পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ა's&) প্রৰণালী ○こB3 | -- দিয়া ] বাবাকে থাইয়ে অায়। আর রাত হয়ে যাচ্ছে, তাকে হিমে থাকতে বারণ ক’রে দে । নিৰ্ম্মল । আমি যে কথাটা বললুম তুমি কি তার উত্তর কোনদিনই দেবে না ইন্দিরা ? ইন্দিরা। উত্তর না দিলেও আপনি কি মনে মনে কোন উত্তর পান নি ? কিন্তু দাদার জন্যে মা-বাবার মন এত বিচলিত রয়েছে যে আমি উপস্থিত মুহূর্বে আমার সম্বন্ধে কোন ভাবনা র্তাদের ভাবতে দিতে চাই নে । নিৰ্ম্মল। বুঝতে পেরেছি। কিন্তু আজ তোমার সেই গানটা একবার ক’রো ইন্দির। যখনই কোন কারণে মন চঞ্চল হয়েছে তোমার কাছে শোনা গানের স্বর মনে পড়েছে। [ গাশের ঘর হইতে মোহিনী ডাকিলেন, ইন্দু! ইন্দু। ] ইন্দির। মা কেন ডাকছেন শুনে আসি । নিৰ্ম্মল। চল, আমিও দেখে আসি মা কেমন আছেন। দু-জনে কক্ষ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইল ] ২. পাশের ঘরে ছোট একটি খাটে মোহিনী শুইয়া আছেন । ] মোহিনী। ইন্দু, তোমার বাবাকে আর হিম লাগাতে বারণ ক’রে পাঠিয়েছ ? ইন্দির। হ্যা, ম৷ ৷ মোহিনী। আর তার রাত্রির খাবার ! ইন্দির। তাও ব্রজ দিয়ে এসেছে। মোহিনী । [ নিৰ্ম্মলের দিকে ফিরিয়৷ ] বাঃ, তোমাকে এই কোর্ভাটায় বেশ মানিয়েছে দেখছি নিৰ্ম্মল । নিৰ্ম্মল । [ একটু লজ্জিত ভাবে ] আজি টেনিস-কুট পরে এলাম অথচ খেলাই হ’ল না। মা, আজ কেমন আছেন ? মোহিনী। ভালই আছি। কিন্তু ইন্দুর বাহাদুরি আছে স্বীকার করতে হবে, তোমার মত বইয়ের পোকা রিসার্চ-স্কলারকেও ঘরের কোণ থেকে টেনে বার করেছে। বিকেলে খেল আর নাই খেল একটু করে বেড়িও বাবা, নইলে শরীর থাকবে কেন ? ইন্দিরা [ একটু ইতস্তত করিয়া ] আচ্ছ মা, আমি যদি এখন একটা গান করি তোমার কষ্ট হবে না ত ? মোহিনী । [ কৌতুকের স্বরে । আমার ভালই লাগবে। কিন্তু নিৰ্ম্মলের কষ্ট হবে না ত ? নিৰ্ম্মল । [ লজ্জা পাইয়া ] কি যে বলেন ! ইন্দিরা টেবিল-ল্যাম্পটায় একটা বই আড়াল করিয়া দিয়া রবীন্দ্রনাথের নিম্নলিখিত গানখানি গাহিল। ] "এবার নীরব করে দাও হে তোমার মুখর কবিরে। তার হৃদয় বঁাশী আপনি কেড়ে বাজাও গভীরে। নিশীথ রাতের নিবিড় স্বরে বঁাশীতে তান দাও হে ভরে যে তান দিয়ে অবাক ক’রে গ্রহশমীরে। যা কিছু মোর ছড়িয়ে আছে এবার এ জীবনে, গানের টানে মিলুক এসে তোমার চয়ন। বহুদিনের বাক্যরাশি এক নিমেষে যাবে ভাসি একল বসে শুনব বাণী অকুল তিনিয়ে। পঞ্চম দৃশু জ্ঞানদাবাবুর বাড়ীর চায়ের টেবিলে সকালবেলাকার s sis চলিতেছে। বাইরের লোকদের মধ্যে শান্ত ও নিৰ্ম্মল আছে। শাস্তু আজ সকালেই পড়াইতে আসিয়াছে। আজ ইন্দিরার জন্মদিন বলিয়া সন্ধ্যাবেলায় সুবিধা হইবে না । ] ইন্দিরা। শাস্তাদিকে আর একটু কেক দি ? শাস্তা। না, না, সকালবেলায় এত খাওয়া আমার অভ্যেস নেই। ইন্দিরা। আপনাকে আর কিছু দেব ? [ nsn, দিকে চাহিয়া ] কিছুই নেবেন না ? নরেন। আমাকে কিন্তু খাওয়ার জন্যে অস্ট্রিনিক সাধ্যসাধন করবার দরকারই হয় না। আম: ৯ ডিমের প্লেটটা সরিয়ে দাও ইন্দু আর দুটো টোটু জমদ আর এক পেয়ালা চাও দিতে পার এবং কেকের গেমিং টুকরো। [ ছুরি দিয়া কেক কাটিতে কাটিতে ] কিন্তু মই যদি আমার মত হ’ত, যদি পুরুষদের খাওয়াবার জয় অনুরোধের প্রয়োজন না হ’ত তাহলে মেয়েদের সময় কচুং কি ক’রেনিৰ্ম্মল-দা ? নিৰ্ম্মল । মেয়েদের সম্বন্ধে তোমার উচ্চ ধারণার প্রশংসা করতে পারি নে নরেন । কেন, খাওয়ান ছাড়া তাদের আর অন্য কাজ নেই নাকি ? जै९मर ।