত্ৰিবিধ জাতিভেদ আধনিক দার্শনিকেরা স্বীকার করেন না। নব্যমতে জ্ঞান এক, শধ ভ্ৰমই বহবিধ। তবও আমার বিশ্ববাস যে, লেংদন্তের পরিভাষা অবলম্পবন করেও জ্ঞানের রাজ্যে বিজ্ঞানের সস্থান কোথায় এবং কতখানি তা দেখানো যেতে পারে। সতরাং আমি এ প্রবন্ধে উত্ত পরিভাষাই ব্যবহার করব। ঠাকুরমহাশয় পড়বোেন্ত তিন সত্যের নিম্পনলিখিতরােপ ব্যাখ্যা করেছেন- • বিজ্ঞান ব্যষ্টিজ্ঞান বা শাখাজজ্ঞান ; তত্ত্বজ্ঞান সমষ্টিজ্ঞান বা মোট জ্ঞান। পারমার্থিক সত্য মোট জ্ঞানের মোট সত্য ; ব্যাবহারিক সত্য বিভিন্ন জ্ঞানের বিভিন্ন সত্য। অর্থাৎ যে জ্ঞানের দ্বারা এক অখন্ডসত্য লাভ করা যায়, সেই হচেছ তত্ত্বজ্ঞান ; আর যার দ্বারা বহ খন্ডসত্যের জ্ঞান লাভ করা যায়, সেই হচ্ছে বিজ্ঞান। এক কথায়, তত্ত্বজ্ঞানের উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিষকে জানা; বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃতিকে চেনা। বিজ্ঞানের নামে অনেকে ভয় পান এই মনে করে যে তা তত্ত্বজ্ঞানের বিরোধী ; এবং তত্ত্বজ্ঞান যেহেতু ভারতবর্ষের প্রাণ, অতএব সেটিকে নিরাপদে রাখবার জন্য এদের মতে বিজ্ঞানকে পরিহার করা কতব্য। এরপ কথা অবশ্য লেন্ লেদানেনে নেস্ট - বরং উপনিষদ, কারেরা বলেছেন যে, অপরাবিদ্যা আয়ত্ত করতে