পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ためいこb〜 হইয়া গেলে যদি কংগ্রেস নীচাশয়তা ও ন্যায়ুবুদ্ধিহীনতাবশতঃ মোসলেম লীগকে বঞ্চিত করিতে পারেন, তাহ হইলে ভাগবাটোয়ারা হইয়া গেলেও ত ঐ নীচাশয়তা ও দ্যায়বুদ্ধিহীনতার প্রভাবে কংগ্রেস ভাগ-বাটোপ্লারার সমর্থক নিজ অঙ্গীকার ভঙ্গ করিয়া মোসলেম লীগকে বঞ্চিত করিতে পারেন ? এরূপ প্রতারণ নিবারণের উপায় কি ? কংগ্রেসের সততার द्धिश्रव्र मुनि निर्डत्र कद्र बांग्र, डांश् श्zल ८कॉन छ°ांग्र অবলম্বনের কথাই উঠে না। যদি কংগ্রেসের সততার উপর নির্ভর করা ন-যায়, তাহা হইলে একমাত্র উপায় এই হইতে পারে, যে, মোসলেম লীগ কংগ্রেসের বা অন্য কাহারও সাহায্য না-লইয়া স্বয়ং নিজের পৌরুষে স্বরাজ অর্জন করুন ও স্বয়ং স্বরাজ ভোগ করুন– কংগ্রেসের বা অন্য কাহারও তাহাতে ভাগ বসাইবার ন্যায্য দাবী থাকিবে না ; মোসলেম লীগ তাহাদিগকে কিছু নাই দিলেন ? তাহার হাত পাতিবে না।” সকলের, না সংখ্যাগরিষ্ঠদের স্বাধীনতা মি: জিন্ন বলিয়াছেন, কোন দেশের স্বাধীনতার মানে ভখাকার সংখ্যাগরিষ্ঠদের ( মেজরিটি'র ) শাসন ও স্বাধীনতা নহে, তাহার অর্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যালঘু সকলেরই স্বাধীনতা। কোন দেশের স্বাধীনতার মানে নিশ্চয়ই তথাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যালঘিষ্ঠ সকলেরই স্বাধীনতা । কিন্তু গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও শাসনপ্রণালী ( যাহ। মিঃ জিন্ন এবং মোসলেম লীগও চান ) অনুসারে প্রত্যেক গণতান্ত্রিক দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠদেরই শাসন প্রচলিত। সংখ্যাগরিষ্ঠ কথাটির গণতান্ত্রিক অর্থ বুঝিলেই সংখ্যালঘু কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায় বা শ্রেণীর আশঙ্ক। দূরীভূত হইতে বা খুব কমিতে পারে। গণতান্ত্রিক শাসনপ্রণালীতে এক-একটি ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের জন্য বা জাতিগত বা বৃত্তি অনুযায়ী কোন সমষ্টির জন্য ব্যবস্থাপক সভায় কতকগুলি আসন নির্দিষ্ট থাকে না। তথাকার ব্যবস্থাপক সভায় হিন্দু সদস্য এত, মুসলমান সদস্য এত, খ্ৰীষ্টীয় সদস্য এত, বৌদ্ধ সদস্য এত, এরূপ নির্দিষ্ট থাকে না । রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রভৃতি মত অনুসারে কোন বার প্রতিনিধি-নির্বাচনের পর কোন রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক মত অবলম্বী সদস্য বেশী হয়, কোন বার বা কম হয়। এই জন্য যাহারা ব্যবস্থাপক সভায় কোন বার সংখ্যালঘু তাহার তাহার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ হইতে পারে। এই জন্ত ও এই প্রকারে, মিঃ জিন্না সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা যে অত্যাচারের সম্ভাবনার কথা বলিয়াছেন, তাহ নিবারিত হয়, এবং তাহ কখন ঘটিলেও স্থায়ী হইতে পারে না। পক্ষাস্তরে, ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অনুসারে ব্যবস্থাপক সভায় সদস্যপদের বা আসনের সংখ্যা নিদিষ্ট হইলে ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় অধিকতম প্রবাসী ՏNՑՅ8 ংখ্যক আসন পাইলে, তাহাদের দ্বারা অত্যাচার সম্ভবপর হয়। বঙ্গদেশের হিন্দুরা এবং বিবেচক নিরপেক্ষ মুসলমানের ইহা বুঝিতে পরিবেন। গণতান্ত্রিক শাসনপ্রণালী ও গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিনিৰ্ব্বাচনপ্রণালী প্রবৰ্ত্তিত না করিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিবারণের আর একটা উপায় অবলম্বিত হইতে পারে। তাহা সংখ্যাগরিষ্ঠদিগকে ংখ্যালঘুতে পরিণত করা এবং সংথ্যালঘু কয়েকটি লোকসমষ্টিকে সংখ্যাগরিষ্ঠে পরিণত করা। ভারতশাসন আইনে এই উপায় অবলম্বিত হইয়াছে । ভারতবর্ষে হিন্দুর ংখ্যাগরিষ্ঠ । অন্য সকল জাতি ( রেস ও সম্প্রদায়ের লোকদের মোট সংখ্যার চেয়ে হিন্দুদের সংখ্যা বেন। তাহারা শতকরা ৭০ জনের উপর । কিন্তু ভারতবর্ষী ব্যবস্থাপক সভায় দেশী রাজ্যগুলির রাজাদের সমষ্টি, ভারতপ্রবাসী ইংরেজদের সমষ্টি, ও ভারতীয় মুসলমান প্রভৃতির সমষ্টিকে হিন্দুদের সমষ্টির চেয়ে অনেক বেষ্ট আসন দেওয়া হইয়াছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদিগকে সংখ্যা লঘুতে পরিণত করা হইয়াছে। হিন্দুদের দ্বারা অত্যাগর হইবে, এইরূপ আশঙ্ক। করিয়া যে তাহাদিগকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করা হইয়াছে তাহা নহে। প্রধানতঃ ভালী স্বাধীনতা চায় এবং স্বাধীনতার জন্য সৰ্ব্বস্বপণ প্রাণপণ করে এই জন্য তাহাদের প্রভাব ও ক্ষমতা কমাইবার নিমিত্ব ব্যবস্থাপক সভায় তাহাদিগকে কম আসন দেওয়া হইয়ছে। আর যদি সত্য সত্যই তাঁহাদের দ্বারা অত্যাচারের আশঙ্কা করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে অন্ত মাহানির কৃত্রিম উপায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ করা হইয়াছে, তাহদের ছায়ারি অত্যাচার হইতে পারে না ? হিন্দুরা অত্যাচারী হয় । অত্যাচার করিবার স্বযোগ প্রাপ্ত হউক, ইহা আমরা চইল্লা কিন্তু তাহারা অত্যাচরিত হউক, বা তাহদের জুন অত্যাচারের সম্ভাবনা ঘটুক, ইহাই কি বাঞ্ছনীয়, ন, এল ব্যবস্থা স্থায়ী হইতে পারে ? অত্যাচার নিবারণের প্রকৃষ্ট উপায় মিঃ জিন্ন সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা অত্যাচার সময় । ংগ্রেসওয়ালারা চান না, আমরাও চাই না। কোনও অত্যাচারই একদিনের জন্যও কাহারও উপর যter a হইতে পারে, এমন কোন শাসনপ্রণালী এপর্যন্ত আবিলুপ্ত হয় নাই । অত্যাচার না-হওয়া শেষ পৰ্য্যস্ত নির্ভর করে অত্যাচার যাহাদের দ্বারা হইতে পারে তাহানের ন্যামসুদ্ধি মানবিকতা ও মানব-ভ্রাতৃত্ববোধের উপর এবং যাহাঁদের উপর অত্যাচার হইতে পারে তাহদের অত্যাচার-অসহিষ্ণু كم