পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: /////予-g প্রবাস ১০৪ (2न्तो ১৩৪৪ স্বনয়নীর হাত ধরিয়া এক ঝটুকা দিয়া বলিল, হেমেন্দ্র বলিল, “তবে কি তুমি রোজগার করে এনেছ “কি ক’রে বেচলে ? অার ওসব বেচবার তোমার অধিকারই বা কি ? ওসব ত আমাকে দান করা হয়েছে। সালঙ্কার কন্যা যথন দেয়, তখন অলঙ্কারগুলোর উপরে আমারই অধিকার, তোমার নয় । তুমি চোর।” স্বনয়নী হাতছাড়াইয়া লইয়া বলিল, “তা বেশ, চোর ত আমায় জেলে দাও না ? অামার বাপ-মায়ের দেওয়া জিনিষ, তাতেও আমার অধিকার নেই ? এই নাকি श्राद्धेन ?” আইনটা যে কি তাহ হেমেন্দ্রের ঠিক জানা ছিল না। সে কথাটা ঘুরাইয়া বলিল, “তোমার মা কি বলে এ টাকা নিলেন ? তোমার আঙ্কেল নেই না হয়, তার ত থাক উচিত? যা একবার দান করেছেন, তা আবার নেওয়া যায় ?” স্থনয়নী বলিল, “আমি কি আর তাকে বলেছি যে আমি গয়না বেচে টাকা দিয়েছি ?” তিনি ভেবেছেন ?” সুনমুনী বলিল, “ন গো মশায়, আমি তোমার নাম করে দিয়েছি । বলেছি শ্বশুর-শাশুড়ীর দুঃখ দেখে টাকাটা তুমিই দিয়েছ গোপনে । বাবা-মা কত আশীৰ্ব্বাদ করলেন তোমায়, মা পচিজনকে ডেকে বললেন, ‘আর যত দুঃখ ভগবান আমায় দিন, এখানে আমি রাজরাণীর চেয়ে মুম্বী, এমন জামাই দশ জন্ম তপস্ত করলে হয়। হীরার টুকরো ছেলে, আমার পেটের ছেলে হলেও এর বেশী করতে পারস্ত না। সবাই বললে ঠিকই ত, আজকালকার দিনে এমন দেৰ যায় না’ ” - হেমেন্দ্র হতবুদ্ধি হইয়া খানিকক্ষণ স্বনয়নীর দিকে ভাকাইয়া রহিল, তাহার পর বলিল, “কি সাংঘাতিক মেয়ে তুমি ! এ যে দিনকে রাত করা ? কলিকাল! নইলে নিজের স্ত্রী এমন হয় ।” - আকাঙ্ক্ষণ । শ্রীনিৰ্ম্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তোমারে চেয়েছি শুধু পাই নাই কৰ্ভুপ্রাণপণ আকাজার ব্যর্থ পরিণাম যে ভাবে ভাবুক মনে, আমি জানিলাম যা চেয়েছি পেয়েছি তা । যে অতৃপ্তি তবু জেগেছে নিয়ত প্রাণে তাহার নির্বাণ ধুলার ধরণীবাসী আছে কার হাতে । পরম সরমে মোর জীবনের রাতে তোমার বিদায় সে ত প্রেমের সম্মান ।

চাওয়া-পাওয়া শোধবোধ হ'ল না যে তাই আজিও চঞ্চলচিতে চারি ভিতে ফিরি, তোমার অতীত সেই তুমিরে সদাই নিজ হাতে রাখিতেছ অন্ধকারে ঘিরি। যা চেয়েছি পেয়েছি তা পাই নি যেটুক । নিয়ত অন্তরে যাচি, তারি তীব্র সুখ